আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিন্নমাত্রার ২টি জয়, ভিন্ন মাত্রায় বাংলাদেশ

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই আজকের দিনটা ব্যাতিক্রম ছিল। খেলাটাও ছিল ব্যাতিক্রম। বাংলাদেশও ব্যাতিক্রম। প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্কে বিদ্যুৎ চমকালো। শুভ আলোর ছটা পুরোটাই বাংলাদেশের মুখে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক একটি সালিশি আদালতে মায়ানমারের সাথে আমাদের সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারার মামলায় জিতলাম। খুবই মসৃনভাবে সব সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের জাতীয় চরিত্র অনুযায়ী আমাদের দাবীও ছিল ন্যায়সঙ্গত। এবং সরকারী তৎপরতাও সফলভাবেই কার্যকর হয়েছে। ----------------------------- উপমহাদেশের বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটের জনপ্রিয় ভেন্যু।

১৯৯৮ সালের মিনি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সফলভাবে সব রকমের ক্রিকেটের আয়োজন করে আসছি আমরা। বর্তমানে চলমান এশিয়া কাপও হচ্ছে জমজমাট। বেশ কিছু কারনে আজকের ম্যাচটা ছিল অন্যরকম। --সেঞ্চুরীর সেঞ্চুরীর জন্য শচীনের দীর্ঘ অপেক্ষা থাকার কারনে ১০০ কোটি মানুষের ভারত এবং বিশ্ব মিডিয়ায় ম্যাচটার উপর একটু বেশি ফোকাস ছিল। ভারতের লোকসভায় সেঞ্চুরী দেখার জন্য নাকি অধিবেশনও স্থগিত হয়।

--ভারতের সাথে বাংলাদেশের গত কিছুদিনের সম্পর্কও একটু নিন্মমুখী থাকায় দুই দেশের জাতীয় দলের খেলায় উত্তেজনা বেড়েছিল। --মুশফিক ভারতীয় দলের বোলিং দুর্বলতা উল্লেখ করায় এ নিয়েও সবার দৃষ্টি আকর্ষন হয়। --আর সবশেষ মানজারুল ইসলাম রানা'র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার স্মৃতিতে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মনে কিছু করার আকাঙ্খা ম্যাচটাতে আবেগের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। শচীনের কাঙ্খিত সেঞ্চুরী হয়ে যাওয়ায় অর্ধেক খেলা হবার পরই ম্যাচটা ভারত তো বটেই সারা বিশ্ব মিডিয়ার চোখের সামনে চলে আসে। কিন্তু বাংলাদেশ, গ্রেট ক্রিকেটার শচীনের প্রতি সন্মান প্রদর্শন শেষ হবার পর ২৮৯ রানের সন্মানজনক টার্গেট তাড়া করতে নেমে পুরো সময়জুড়ে ব্যাট হাতে যেভাবে শাষন করেছে, সেটা শুধুই একটি বিজয় নয়, বরং এর চেয়ে বেশি কিছু! তামিম-জহুরুলের পর ম্যাচটাতে বাঙ্গালদের সাহস সঞ্চার করে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়ার সাকিব।

তরুন নাসিরের সাথে সাকিব যখন ব্যাটের রূপে চাবুক হাতে শাষন করতেছিল তখনই থার্ড আম্পায়ারের ঐতিহাসিক বাজে সিদ্ধান্তে বিদায় হয় তার। কিন্তু এর ফলে কোন ক্ষতি হয় নাই বরং আমাদের সাহসী অধিনায়কের কাছে সামনে থেকে নের্তৃত্ব দেবার সুযোগ আসে। এবং মুশফিক সেটাই করে, ম্যাচ যখন টাইটানিক মুহুর্তে, তখন ইরফান পাঠানের এক ওভারের ১৮ রান বাংলাদেশের ডমিনেটিং ভিক্টরী নিশ্চিত করে ফেলে। বিশ্ব মিডিয়া তো বটেই, সারা ভারত দেখলো বাংলাদেশ কি দুর্দান্ত প্রতাপেই না ২৮৯ রান চেজ করলো! খেলার সময় বিএসএফের বর্বরতার প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ডের সাথে সাথে, এই শক্তি ও সামর্থ্যটাই দেখানোর ইচ্ছা ছিল ভারতকে। বাংলাদেশের শক্তির নিয়মিত বহিঃপ্রকাশ ঘটে না।

কিন্তু যেদিন ঘটে সেদিন সবাই মুগ্ধ হতে বাধ্য হয়। মজার বিষয় হলো, ইতিহাসে শচীনের সেঞ্চুরীর সেঞ্চুরীর সাথে বাংলাদেশের নাম তো যুক্ত হলোই সেই সাথে বাংলাদেশের এই বিজয়টাও যুক্ত হয়ে গেল। সেঞ্চুরী নিয়ে যখন কথা হবে, এই খেলার ফলাফলটা নিয়েও কথা হবে। সবাই স্বীকার করবে, বাংলাদেশ সেদিন প্রবল বিক্রমে জিতেছিল! এই জয়ে একটি গর্ব করার মত ইতিহাস হলো। আর বিশেষ এই সপ্তাহে মানজারুল ইসলাম রানা'র স্মৃতিতে উৎসর্গকৃত ম্যাচটার এমন শুভ ফলাফল যে বাংলাদেশের সার্বিক ভবিষ্যতের জন্য মহাজাগতিক শুভ সংকেত নয় এমনটা কেনই বা অস্বীকার করবেন? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।