আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ (০৮/০৩/২০১২) বিশ্ব কিডনী দিবস

তবে তাই হোক, ক্লান্তিহীন তিল তিল আরোহনে সত্য হোক বিক্খুব্ধ এই জীবন _____ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিডনী দিবস পালিত হচ্ছে আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য “জীবনের জন্য কিডনী” । আমাদের দেশে দিন দিন কিডনী রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞরা এর কারণ হিসেবে অনিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপনকে দায়ী করছেন, এর মধ্যে দুষিত পানি পান, কম পানি পান, দীর্ঘদিন উচ্চমাত্রার ওষুধ সেবন, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় না করা, অসচেতনতা অন্যতম। এক পরিসংখানে জানা গেছে বাংলাদেশের প্রায় দুই কোটি লোক কোন না কোন ধরনের কিডনী রোগে ভুগছেন, এদের মধ্যে স¤পূর্ণ কিডনী বিকল রোগীদের বাচাতে, কিডনী ডায়ালাইসিস অথবা কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট করতে হয় আর মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ কিডনী চিকিৎসা নিতে পারছে।

আমাদের দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠির পক্ষে কিডনী ডায়ালাইসিস অথবা কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট এর বিপুল অর্থ বহন করা খুবই দূরুহ ব্যাপার। কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমে “ডায়ালাইসিস অথবা কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে রমরমা ব্যবসা” শিরোনামে খবরে বিষেশজ্ঞরা প্রাইভেট সেক্টরে কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট/প্রতিস্থাপন চিকিৎসা বন্ধ রেখেছেন তবে শুধুমাত্র সরকারী ইনষ্টিটিউট (বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়, ঢা মে ক, ন্যাশনাল কিডনী ইনষ্টিটিউট) গুলোতে কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট/প্রতিস্থাপন চিকিৎসা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র নিকটাত্মীয়রাই কিডনীরোগীদের কিডনী দান করতে পারবেন কিন্তু নিকটাত্মীয় সনাক্ত করার মত এদেশে সরকারী কোন বিভাগ না থাকায় এবং পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে বর্তমানে অনেক কিডনী রোগী অকালে মারা যাচ্ছে। বিষেশজ্ঞদের মতে আমাদের সবার নিয়মিত কিডনী স্ক্রিনিং করিয়ে নেওয়া উচিত বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিকস, উচ্চরক্তচাপ অথবা স্কিন রোগে আক্রান্ত তাদের কিডনী রোগ সম্পর্কে বেশীই সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কিডনী বিশেষজ্ঞরা। বেশীকরে বিশুদ্ধ পানি পান, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন, ডায়াবেটিকস / উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রন কিডনী রোগ নিয়ন্ত্রনে গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা পালন করবে বলে আমি আশাবাদি।

নারীদিবসে এই লেখাটি সমস্ত নারীদেরকে উৎসর্গ। অপর এক পরিসংখানে জানা গেছে পুরুষের তুলনায় নারীদের কিডনী রোগীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক বেশী। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।