( দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা থেকে সংগৃহীত)
গত ৩ সপ্তাহে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে কমপক্ষে ১৪ তরুণকে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অপরাপ তারা পশ্চিমা স্টাইলে আঁটোসাটো জিন্স, টি-শার্ট পরেছিল। তার সঙ্গে মাথায় ছিল খাড়া খাড়া লম্বা চুল। গতকাল বৃটিশ একটি মিডিয়া এ খবর প্রকাশ করার পর পরই চারদিকে তা ফলাও করে প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী ও হাসপাতাল সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাগদাদের শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিম জঙ্গিদের প্ররোচনায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
সেখানে আরও কয়েকজন তরুণের নামের তালিকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। ফ্যাশন পরিবর্তন না করলে তাদেরও হত্যা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গত মাসে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পশ্চিমা ‘পাঙ্ক’ সংস্কৃতি ‘ইমো’কে ‘শয়তানের সংস্কৃতি’ বলে বর্ণনা করে পুলিশকে এর অনুসারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয়। বিডিনিউজ জানায়, এরপর থেকেই ‘ইমো’ পোশাক পরা তরুণদের হত্যা করতে শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বিকশিত পাঙ্ক সঙ্গীতের একটি রূপ হচ্ছে ‘ইমো’।
ইমোর অনুসারীরা তাদের বিশেষ ধরনের পোশাক ও চুলের ছাঁটের কারণে পরিচিত। প্রায়ই তারা টাইট জিন্স, বিভিন্ন লোগো সম্বলিত টি-শার্ট পরে এবং তাদের চুল লক্ষ্যণীয়ভাবে বড় বা কাঁটা কাঁটা ছাঁটের হয়ে থাকে। কারো কারো মুখ চুল দিয়ে অর্ধেক ঢাকা থাকে। পূর্ব বাগদাদের তিনটি হাসপাতালে কমপক্ষে ১৪টি মৃতদেহ আনা হয়েছে, যাদের শরীরে পাথর ও ইট দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী ও হাসপাতাল সূত্রগুলো এ কথা জানিয়েছে।
বাগদাদের সদর সিটির হাসপাতাগুলোতে নয়টি মৃতদেহ আনা হয়েছে, পূর্ব বাগদাদের আল কিন্ডি হাসপাতালে আনা হয়েছে তিনটি মৃতদেহ আর বাকি দুটি মৃতদেহ কেন্দ্রীয় মর্গে নিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া ২ জন কিশোরীসহ আরও ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি সূত্র জানায়। পূর্ব বাগদাদের শিয়া অধ্যুষ্যিত বেয়া এলাকায় শনিবার বিতরণ করা একটি লিফলেটে ২৪ তরুণের নাম দিয়ে তাদের হত্যা করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সদর সিটিতে ছড়ানো লিফলেটে ২০ জন তরুণের নাম রয়েছে। লিফলেটে বলা হয়েছে, আমরা এইসব উগ্র তরুণ তরুণীদের অত্যন্ত কড়াভাবে সতর্ক করছি, চারদিনের মধ্যে তোমরা তোমাদের এইসব নোংরা কাজকর্ম থেকে না সরলে মুজাহিদিনদের হাত দিয়ে খোদার গজব তোমাদের ওপর নেমে আসবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।