মানুষ মা্ত্রে লজ্জ্বা থাকবে, হুস থাকবে,,,, তাহলেই তো মানুষ ।
ভাবসম্প্রসারনে পড়েছি.... প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না...
লজ্জ্বা শরমের মাথা খেয়ে এত মিথ্যা কথা বলে কিভাবে...
যাহা সত্য তাহা বল, না হয় চুথ থাক,,,
যাহা সত্য তাহা বার বার বল তবুও নির্লজ্জ্বের মত মিথ্যা কথা বলিও না.... বিশ্বের কাছে সাধারন বিবেকবান মানুষদের আর ছোট করিও না.....
বিশ্বের অনেক শক্তিশালী দেশে নারীরা শীর্ষ পদে যাওয়ার সুযোগ না পেলেও বাংলাদেশে গ্রামীণ নারীদের মুক্তির পথ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেয়ে শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ দেওয়ার জন্যও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “অনেক বড় বড় দেশে নারীরা সরকার প্রধান হতে পারে না। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশেও নারীরা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারে না।
হলেই ভরাডুবি। অনেক দেশে গ্রামীণ নারীরা এখনো গৃহবন্দি। এ অবস্থা থেকে আমরা অনেক এগিয়ে। ”
জাতিসংঘ এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে ‘গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়ন: ক্ষুধা ও দারিদ্র থেকে মুক্তি’।
সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে হাসিনা বলেন, “আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছি।
এতে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য পুরুষের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। ”
দেশ ও সমাজের উন্নয়নে ছেলে ও মেয়ে সন্তানকে সমান চোখে দেখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ছেলে ও মেয়ে শিশুকে সমান চোখে দেখুন। তাদেরকে সমান খাবার, যতœ ও সুযোগ-সুবিধা দিন।
সময়মতো স্কুলে পাঠান। দেখবেন তারাও আপনার পরিবার, সমাজ ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে। ”
অনেক অভিভাবক নিজের অজান্তেই মেয়ে শিশুর সমস্ত সৃজনশীলতা নিঃশেষ করে ফেলেন- এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি দেশের সব নারীকে এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাই। ”
নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
“এটি বাংলাদেশ আজ বিশ্বে প্রমাণ করেছে।
আমরা শহরের পাশাপাশি গ্রামের নারীকেও ঘরের কোণ থেকে বের হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি। ”
এক পর্যায়ে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা থেকেও উদ্ধৃত করেন শেখ হাসিনা- বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমাজের এ অর্ধেক অংশকে দূরে সরিয়ে রাখলে দেশের ক্ষতি, সমাজের ক্ষতি, বিশ্বের ক্ষতি। এ ক্ষতি পূরণের কোনো অবকাশ নেই। ”
গ্রামীণ নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক উন্নত দেশেও নারীর এমন উত্তরণ দেখা যায় না।
তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে নারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে হাসিনা বলেন, “ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্র থেকে তারা কৃষি, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে পারছেন। কম্যুনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন। ”
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচিগুলোতে নারীকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃকালীন ভাতা ও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ”
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী নিল ওয়াকার বলেন, “বাংলাদেশে নারীরা নিজেদের উন্নয়নে যে কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে- তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই।
নারী ও পুরুষের সমঅধিকার শক্তিশালী পারিবারিক বন্ধন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ক্ষমতায়ন সৃষ্টি করে। ”
জাতীয় নারী নীতি বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সহায়তার কথা তুলে ধরে নিল ওয়াকার বলেন, বাংলাদেশ লিঙ্গ সমতায় ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে।
সভাপতির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীর উন্নয়নে ও ক্ষমতায়নে সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার আব্দুল হামিদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ মেহের আফরোজ চুমকি ও সেগুফতা ইয়াসমিন এমিলিসহ সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য, নারী নেত্রী এবং নারী উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিস্তারিত বিশ্বস্ত সূত্র ::
Click Here... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।