জিএসপি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বাৎসরিক আয় কমে যাবে প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা । এত টাকা আমাদের ক্ষতি হয়ে গেল অথচ আমাদের রাজনীতিবিদরা কত আনন্দে রাজনীতি করে যাচ্ছেন । তাদের কারনে আমাদের কত ক্ষতি হয়ে গেল কেউই একবার দূঃখ প্রকাশ করলেন না । আমাদের ৪ বিলিয়ন ডলার গেল সেই সাথে পদ্মা সেতু গেল, এত কিছু যাওয়ার পরে রাজনীতির কারনে কয়েকটা ব্যাপার পরিস্কার হতে শুরু করেছে । সরকারী দল বলেছেন লবিষ্ট নিয়োগ করা হয়েছিলো এবং লবিষ্ট হিসাবে একটি নাম সামনে আসতেছে ।
ঘটে যাওয়া উভয় ঘটনায় যে সকল সংস্থা এবং রাষ্ট্রের অভিমুখে স্থগিতের আবেদন করা হইয়াছিল সেগুলির সাথে কাকতালীয় ভাবে লবিষ্ট হিসাবে নিয়োগকৃত ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগও আছে । এত ঘটনায় মধ্যে আমার মনে হয় রাজনীতিবিদগনের দৃষ্টি এখনো আটকে পরে আছে পাবলিক কি বুঝতেছে বা পাবলিকের বাহবা কে বেশী পাবে তার প্রতি । মূল ক্ষতির কারনে বিন্দুমাত্র আফসোস কারার মত মনোভাব এখনো প্রকাশিত হচ্ছে না । আমাদের দলের জন্য দেশের এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল এমন হৃদয়ভাঙ্গা আফসোস কোন দলের মধ্যে নাই । এমন আফসোস এখনও যদি না দেখতে না পাই তবে মনে হয় আমরা বাংলাদেশীরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অভাগা নাগরীক ।
আমাদের রাজনীতিবিদগনের মধ্যে আমরা গর্ব করার মত কিছুই কি দেখতে পাবো না । দেশের মঙ্গলের জন্য উভয় দল মিলে যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি সুপারিশ করে তবে সমস্যা কোথায় ? ইতি মধ্যে একদল ঘোষনা দিয়েছে তারা চিঠি পাঠাবে । স্বাভাবিক কারনেই হাজার প্রশ্ন তাদের প্রতি তীরের ন্যয় উচ্চারিত হবে । আপনারাই কি জিএসপি বন্ধ করার জন্য সুপারিশ করেছিলেন যে আপনারা সুপারিশ করে চিঠি পাঠালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জিএসপি সুযোগ দেওয়া শুরু করে দিবে । যদি তাই হয় তবে কেন দেশের এতবড় ক্ষতি করে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য হাসিল করতে চাইলেন ।
আরওতো কত ভাবে রাজনীতি করা যেত । যখন যিনি দেশের ক্ষমতায় না থাকবেন তাকে কি দেশের ক্ষতি করে রাজনীতি চালিয়ে যেতে হবে । এমন রাজনৈতিক আর্দশ সত্যিই কি আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে ? পাঁচ বৎসর অপেক্ষা করতে পারবেন না ? যে নিবর্াচনে বিজয় অর্জন করে ক্ষমতায় বসেছে তাকে সুযোগ দিতে হবে না । তাই বলে কি সেই পাঁচ বৎসর দেশ ও জাতীর ক্ষতির প্ল্যানিং করতে করতে পার করতে হবে । এমন রাজনীতিবিদদের পিছনে যারা ঘুড়ছেন আর জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ বলছেন তাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই; আপনারা কেন এই অনৈতিক রাজনীতির অংশ হতে চাইছেন ।
ভুলকে ভুল বলুন । আত্মসমালোচনা করুন । আপনাদের বিবেকও কি বাধা দেয় না । আপনারা দলের কথা না ভেবে দেশের কথা ভাববেন না । আপনার নেতা ভুল করেছে বলে যে কোন মূল্যে সেই ভুলকে সমর্থন দিয়ে যাবেন ।
এমন আদর্শ নেতাদের মধ্যে থাকলে সেই দেশ ও জাতীর কোনদিন মঙ্গল হতে পারে না । এমন নেতারা জাতীয় বেঈমান রূপেই বেঁচে থাকবে ।
আর লবিষ্ট হিসাবে নিয়োগকৃত ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিৎ । যাদি সে বাংলাদেশের নাগরিক হয় তবে দেশের ক্ষতিতে অংশীদারিত্বের কারনে দেশের ভিতরে প্রবেশ করার অধিকার বাতিল করিয়া দেয়া উচিৎ যাতে এমন সব ব্যক্তি দেশে প্রবেশ করিয়া কোন একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠির সাথে মিলিয়া দেশের বিরুদ্ধে এমন গভীর ষড়যন্ত্র করিয়া দেশের ক্ষতি করার কথা চিন্তা করিতে না পারে । দেশের জনগনের সাথে বেঈমানী করার কারনে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা করা যাইতে পারে ।
ব্যাক্তিগত কারনে দেশের এত বড় সর্বনাশ, দেশের উন্নয়নে বাঁধা দেওয়ার কথা যারা ভাবে তাদেরকে দেশবাসী কোনদিনও ক্ষমা করিবে না । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।