রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে সরিয়ে দিয়ে এখন ব্যাংকটিকে ১৯ টুকরা করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধান বিরোধী দল সরকারের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে আজ ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সোশ্যাল বিজসেন ইয়ুথ কনভেনশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিবর্তন আসা দরকার বলে তিনি মনে করেন কি না।
জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নেতৃত্বে পরিবর্তন আসা দরকার। সেই পরিবর্তন আনবে তরুণেরা। পরিবর্তনের দায়িত্ব তিনি নিতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি ‘বুড়োদের’ দলে পড়েন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা পায়, মার্কিন সরকার তা স্থগিত করেছে। এ প্রসঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে পারিনি, তাই জিএসপি স্থগিত করেছে দেশটি।
আমরা যদি শর্তগুলো মেনে চলি, তাহলে ইতিবাচক ফল পাব। ’
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সোশ্যাল বিজসেন ইয়ুথ কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনূস তরুণদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভূমি কম, পুঁজি কম, সেজন্য বিদেশি বিনিয়োগ চাই। প্রযুক্তির ওপর দখল নেই, তাই প্রযুক্তি আমদানি করতে হয়। কিন্তু জায়গাটায় আমাদের বিশাল সুযোগ সেটা হলো সৃজনশীলতা, নতুন ধারণা উদ্ভাবনের চেষ্টা ও সম্ভাবনা।
আমাদের জনগোষ্ঠীর বিশাল অংশ তরুণ। বাংলাদেশের তরুণেরা ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে তাদের সক্ষমতা, যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণ করেছে। তিন দশক আগেও কেউ ধারণা করেনি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। এটা সম্ভব হয়েছে, কারণ গ্রামের মেয়েরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং কাজে যোগ দিয়েছে। এটা আমাদের পোশাক শিল্পকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গেছে।
’
বাংলাদেশের নারীদের মুঠোফোন ব্যবহার ও তার মাধ্যমে আয়-উপার্জনের যে চেষ্টা, সেটিও অভাবনীয় বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেপাল, ভুটান ও উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর যদি ব্যবহার করতে পারে, এটা বাংলাদেশের জন্য বিরাট আয়ের উত্স হতে পারে। মিয়ানমার ও চীনকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশই হতে পারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।