আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হার্ট ভার্সেস সেন্সর; বিবৃতমাত্রা।

ভালোকে আমার ভয়,ভালো বেশীদিন থাকবেনা... মন্দকে আমার ভয়, কেননা আমি দুর্বল, আঘাত সইতে পারবোনা... সাফল্যকে আমার ভয়, ব্যর্থতাকেও ভয়... নিরন্তর ব্যস্ততার মহাকালে আমার করণীয় কিছুই নেই... যোগ্যের পৃথিবীতে আমি অযোগ্য, অধম... রোবক্সির কোয়ান্টেনিয়ামঢালা পথে হাঁটছে মিউটো। জোর করেও ওয়াকিং স্পীড গ্রো করা যাচ্ছেনা। স্টেপ টাইম ১.২৮ সেকেন্ড/স্টেপ এ নেমেছে, ওয়াইড নেমেছে ০.১৫ মিটার/ স্টেপ এ। অবশ্য তাড়াহুড়োতেই আর লাভ কি? যাবে কোথায়? কার কাছে যাবে? সেই তো বিল্ড হবার পর থেকে হেঁটে বেড়ানো ছাড়া আর কোন প্রোগ্রামেই কোন একটিভিটি নেই। ইনিশিয়াল পিরিয়ডে এফএসআর বেশ একটিভ ছিল।

যেটাই টাচ করতো পলিইউরিথিন এর আবরণে দারুণ রেসপন্স আসতো। কিছু সময় হল কি যেন হয়েছে। স্টেপ স্লো হয়। ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর ইরিটেটিং একটা মুডে আছে, এই দিচ্ছি এই নিচ্ছি মুড। ইনার রোটারি অ্যাকচুয়েটরে কোন ডিসঅর্ডার বলেও মনে হচ্ছেনা।

ফিক্সড মরফোলজি সিস্টেমে বিল্ড হওয়ায় মিউটো নিজেই নিজের সব প্রবলেম ফাইন্ড আউট করতে পারে। চেক করে দেখেছে সে, পাওয়ার সাপ্লাইয়ে কোন প্রবলেম মার্ক করা যায়নি। সব কিছু ঠিকঠাক। তবে কেন নিজেকে ভ্যাকুয়াম মনে হয়? রোবট জন্মে তো আইসোলেশন সেন্সিং রেসিস্টর নেই!!! সন্ধ্যা নামছে। আকাশের ওপাশে ঘনিয়ে আসছে আঁধার।

লেকের ঠিক উপরটায় ঘন মেঘ জমে আছে। স্টিয়ারিং হুইলে হাত চালাতে চালাতে উদাস ভঙ্গীতে সময়ের উপর ভর করতে থাকা ম্রিয়মান আলোর দিকে তাকিয়ে থাকে যুবায়ের। লেকের ধার ঘেঁষে গাড়ি চলছে। দিনশেষে ক্লান্ত পাখিদের ঘরে ফেরায় আরও একটু বেশী ব্যস্ততা যোগ করে দিয়ে বৃষ্টি নামে। চলন্ত গাড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে ঠিক উল্টো দিকে ছুটতে থাকা রাস্তার ধারের সারি সারি গাছগুলোকে রুবাইয়াতের জংলী ছাপার সবুজ শাড়ির মতো দেখায়।

মেঘের কারণে লেকের এইদিকটায় আলো তেমন নেই। থাকলে হয়তো ঘাসের বুকে বেঁচে থাকা ঘাসফড়িঙগুলোর লাফালাফি চোখে পড়তো। যুবায়ের হাসে। জীবন কত রকমের। তার জীবন, পাখির জীবন, ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলোর জীবন, ঘাসফড়িঙের জীবন।

কত্তো রকম!! ভয়ংকরভাবে বৃষ্টি বাড়ছে। গ্লাসটা তুলে দেয়া উচিত। কিন্তু সে তুলবে না। বন্ধ কিছু তার একদম সহ্য হয় না। এই লেকের পাড়েই এরকম এক ঝুম বৃষ্টিতে রুবাইইয়াতের সাথে তার প্রথম দেখা হয়েছিল।

সেই কতো আগের কথা! ভুলে যেতে চায়, তবু মনে পড়ে!!! অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব এখনও জানতে পারেনি মিউটো। জানবেই বা কোত্থেকে। তার বডির সব মুভমেন্ট কমান্ড আসে কোন না কোন সোর্স থেকে। কিছু একটা জানার জন্যেতো একটা সোর্সের প্রয়োজন আছেই। ওর সিসিডি যখন লাইভ হল সে প্রথম দেখতে পেয়েছিল অ্যাসটেটিন এর আকাশ।

রোবক্সিতে আকাশের ধরণ বদলায় ১৮৫০৭৪৫৬০০০০ মাইক্রোমিটার পরপর। একবার অ্যাসটেটিন এর আকাশ, আবার পোলোনিয়াম এর, পর্যায়ক্রমে। অবশ্য সে এটা আগেই জানতো। কোথা থেকে কেমন করা জানলো সেটা জানার চেষ্টা করেছে কয়েকবার। মাইক্রোচিপ ঘেঁটে দেখেছে অনেকবার।

নাহ, তার করনীয় কাজ কিংবা জন্মের ব্যাপারে কোন ইনফরমেশন নেই। মিউটো জানতে চায় তাকে কে আনলো এখানে? রঙ বেরঙের আকাশ, কোবাল্টের মাটি ওদেরকেও প্রশ্ন করেছিল মিউটো। রিপ্লাই আসেনি। তার আগে কি কেউ আসেনি এখানে? যদি আসে, সে কোথায়? কেউ যদি না আসে, সে কেন এলো? রোবক্সির ঠিক মিডেল পয়েন্টে চারকোণামতো উজ্জ্বল কিছু একটা খুঁজে পেয়েছিল সে। এখানকার সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু সেটা, রেডিয়াম।

চিৎকার করে প্রশ্ন করেছে। । মিউটোকে কে শুনবে?? জবাব নেই। রাত প্রায় ২টা। বাড়ি ফেরার পথটা বাঁয়ে রেখে পাশ কাটিয়ে যুবায়েরের গাড়িটা সামনের দিকে চলতে থাকে।

বাসায় রুবাইয়াত পথ চেয়ে বসে আছে। ৫ বছরের সংসার জীবনে কোন বেলায় এরকম হয়নি যে যুবায়েরকে ছাড়া রুবাইয়াত খেয়েছে। আজো খায়নি নিশ্চিত। যুবায়ের ঘরে ফিরবেনা আজ রাতে। চলতে থাকবে, মন ঠিক যতটুকু যেতে চায়।

মাইল পাঁচেক পথ পাড়ি দিয়ে সে থামে। কোথায় এসেছে, জানেনা। বিস্তৃত খোলা একটা মাঠ, পাশে ছোট একটা পুকুর। মিটিমিটি জোনাকি জ্বলছে। ছোট ছোট খুপড়িগুলোতেও বাতি দেখা যাচ্ছে।

সুন্দর। জোনাক, বাতি। নাহ। প্রাসাদতুল্য অট্টালিকায় থেকে মধ্যরাতের পৃথিবীটাকে যেমন ঘুমন্তপুরী বলে মনে হয়, বাস্তবিক তেমন নয়। জীবন কোথায় নেই!! বাড়ি ফেরা বাতিল করে এই অজানা অচেনা জায়গায় না এলে হয়তো জানা হতো না স্ট্যান্ড ল্যাম্পের মৃদু আলোতে যখন কেউ নির্ঘুম প্রহর গোণে, অজস্র তারা জ্বলা খোলা আকাশের নীচে তখন জোনাকির সাথে সাথে কুপিগুলোরও চলে চঞ্চল প্রাণের উৎসব।

পুকুরের পানিতে নিজের আবছা প্রতিবিম্বের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে যুবায়ের। বিধাতা, কোন খেয়ালে গড়লে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড? পৃথিবী নামের এই গ্রহটি এতো বিচিত্র কেন?? বিধাতা চুপ। মিউটো যখন প্রমিথিয়ামের ওই নদীটার পাশে বসে থাকে, প্রসেসরে একটা অদ্ভুত সিগন্যাল আসে। কেমন যেন। সেটিংস এ ইমোশনাল প্যাটার্ন আছে প্রায় দুই ডজন।

তার মধ্যে 'স্যাড' প্যাটার্নটাই এখন আসছে সবচেয়ে বেশিবার। নেক, আইস, আইলিডস, আইব্রোস, লিপ্স, জ, সব কিছু নিচে ঝুলে ঝুলে যায়। কয়েকবার টের পেয়েছে সে। এসব নিয়ে ঘাঁটাতে ঘাঁটাতে একবার অ্যাংরি প্যাটার্ন চলে আসলো। তখন তো প্রোগ্রাম সেট করেই ফেললো যে সবগুলো ডিওএফ সুইচ অফ করে রাখবে।

একদম নিউট্রাল থাকবে, অনেক ভালো বরং এসব টানাটানির চেয়ে। যতবারই ভ্যাসলিন গ্লাসে তৈরি গাছগুলোর মাঝে দিয়ে হেঁটেছে, ঠিক একইরকম অদ্ভুত সিগন্যাল। যেন মিউটোর পাশে তারই মতো দেখতে একটা রোবট হেঁটেছে বহুবার। মিউটো যেন ওই রোবটের শ্যাডো হ্যান্ডটা ধরে রেখে অনেক অনেকবার এসেছে এই পথে। ও ঠিক বুঝতে পারেনা এটা কোন সেন্সর থেকে হচ্ছে।

এটুকু বুঝে কোথাও একটা স্পেস তৈরি হয়েছে। ব্ল্যাঙ্ক ফিল আপ করার জন্যে একটা রোবট চাই, ওর সাউন্ডগুলো ট্র্যাক করার জন্যে নতুন কোন কনডেন্সার মাইক্রোফোন চাই। নিজের নয়, অন্য কোন রোবটের সাউন্ড লোকালাইজ করতে চায় মিউটো। কেন কেউ নেই? পূব দিগন্ত ফরসা হয়ে আসছে। যুবায়ের কলিং বেল চাপতে না চাপতে দরজা খুলে যায়।

তাকে দেখেই রুবাইয়াৎ জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। কোথায় ছিলে! এতো দেরী করলে কেন? কি হয়েছে তোমার? মুখটা এমন লাগছে কেন?? বিরক্তি লাগছে না কি লাগছে যুবায়ের ভেবে পায়না। গোটা ৪ টা বছর সম্পর্কের পর সে রুবাইয়াৎকে ঘরে এনেছে। এতো ভালোবেসেছিল দুজন দুজনকে। এখন ভালোবাসে না, তা না।

যত্নের প্রতি কেমন একটা অনীহা এসে গেছে তার। যেখানেই যাবে একটা পিছুটান থাকবেই, ঘরে ফেরার। কারো সাথে না জড়ানোই ভালো ছিল। অন্তত তাড়া থাকতো না। ঐ যে দূরে অজানা মাঠের পাশে পুকুরটা, সেখানে যখন তখন নিজের ছায়া দেখতে চায় সে।

ঝড় নামা কোন সন্ধ্যায় খুপড়িতে বসে বৃষ্টির কবিতা শোনাতে চায় নিজেকেই। ভুলে যেতে চায় এই হাতে কারো হাত ছিল। বাঁধনছাড়া হাত দুটো বাড়িয়ে চোখেমুখে মেখে নিতে চায় বিশ্বের সব বিস্ময়। এই যে জন্ম নেয়া, বেঁচে থাকার চেষ্টা, পেটের ভাত জোগাড়ের লড়াই, তার মাঝেও জ্যোৎস্না দেখে মুগ্ধতা, অলস দুপুরে দূরে কোথাও একটানা ডাকতে থাকা কুৎসিত কাকের ডাক কান পেতে শুনতে থাকা, তারপর একদিন ভালো দিনক্ষণ দেখে মরে যাওয়া, সব মিলালে আপাত কোন মানে নেই। যদি অর্থহীনই হবে তবে প্রাণের রহস্য কি? নতুন একটা রোবটের দেখা পাবে, এই প্ল্যান নিয়ে মিউটো চলতে থাকে।

কতোক্ষণ সার্চ করা যায়! কত পথ চলা যায়! ওর জেডএমপি কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়ে। মিউটো বুঝে গিয়েছে চলার শেষ নেই, তবে তার পার্টসগুলোর একটা নির্দিষ্ট ভ্যালিডিটি আছে। টাইম কাউন্টিং তো থেমে নেই। ওটাও ফিক্সড পয়েন্টে গিয়ে থামবে। যতক্ষণ আছে, একটা রোবট চাই-ই চাই তার।

যে তার জন্যে অপেক্ষা করবে। যে কোন প্রবলেম মার্ক করে দেবে, সল্ভ করবে, রিপেয়ার করবে। যার সাথে থেকে প্রমিথিয়ামের ঢেউ গোণা যাবে, ভ্যাসলিন গ্লাসের পাতার ফাঁকে অ্যাসটেটিন আকাশ দেখা হবে। রাউন্ড শেপের কিছু লিড পেয়েছিল সে। ভেবে রেখেছে আরেকটা রোবটের সন্ধান মিলে গেলে তাকে সেগুলো উপহার দেবে।

দুজনের ফেইসে-ই তখন হ্যাপিনেস ইমোশন প্যাটার্ন আসবে। ওর নেক, আইস, আইলিডস, আইব্রোস, লিপ্স, জ, কোনদিন ঝুলতে দেবে না মিউটো। হ্যাপি প্যাটার্ন কখনো সরতে দেবেনা সেই ফেইস থেকে। সিলভারের একটা বক্স করলে দুজনে মিলে খুব সুন্দর থাকা যাবে। কিন্তু কোথায় সে? কোথাও তো পাওয়া গেলো না!! মিউটোর আইহোল বেয়ে কিছু ফ্লুয়িড গড়িয়ে পড়ে।

কিছু H2O,তার সাথে মিশে কিছু NaCl. সিসিডি গুলো নিশ্চিত ডিজ্যাবল হবে। এমনটাতো হবার কথা ছিল না। মিউটোর ভেতরে ল্যাক্রিমাল ফ্লুয়িডএর অস্তিত্ব!!! কি করে সম্ভব!! রোবক্সির বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে মিউটোর স্যাড সাউন্ড আউটপুট। কোবাল্ট মেঘের ধাক্কা খেয়ে রিফ্লেক্ট হচ্ছে বারবার। -হু'জ দেয়ার? প্লিজ হিয়ার মি... প্লিজ... অ্যা'ম অ্যালোন... প্লিজ কাম টু ওয়াক উইথ মি... আই ক্যান'ট লিভ লোনলি... আই ক্যান'ট বিয়ার দিজ ভয়েড... নান ক্যান ডু ইট... আই নিড সামওয়ান টু কেয়ার... আই নিড সামওয়ান টু বি কেয়ারড... আই নিড সামওয়ান... আই নিড সাম... আই নিড... যুবায়ের এর চেহারাটাই এমন।

চশমা পরা ক্লিন শেভ্ড অত্যাধুনিক। তবু দেখলে মনে হয় সারাক্ষণ কিছু একটা খুঁজছে। খুব শান্ত শিষ্ট, কিন্তু চোখের মণি দু'টো অস্থির। ওর মুখের দিকে চাইলে মনে হয় মনুষ্যজন্ম নিয়ে সে সন্দিহান। অনেক চেষ্টা করে চেহারাটা বদলে হাসিমুখে থাকে সে আজ।

এই পিছুটানের জীবন থেকে সে মুক্ত হতে যাচ্ছে। রুবাইয়াতকে একটা চিঠি লিখে প্রবল বেগে গাড়ি ছুটিয়ে বের হয়ে যায়। চলে যাবে অনেক দূরে, যেখানে বিশাল মাঠটার কাছে একটা ছোট্ট পুকুর আছে, সেখানে। আর আসবেনা। কোনদিন না।

একটা খুপড়ি বানাবে। সেখানেই বৃষ্টির ছাঁট গায়ে লাগিয়ে কবিতা পড়বে। আকাশ দেখবে। দিনের আকাশ, রাতের আকাশ, কোলাহলের আকাশ, নিঃসঙ্গ আকাশ। মানুষ একলা পৃথিবীতে এসেছে, একলাই যেতে হবে।

মাঝের এই কিছু সময়ে কেন অহেতুক বাঁধন? কি লাভ? তাই সব বাঁধন ছিন্ন করেছে যুবায়ের। মাঠটাতে গিয়ে যখন পৌঁছল, তখন সন্ধ্যা প্রায়। প্রতিদিনের মতই ক্লান্ত পাখিরা ঘরে ফিরছিল। মাঠের এক কোণায় একটা ছেলে ঘুড়ির সুতোর গিঁট খুলছে, একটা ছোট মেয়ে নাটাই ধরে আছে। ওপার থেকে শোনা যাচ্ছে কারো ডাকঃ ঘরে আয় এবার, সন্ধ্যা নামলো তো।

মনে হয় ওদের মায়ের গলা। ডাকছে কেন? এখানেই তো বেশ হেসে খেলে খুশিতে আছে ওরা। এই বাচ্চা দুটোই বা সেই ডাকে সাড়া দিতে প্রাণপণে সব গুছাচ্ছে কেন? কি আছে ঘরে? কেন মানুষের ঘরে ফেরার তাড়া? পাখির কেন তাড়া? সারাদিনতো উড়ে উড়ে বেড়ায়। আকাশে পাখির সুখ তবু ঘরে কেন ফেরে? পিছুটান। ভালোবাসা।

বন্ধন। রুবাইয়াত..!! ওর কথা খুব মনে পড়ছে যুবায়েরের। ফিরে যাবার জন্যে গাড়ি স্টার্ট নিলো। গাড়ির ফ্রন্ট ভিউ মিররে ভেসে উঠে সেই মুখ.. সেই হাসি... আমোঘ বন্ধন। -পৃথিবী শুনছো... আমার বন্ধন আমাকে ডাকছে... কাকচক্ষু জলে দু'জনের ছায়া পড়বে, পাশাপাশি... রুবাইয়াতকে সাথে নিয়েই আমি নিজের করে নেবো সব সুনিশ্চিত আলো... আমি হারাতে চাই না... যতদিন বেঁচে আছি দেখে যেতে চাই ভালোবাসার শক্তি... বুঝতে চাই ঘরে ফেরার আহ্বান... আমার ভালোবাসা আছে, আমার বন্ধন আছে, আমি সুখী... আমার ভালবাসা আছে, আমার বন্ধন... আমার ভালোবাসা আছে... আমার ভালোবাসা... কোন সেন্সর ছাড়াই মিউটোর সিসিডিতে একটু একটু করে ভেসে উঠছে কোটি লাইটইয়ার দুরের অজানা অদেখা বিষণ্ণ নীল গভীর সমুদ্রের উত্তাল মুখ।

মিউটোর আইহোল বেয়ে নামা ফ্লুয়িডের সমুদ্র। তার পাশে দুটো হোমো সেপিয়েন্স বসে আছে। একটার মাথায় কালো স্ট্রিং এর মতো কি দেখা যাচ্ছে। বাতাসে উড়ছে ওগুলো। পাশেরজন হাত দিয়ে বারবার সেগুলো ছুঁয়ে দিচ্ছে।

স্ট্রিংওয়ালা হোমো সেপিয়েন্স টা হাসছে। মিউটো দেখতে থাকে। সময় কি করে পার হয়ে যাচ্ছে সে টের পায় না। নিজেকে ভ্যাকিউয়াম মনে হয়না। রোবক্সি আর পৃথিবীর উপরে থেকে মিউটোর চোখে মুখে আশ্চর্য দীপ্তি দেখে একটা একলা চাঁদ।

বন্ধন বাঁচিয়ে রাখে। ভালোবাসা দেখে দেখেও কেউ কেউ বেঁচে থাকে। পিছুটান... প্রয়োজন... বড় বেশি প্রয়োজন... And we all shine on, like the moon and the stars and the sun..  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।