আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেমনে বলি? ???

২০০৮ সালে খুব আগ্রহ নিয়ে ভর্তি হলাম তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক বিভাগে। স্বাভাবিক বিদ্যুৎ কে সবাই একটু ভয় পায়। কখন কি হয়ে যায়! সেটা শর্ট সার্কিট অথবা যাই হোক না কেন। তো ল্যাব গুলো করার সময় খুব একটা সমস্যা হয় নি। যেগুলো হয়েছে তাও খুব সামান্য।

সব মিলিয়ে ভালভাবেই এই ভয়ের বিষয়টা জয় করলাম, ২০১২ তে এসে। আর এই শেষ এর প্রাক্কালেই ঘটে গেল সবচেয়ে মারাত্নক দুর্ঘটনা। আমার বা ক্যাম্পাস এর কারো না। ঘটেছে আমাদের উপজেলা শহরে। আগুনে পুড়ে শহরের প্রায় ১৫ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে মুলত আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অবশ্য এর মধ্যে আগুন তার নিজের কর্ম সাধন করে ফেলেছে। পুড়িয়ে দিয়েছে অনেক গুলো মানুষের জমানো পুঁজি, অনেক গুলো স্বপ্ন। আমি এতো কথা বলতেছি, কারণ এর মধ্যে আমার বড় ফুফা’র মনোহারী দোকানও ছিল।

এলাকার একজনের ফেসবুকে দেয়া ছবি দেখে নিজেকে সামলাতে পারিনি। চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেল। যেটা আমার সহজে হয় না। আমার ফুফা’র দোকান বলে নয়! আমার মনে হচ্ছে এটা আমাদের (বিদ্যুৎ বিভাগ) ব্যর্থতা! কারন আমাদের দেশে রাস্তার উপর ঝট বাঁধানো তারের কুন্ডলী পরে থাকে। স্যাটেলাইট কেবল অথবা পিডিবি’র তারও অনেক সময় ঝুলে থাকে মাকড়শার জালের মত।

আজ যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার মূলেও এই জটলা পাকানো তারের কুন্ডলি’র অবদান থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এগুলো যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে বিন্যস্ত থাকত তাহলে হয়ত এমন ঘটনা ঘটত না। যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে, নতুনভাবে যেন কিছু না ঘটে। সেই ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। বিদ্যুৎ বিভাগকে এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এটা হয়ত জনগনের অধিকার, যা পালন করা আমার উপর তথা সকল প্রকৌশলী’র দায়িত্ব ও কর্তব্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।