এসো ভাঙ্গনকে ভাঙ্গি,সৃষ্টিকে গড়ি,সুন্দরের কানে কানে বলি এ দ্রোহ আমার ১। প্রতি বছর ১৫ মিলিয়ন শিশু মারা যায় ক্ষুধার্ত অবস্থায়!!!
২। একটা মিসাইল এর মূল্যে,ক্ষুধার্ত বাচ্চায় পূর্ণ একটি স্কুলকে পুরো ৫ বছর দুপুরের খাবার খাওয়ানো যাবে!!
৩। ৯০ এর দশকে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু মারা যায় ক্ষুধার তাড়নায়। এই বিশাল মৃত্যু রোধ করা যেতো শুধুমাত্র ১০টা স্টিলস্থ বোম্বারের মূল্যের বিনিময়ে অথবা পূরো পৃথিবী মাত্র দুই দিনে মিলিটারিতে যে পরিমান খরচ করে তার বিনিময়ে!!
৪।
World Health Organization এর অনুমানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র এক তৃতীয়াংশ ভালোভাবে খাবার খায়,এক তৃতীয়াংশ পেট ভরে খেতে পারে না এবং বাকি এক তৃতীয়াংশ ক্ষুধার্ত। আমার এই লেখাটা পড়তে পড়তেই কমপক্ষে ২০০ মানুষ মারা যাবে ক্ষুধার্ত এবং বছর শেষে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ৪ মিলিয়নে!!
৫। আমাদের ভারত উপমহাদেশে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ক্ষুধার্ত মানুষের বসবাস। ৪০ শতাংশের মতো আছে এশিয়া এবং আফ্রিকায়,বাকি হতভাগা মানুষের হিসাব পাওয়া যায় লাতিন আমেরিকা এবং অন্যান্য অংশে।
৬।
প্রতি চার জনে এক জন,১.৩ বিলিয়ন- সভ্যতার(!) এক বিশাল অংশ বাস করে প্রতিদিন এক ডলারেরও কম উপার্জনে,অন্যদিকে ৩৫৮ জন বিলিয়নিয়ারের সম্পত্তির পরিমান পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৪৫% ধারণকারী দেশগুলোর মোট বাৎসরিক আয় থেকে বেশী!!!
৭। প্রায় তিন বিলিয়ন মানুষ প্রতিদিন ২ ডলার আয়ে বাচতে লড়াই করে।
৮। ১৯৯৪ সালে Washington DC এর Urban Institute এর হিসাবে সে দেশের বয়ঃবৃদ্ধ জনগনের প্রতি ছয়জনে একজন অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহন করে।
৯।
আমেরিকাতে ক্ষুধার্ত এবং বর্ণভেদের মধ্যে সম্পর্ক আছে। ১৯৯১ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৪৬% আফ্রিকান-আমেরিকান শিশু ক্ষুধার্ত থাকে,ল্যাটিনোদের মধ্যে থাকে ৪০% এবং সাদা চামড়ার শিশুদের মাঝে থাকে ১৬%।
১০। ১২ বছরের নিম্নঃবয়স্ক শিশুদের মধ্যে আমেরিকায় প্রতি আটজনে একজন প্রতিরাতে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যায়।
১১।
শুধুমাত্র ১৯৯৭ সালে ৩০০,০০০ বাচ্চার জীবন বাঁচিয়েছে উন্নয়নশীল বিশ্বে ভিটামিন এ গ্রহন প্রোগ্রাম।
১২। অপুষ্টিকে পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশী শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়,যা যেকোনো মহামারি রোগে মৃত্যূহার থেকেও বেশী।
১৩। পৃথিবীর মোট স্যানিটেশন এবং খাদ্য চাহিদার ১৩ বিলিয়ন ডলার মেটানো সম্ভব শুধুমাত্র আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের লোকেরা এক বছরে সুগন্ধি মাখতে যা খরচ করে তা দিয়েই।
১৪। পৃথিবীর সবথেকে ধনী তিন ব্যাক্তির যৌথ সম্পদের পরিমান সকল অনুন্নত দেশের মোট GNP থেকেও বেশী!!!
১৫। প্রতি ৩.৬ সেকেন্ডে কোনো একজন মারা যায় ক্ষুধার তাড়নায়!!
"প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা-
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়ঃ
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।