আমি সাংবাদিক এবং ইংরেজি সাপ্তাহিক ব্লিটজ-এর সম্পাদক। এছাড়াও আমি গীতিকার, সুরকার, লেখক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন ভারতীয় সাংবাদিক দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী! দুবাই ভিক্তিক খালিজ টাইমস পত্রিকায় পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্টে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সাবেক প্রধান আসাদ দুররানি'র দেয়া বিবৃতিটি পুরোপুরি পাল্টে দিয়ে দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী নিঃসন্দেহে বাংলাদেশসহ অনেক দেশকেই বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি অপসাংবাদিকতার এক নগ্ন উদাহরণ সৃষ্টি করলেন। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানের বিবৃতিকে অন্যায়ভাবে পাল্টে দিয়ে ভারতীয় এই সাংবাদিক ১৯৯১ এর নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে পাঁচ কোটি আবার কোথাও-কোথাও পঞ্চাশ কোটি টাকা ঘুষ প্রদানের স্বরচিত তথ্য জুড়ে দিয়েছেন। খালিজ টাইমসের রিপোর্টে তিনি যদিও টাকার অংক পাঁচ কোটি উল্লেখ করেছেন, কিন্তু ইন্ডিয়া টুডে সহ ভারতীয় আরো বেশ কিছু পত্রিকায় তিনিই লিখলেন পঞ্চাশ কোটি! তারা অংকের এই হেরফের আসলে হয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর এসাইনমেন্টের বদৌলতে! জানা গেছে, ওই সংস্থাটি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে আসাদ দুররানি'র বক্তব্য দেয়ার পর-পরই সাংবাদিক দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে জড়িয়ে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেয়। এর পাশাপাশি ভারতীয় মালিকানাধীন খালিজ টাইমস কতৃপক্ষকে দীপাঞ্জন রায়ের রিপোর্টটা ফলাও করে প্রচারের নির্দেশ দেয়।
ঘটনার পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এলো থলের বেড়াল! কয়েক সপ্তাহ আগে বৃটেনের সম্ভ্রান্ত পত্রিকা ইকনমিস্ট ওদের রিপোর্টে দাবি করে, ২০০৯ সনের নির্বাচনের আগে ভারত, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে "বস্তায়-বস্তায় টাকা দিয়েছে"। এই সংবাদে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল এবং ওদের ভারতীয় "বন্ধুরা" বেজায় অপ্রস্তুত হন। ভারত এই সংবাদটির কোনো প্রতিবাদও করেনি। কারণ ইকনমিস্ট ওই রিপোর্টি ছেপেছে তথ্য-প্রমানের ভিক্তিতেই। এর পর থেকেই ভারতীয় নীতি-নির্ধারকরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে ঘায়েলের ষরযন্ত্র আটতে থাকে।
এরই অংশ হিসেবে দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীকে দিয়ে মিথ্যা রিপোর্টটি করলেও এখন খালিজ টাইমসের রিপোর্ট নিয়ে লাফালাফি করার পর বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল পড়েছে মারাত্মক বেকায়দায়। কারণ, পাকিস্তান থেকে আসাদ দুররানি'র জবানবন্দির কপি আনানোর পর ঢাকায় শাসক গোষ্ঠির আক্কেল গুরুম! ওরা এবার বুঝে গেছেন, র-এর পাতা ফাঁদে ওরা পা দিয়ে মারাত্মক বড় রাজনৈতিক ভুল করে বসেছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।