৪২০
উঁচু গাছের পাতা খাওয়ার জন্য জিরাফ যদি তার গলা লম্বা করে নিতে পারে, আমরা কেনো আমাদের ঘাড়ে দুইটা পাখা গজিয়ে নিতে পারি না?
বিবর্তন সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির একটা প্রধান কারণ হলো অনেকেই ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে মনে করেন, বিবর্তন একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের পানে এবং একটা বেঁধে দেওয়া পথে চলে। আর একটা কারণ হলো এই ভুল ধারনা যে, ইচ্ছে করলেই কোন বিশেষ প্রাণীকুল প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারে।
আলফ্রেড ওয়ালেস (১৮২৩-১৯১৩) এবং চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২), প্রায়ই একই সময়ে যদিও স্বতন্ত্রভাবে আবিস্কার করেন যে, পরিবেশের সাথে মানানসই বিশেষ প্রকারণ (variation) থাকার কারণে কোন জনপুঞ্জের (population) যে সদস্যরা (individuals) অন্যদের তুলনায় প্রকৃতির সাথে বেশি খাপ খাইয়ে টিকে থাকতে পারে তারাই বেশি বেশি বংশধর রেখে যায়। পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে পূর্ববর্তী প্রজন্মের যে বৈশিষ্ট্যগুলো টিকে থাকতে এবং বংশবিস্তার করতে বেশি কাজে লাগে সেগুলোকেই বেশি বেশি দেখা যেতে থাকে। বংশবিস্তারে এই অতিরিক্ত সক্ষমতাকে differential reproductive success বলা হয়েছে – যাকে বাংলায় ‘ভিন্নতাজনিত প্রজনন সাফল্য’ বলা যেতে পারে।
এই সাফল্য ছাড়া বিবর্তন সম্ভব নয়। আর এই প্রক্রিয়ার নামই হলো প্রাকৃতিক নির্বাচন বা natural selection।
বন্যা আহমেদের ভাষায়[1],“যে প্রকারণগুলো তাদের পরিবেশের সাথে অপেক্ষাকৃত বেশি অভিযোজনের (adaptation) ক্ষমতা রাখে, তাদের বাহক জীবরাই বেশীদিন টিকে থাকে এবং বেশী পরিমানে বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। এভাবে প্রকৃতি প্রতিটা জীবের মধ্যে পরিবেশগতভাবে অনুকুল বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের নির্বাচন করতে থাকে এবং ডারউইন প্রকৃতির এই বিশেষ নির্বাচন প্রক্রিয়ারই নাম দেন প্রাকৃতিক নির্বাচন (natural selection)”
প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন জনপুঞ্জের মধ্যে থাকা প্রকারণগুলোর মধ্য থেকে বেছে নেয় সেই বৈশিষ্ট্যগুলোকে যেগুলো পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। আর তার ফলেই ঘটে বিবর্তন।
দেখা যাচ্ছে প্রকারণ না ঘটলে বেশি খাপ খাইয়ে চলার মতো সুবিধা অর্জন সম্ভব হয় না। এই কারণেই লম্বা গলাওয়ালা জিরাফের সংখ্যা বাড়তে থাকে খাটো গলাওয়ালা জিরাফের সংখ্যার তুলনায়। প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া জিরাফের গলা রাবারের তৈরী খেলনার মতো টেনে লম্বা করে দেয়নি। বরং প্রকারণের কারণে যে জিরাফগুলোর ‘জিন’-এর মধ্যে গলা লম্বা হওয়ার মতো ‘সুবিধাজনক’ বৈশিষ্ট্য ছিল সেগুলোই টিকে থাকতে পেরেছে বেশি এবং খাটো গলার জিরাফের চাইতে বংশবিস্তার করতে পেরেছেও বেশি। কিছু কাল পরে দেখা গেল প্রকৃতির এহেন পক্ষপাতমুলক নির্বাচনের ফলে শুধু লম্বা গলাওয়ালা জিরাফেরাই টিকে থাকলো।
সংক্ষেপে এই হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের প্রক্রিয়া।
আরো একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে[2]। ধরা যাক, একসময়ে গুবরে পোকারা সব উজ্জ্বল সবুজ রং-এর ছিল। হঠাৎ দেখা গেল, তাদের সন্তানদের মধ্যে খয়েরি রং-এর কিছু পোকার আবির্ভাব শুরু হয়েছে। এই প্রকারণটা (জেনেটিক ভেরিয়েশন) ঘটে থাকতে পারে মিউটেশনের ফলে।
(একটি জিন-এর ডিএনএ অনুক্রমে স্থায়ী পরিবর্তনকে বলা হয় মিউটেশন। মিউটেশন হচ্ছে প্রকারণ ঘটার একটা প্রধান উপায় যদিও একমাত্র উপায় নয়। ) ক্রমান্বয়ে দেখা গেল খয়েরি রং-এর পোকার সংখ্যা ওই জনপুঞ্জে বাড়ছে আর উজ্জ্বল সবুজ রং-এর পোকার সংখ্যা কমছে। কারণ, পাখীরা উজ্জ্বল সবুজ পোকাগুলো সহজেই চোখে পড়ছে বলে ওগুলোকেই বেশি বেশি খেয়ে নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সবুজ পোকা আর থাকলোই না, পুরো জনপুঞ্জটাই পরিণত হলো খয়েরি গুবরে পোকার প্রজাতিতে।
সংক্ষেপে এই হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের প্রক্রিয়া।
কোন ডিজাইন বা নক্সা নয়, কারো সুচিন্তিত পরিকল্পনার ফলশ্রুতি নয় - প্রাকৃতিক নির্বাচন একটা নিছক বস্তুবাদী প্রক্রিয়া। কোন অতিপ্রাকৃতিক শক্তির নির্দেশ ছাড়াই প্রকৃতি তার কাজ করে যাচ্ছে, জীবজগতে প্রতিনিয়ত ঘটিয়ে চলছে রূপান্তর।
বিবর্তিত হওয়া মানেই কিন্তু উন্নততর হওয়া নয়। অনেক ‘উন্নীত’ জনপুঞ্জ নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে অবলুপ্ত হয়ে গেছে।
টিকে থাকার যোগ্যতা পরিবেশের সাথে সম্পর্কিত, সুচিন্তিত কিংবা সুসমন্বিত অগ্রগতির কোন নিদর্শন এতে নেই। তাই বিবর্তিত হওয়া মানে যোগ্যতর হওয়া, যোগ্যতম নয়।
ঠিক এ কারণেই কোন প্রানীই নিখুঁত ডিজাইনের ফল নয়। প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন দক্ষ কারিগর নয়। তাই একে বড়জোর ক্রমোন্নয়নের প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে।
যা আছে তার ওপরেই প্রাকৃতিক নির্বাচন কাজ করে, যা নেই তা বানাতে পারে না। সুবিধাজনক মিউটেশন ঘটলে অভিযোজন কাজ করতে পারে, নইলে নয়।
সামুদ্রিক কচ্ছপের কথাই ধরুন না। এদের পাখনা সাঁতার কাটতে যতটা সুবিধাজনক, বালি খোঁড়ার কাজে ততটা নয়। অথচ, ডিম পাড়ার জন্য তাদেরকে এই কাজটাও করতে হয়।
কিন্তু কাজটা খুব একটা ভালোভাবে করা যায় না, উপযুক্ত পাখনার অভাবে[3]। এমন আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে প্রকৃতিতে, জীবজগতে। বস্তুতঃ ঠিকমতো অভিযোজন ঘটে নি বলে অনেক প্রজাতিতো বিলুপ্তই হয়ে গেছে। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রজাতির পরিমাণ আনুপাতিক হারে প্রায় শতকরা নিরানব্বই ভাগ।
মানে দাঁড়ালো এই যে, বিবর্তনের প্রক্রিয়া কার্যকর হতে হলে প্রাকৃতিক নির্বাচন বা জেনেটিক ড্রিফটের মতো কিছু ঘটতে হবে এবং তা ঘটার আগে ডিএনএ-র মধ্যে জেনেটিক ভেরিয়েশনও ঘটতে হবে।
তাই কোন প্রজাতি বা কেউ চেষ্টা করলেই বিবর্তিত হ’তে পারে না। এবং তাই প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন প্রজাতির বা প্রাণীর যা ‘দরকার’ তাই সরবরাহ করতে পারে না। পারলে এরোপ্লেন না বানিয়ে আমাদের মানবপ্রজাতি নিজেদের ঘাড়ে দুটো কেন হয়তো চারটে পাখাই গজিয়ে নেয়ার ব্যাবস্থা করে নিত। বিবর্তন সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির একটা প্রধান কারণ হলো অনেকেই ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে মনে করেন, বিবর্তন একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের পানে এবং একটা বেঁধে দেওয়া পথে চলে। আর একটা কারণ হলো এই ভুল ধারনা যে, ইচ্ছে করলেই কোন বিশেষ প্রাণীকুল প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারে।
আলফ্রেড ওয়ালেস (১৮২৩-১৯১৩) এবং চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২), প্রায়ই একই সময়ে যদিও স্বতন্ত্রভাবে আবিস্কার করেন যে, পরিবেশের সাথে মানানসই বিশেষ প্রকারণ (variation) থাকার কারণে কোন জনপুঞ্জের (population) যে সদস্যরা (individuals) অন্যদের তুলনায় প্রকৃতির সাথে বেশি খাপ খাইয়ে টিকে থাকতে পারে তারাই বেশি বেশি বংশধর রেখে যায়। পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে পূর্ববর্তী প্রজন্মের যে বৈশিষ্ট্যগুলো টিকে থাকতে এবং বংশবিস্তার করতে বেশি কাজে লাগে সেগুলোকেই বেশি বেশি দেখা যেতে থাকে। বংশবিস্তারে এই অতিরিক্ত সক্ষমতাকে differential reproductive success বলা হয়েছে – যাকে বাংলায় ‘ভিন্নতাজনিত প্রজনন সাফল্য’ বলা যেতে পারে। এই সাফল্য ছাড়া বিবর্তন সম্ভব নয়। আর এই প্রক্রিয়ার নামই হলো প্রাকৃতিক নির্বাচন বা natural selection।
বন্যা আহমেদের ভাষায়[1],“যে প্রকারণগুলো তাদের পরিবেশের সাথে অপেক্ষাকৃত বেশি অভিযোজনের (adaptation) ক্ষমতা রাখে, তাদের বাহক জীবরাই বেশীদিন টিকে থাকে এবং বেশী পরিমানে বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। এভাবে প্রকৃতি প্রতিটা জীবের মধ্যে পরিবেশগতভাবে অনুকুল বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের নির্বাচন করতে থাকে এবং ডারউইন প্রকৃতির এই বিশেষ নির্বাচন প্রক্রিয়ারই নাম দেন প্রাকৃতিক নির্বাচন (natural selection)”
প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন জনপুঞ্জের মধ্যে থাকা প্রকারণগুলোর মধ্য থেকে বেছে নেয় সেই বৈশিষ্ট্যগুলোকে যেগুলো পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। আর তার ফলেই ঘটে বিবর্তন। দেখা যাচ্ছে প্রকারণ না ঘটলে বেশি খাপ খাইয়ে চলার মতো সুবিধা অর্জন সম্ভব হয় না। এই কারণেই লম্বা গলাওয়ালা জিরাফের সংখ্যা বাড়তে থাকে খাটো গলাওয়ালা জিরাফের সংখ্যার তুলনায়।
প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া জিরাফের গলা রাবারের তৈরী খেলনার মতো টেনে লম্বা করে দেয়নি। বরং প্রকারণের কারণে যে জিরাফগুলোর ‘জিন’-এর মধ্যে গলা লম্বা হওয়ার মতো ‘সুবিধাজনক’ বৈশিষ্ট্য ছিল সেগুলোই টিকে থাকতে পেরেছে বেশি এবং খাটো গলার জিরাফের চাইতে বংশবিস্তার করতে পেরেছেও বেশি। কিছু কাল পরে দেখা গেল প্রকৃতির এহেন পক্ষপাতমুলক নির্বাচনের ফলে শুধু লম্বা গলাওয়ালা জিরাফেরাই টিকে থাকলো। সংক্ষেপে এই হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের প্রক্রিয়া।
আরো একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে[2]।
ধরা যাক, একসময়ে গুবরে পোকারা সব উজ্জ্বল সবুজ রং-এর ছিল। হঠাৎ দেখা গেল, তাদের সন্তানদের মধ্যে খয়েরি রং-এর কিছু পোকার আবির্ভাব শুরু হয়েছে। এই প্রকারণটা (জেনেটিক ভেরিয়েশন) ঘটে থাকতে পারে মিউটেশনের ফলে। (একটি জিন-এর ডিএনএ অনুক্রমে স্থায়ী পরিবর্তনকে বলা হয় মিউটেশন। মিউটেশন হচ্ছে প্রকারণ ঘটার একটা প্রধান উপায় যদিও একমাত্র উপায় নয়।
) ক্রমান্বয়ে দেখা গেল খয়েরি রং-এর পোকার সংখ্যা ওই জনপুঞ্জে বাড়ছে আর উজ্জ্বল সবুজ রং-এর পোকার সংখ্যা কমছে। কারণ, পাখীরা উজ্জ্বল সবুজ পোকাগুলো সহজেই চোখে পড়ছে বলে ওগুলোকেই বেশি বেশি খেয়ে নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সবুজ পোকা আর থাকলোই না, পুরো জনপুঞ্জটাই পরিণত হলো খয়েরি গুবরে পোকার প্রজাতিতে।
সংক্ষেপে এই হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের প্রক্রিয়া।
কোন ডিজাইন বা নক্সা নয়, কারো সুচিন্তিত পরিকল্পনার ফলশ্রুতি নয় - প্রাকৃতিক নির্বাচন একটা নিছক বস্তুবাদী প্রক্রিয়া।
কোন অতিপ্রাকৃতিক শক্তির নির্দেশ ছাড়াই প্রকৃতি তার কাজ করে যাচ্ছে, জীবজগতে প্রতিনিয়ত ঘটিয়ে চলছে রূপান্তর।
বিবর্তিত হওয়া মানেই কিন্তু উন্নততর হওয়া নয়। অনেক ‘উন্নীত’ জনপুঞ্জ নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে অবলুপ্ত হয়ে গেছে। টিকে থাকার যোগ্যতা পরিবেশের সাথে সম্পর্কিত, সুচিন্তিত কিংবা সুসমন্বিত অগ্রগতির কোন নিদর্শন এতে নেই। তাই বিবর্তিত হওয়া মানে যোগ্যতর হওয়া, যোগ্যতম নয়।
ঠিক এ কারণেই কোন প্রানীই নিখুঁত ডিজাইনের ফল নয়। প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন দক্ষ কারিগর নয়। তাই একে বড়জোর ক্রমোন্নয়নের প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে। যা আছে তার ওপরেই প্রাকৃতিক নির্বাচন কাজ করে, যা নেই তা বানাতে পারে না। সুবিধাজনক মিউটেশন ঘটলে অভিযোজন কাজ করতে পারে, নইলে নয়।
সামুদ্রিক কচ্ছপের কথাই ধরুন না। এদের পাখনা সাঁতার কাটতে যতটা সুবিধাজনক, বালি খোঁড়ার কাজে ততটা নয়। অথচ, ডিম পাড়ার জন্য তাদেরকে এই কাজটাও করতে হয়। কিন্তু কাজটা খুব একটা ভালোভাবে করা যায় না, উপযুক্ত পাখনার অভাবে[3]। এমন আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে প্রকৃতিতে, জীবজগতে।
বস্তুতঃ ঠিকমতো অভিযোজন ঘটে নি বলে অনেক প্রজাতিতো বিলুপ্তই হয়ে গেছে। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রজাতির পরিমাণ আনুপাতিক হারে প্রায় শতকরা নিরানব্বই ভাগ।
মানে দাঁড়ালো এই যে, বিবর্তনের প্রক্রিয়া কার্যকর হতে হলে প্রাকৃতিক নির্বাচন বা জেনেটিক ড্রিফটের মতো কিছু ঘটতে হবে এবং তা ঘটার আগে ডিএনএ-র মধ্যে জেনেটিক ভেরিয়েশনও ঘটতে হবে। তাই কোন প্রজাতি বা কেউ চেষ্টা করলেই বিবর্তিত হ’তে পারে না। এবং তাই প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন প্রজাতির বা প্রাণীর যা ‘দরকার’ তাই সরবরাহ করতে পারে না।
পারলে এরোপ্লেন না বানিয়ে আমাদের মানবপ্রজাতি নিজেদের ঘাড়ে দুটো কেন হয়তো চারটে পাখাই গজিয়ে নেয়ার ব্যাবস্থা করে নিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।