আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঋষিকেশ মায়াময় এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পরিবেশ।

নারী ও শিশু আমার ভাল লাগার বিষয়। এদের নিয়ে কাজ করতে ভাললাগে। কিন্তু এখন আমার কর্মক্ষেত্র সকল জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে। আমার জীবনে এখন পর্যন্ত যত যায়গা ভ্রমন করেছি তার মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিবেচনায় ঋষিকেশ মায়াময় ও মোহময় এক জায়গা দখল করে আছে। ভারতের উত্তরাঞ্চলের বেশ উপড়ে এর অবস্থান।

আমরা গিয়েছিলাম দিল্লী থেকে হরিদ্বার হয়ে ঋষিকেশ। দিল্লী থেকে রাতে ট্রেনে করে রওনা দিয়ে পড়দিন সকালে হরিদ্বার। হরিদ্বারে কিছুক্ষন বেড়িয়ে যখন ঋষিকেশ পৌছাঁলাম তখন বিকেল গড়িয়ে যায় যায়। হরিদ্বার থেকে জিপে করে হৃষীকেশ। এক ঘণ্টার পথ।

যারা হরিদ্বারে বেড়াতে চান এই অংশটুকু তাঁদের জন্য। ধরমশালার শহর হরিদ্বার। পাচঁ শতাধিক ধরমশালা আছে হরিদ্বারে। তবে এরাঁ নামেই ধরমশালা, আসলে হোটেল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্চে। এমনকি রিক্সায় সংগেও কমিশন প্রথা আছে এদের কারো কারো।

ঘড়ে বসে গঙ্গার শোভা পেতে চাইলে ঘাটের কাছে হোটেলে রিক্সায় করে প্যারী ঘাটের কাছে পৌছেঁ যেতে সাহায্য করবে। বিষ্ণুঘাটেও থাকা ও খাবারের জন্য ভাল ব্যবস্থা আছে। হরিদ্বার ভারতের সপ্ততীর্থের অন্যতম। পবিত্র হিন্দু তীর্থ। গঙ্গাই হরিদ্বারের মূল আকর্ষন।

অতীতে নাম ছিল গঙ্গাদ্বার অর্থাৎ গঙ্গার দরজা। এখানে সন্ধ্যার দিকে বেড়াতে এসে আকাশের দিকে চাইলেই অদ্ভুত এক প্রাকৃতিক লিলায় মনটাই ভরে যায়। বাঁদরের বাদরামি থেকে সদা সতর্ক থাকতে হয় এই আরকি! ঋষিকেশ- দেবতার নামে জায়গার নাম। স্বর্গলোকের তোরণদ্বার এই ঋষিকেশ। এই ঋষিকেশ থেকেই যাত্রা শুরু হয়েছে হিমালয়ের দিকে দিকে।

পর্বতের চুড়া আর গঙ্গার পানি সাথে বনভুমি দেখার জন্য এক সর্বশ্রেষ্ট স্থান বলে আমার কাছে বিবেচিত। যতদিন ছিলাম প্যাকেজ টুরে গিয়েছিলাম বিধায় থাকা খাওয়ার কোনো চিন্তা করতে হয়নি। তাবু টাঙ্গিয়ে গঙ্গার পাশেই থাকার ব্যবস্থা ছিল। ওয়াসরুমের ও ব্যবস্থা ছিল। অদ্ভুদ এক মায়ময় পরিবেশ।

যাওয়ার সাথে সাথে আমাদের কাছ থেকে ঘড়ি নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাই প্রকৃতির সাথে মিল রেখে ঘুম থেকে উঠা খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি চলছিল। Rafting ও Hiking ইত্যাদিতে চার দিন কিভাবে পার হয়ে গেল টেরই পেলাম না। যখন ফিরছিলাম তখন ঘোরের মধ্যে ছিলাম । আজ এই ভ্রমন কাহীনি লিখতে গিয়ে দেখি স্মৃতিতে সব জ্বল জ্বল করছে।

ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। ছবিগুলো যদি আপনাদের মনে এতটুকু দোলা দেয়। তবেই আজকের লেখা সার্থক বলে বিবেচিত হবে। পানির মধ্যে ছবি তোলা একটু কষ্টসাধ্য। পানি ক্যামেরার লেন্স এ লেগে গেলে বেশ সমস্যা হয় অনেক সময় নষ্টই হয়ে যা্য তাই কেউ সাহস করে Rafting এর সময় ছবি তুলতে সাহস করেনি।

না হলে উচু নিচু কিছু ঢেউএর ছবি দেখানো সম্ভব হত। অন্য রকম মন ভুলানো সে আনন্দ। সকল বয়সের লোকজন নির্বিশেষে সেই আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্ছিত করতে চায়নি। কেউ একজন নিজেকে বঞ্ছিত করলে আজকে আমাদের হাতে অসাধারন কিছু ছবি থাকত।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.