জিরাফ এই পৃথিবীর দীর্ঘতম গর্দান বিশিষ্ট প্রানী। এই বিশাল গর্দানটিও কিন্তু অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রানীর মতই মেরুদন্ডের ৭ টি হাড়ের উপর দন্ডায়মান। জিরাফের গর্দানটি এত উচুতে হওয়া স্বত্বেও রক্ত সঞ্ছালন করতে তাদের হৃদপিণ্ডের কোন অসুবিধা হয় না। আমাদেরমত জিরাফের মস্তিষ্কও উপযুক্ত পরিমান রক্ত সরবরাহ পেয়ে থাকে। অথচ আমাদের হৃদপিণ্ডেরও এতটা শক্তি নাই।
কিন্তু জিরাফের হৃদপিণ্ডের এই ক্ষমতা আছে। জিরাফ যখন পানিখেতে তার মাথাটি পায়ের নিচে পর্যন্ত নামিয়ে আনে তখন স্বাভাবিক ভাবেই উচ্চ রক্তচাপে তাদের স্ট্রোক হয়ে যাবার কথাবা মস্তিস্কে রক্ত ক্ষরন হয়ে তাদের মারা যাবার কথা। কিন্তু না, জিরাফ অনায়েসেই পানি খেয়ে ফেলে। কারন তারকন্ঠ দেশে স্থাপিত রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা; যখন তারা মাথা নিচুকরে তখন তাদের কন্ঠনালি সংলগ্ন রক্তবাহী শিরাগুলির ‘ভালব” গুলি বন্ধ হয়ে গিয়ে অতিরিক্ত রক্ত স্রোতের পথ রুদ্ধ করে দেয়। ফলে জিরাফ অনায়েসে পানি খেতে পারে।
জিরাফরা নিশ্চয়ই চিন্তা ভাবনা করে এই ভালব লাগিয়ে নেবার ব্যবস্থা করেনি। আবার এমনটিও হতে পারে না যে, এই ব্যবস্থাটি সুদীর্ঘকাল ধরে বিবর্তিত হতে হতে এক সময় এই পর্যায়ে এসেছে। একটি জিরাফ কে বাচতেহলে পানি খেতেইহয়েছে, আর পানি খেতে তাকেঘাড় নামাতেই হয়েছে, আর ঘাড় নামানো মাত্রই মস্তিস্কে উচ্চ রক্ত চাপের কারণে তার মৃত্যু হবার কথা, ফলে জিরাফ প্রানীটি বহু আগেই এই পৃথিবীথেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবার কথা। কিন্তু তাহয় নি। ফলে বলা যায় বর্তমান দৈহিক বৈশিস্ট্য সমূহ নিয়েই এইপ্রজাতিটি এই পৃথিবীতে এসেছে।
ডারউইনের বিবর্তনবাদ মেনে চললে জিরাফ প্রাণীটি অনেক আগেই এই পৃথিবীথেকে বিলুপ্ত হয়ে যেত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।