আমি চিরদুর্দ্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস, মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস, আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর! আমি দুর্ব্বার, আমি ভেঙে করি সব চুরমার! আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ'লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃংখল! আমি মানি নাকো কোনো আইন, আমি ভরা-তরী
পৃথিবীতে প্রতিদিন গড়ে একটি ইসলামবিরোধী বই প্রকাশিত হয়। এ প্রচারণায় ইহুদি-নাসারা যেমন আছে তেমনি মুশরিকও আছে এবং নাস্তিক বা কাফেররাও আছে। ইন্টারনেটে ইসলামবিরোধী প্রচারণায় বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে ইসলামের সমালোচকদের সংখ্যা সবচেয়ে কম। একজন ব্লগার যখন ইসলামের সমালোচনা করে তখন ব্লগারদের বড় অংশই তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ করে, অনেক ব্লগার যৌক্তিকভাবে সে সমালোচনার জবাবও দেয়। কেউ যদি ইন্টারনেটে ধর্মের সমালোচনা করতে চায় কোন দেশের কোন সরকার, কোন প্রযুক্তি তাকে বাধা দিয়ে আটকাতে পারবে না।
এ বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা প্রতিরোধে কঠোর বা সহিংস উদ্যোগ ইসলামের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানপাপী ভিন্ন সকলেই জানেন পবিত্র কোরআনে কল্যাণ ও হেদায়েতের পথে আসার আহবান জানাতে বলা হয়েছে “ওয়ান্ডারফুল প্রিচিং” এবং “হিকমত”-এর মাধ্যমে। সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে “হেদায়েতের পক্ষে আহবানের প্রচারণা”-ই শুধু তোমার কাজ। হেদায়েতের এখতিয়ার শুধুমাত্র আল্লাহর।
মানবতা-বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে তরুণ প্রজন্মের আহবানে সারাদেশের মানুষের মাঝে রাজাকারবিরোধী যে মনোভাব গড়ে উঠেছে, জামাত-শিবিরের সহিংসতা, নৈরাজ্য ও ধর্মের নামে ভণ্ডামির বিরুদ্ধে যে জনমত গড়ে উঠেছে তা বন্ধ করতে জামাত-শিবিরের আর্থিক মদদে মাঠে নেমেছে হেফাজতে ইসলাম।
বাংলাদেশে ইন্টারনেটভিত্তিক ইসলাম বিরোধী প্রচারণা শুরু হয়েছে ২০০১ থেকে। ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে ব্লগার ও অনলাইন একটিভিস্টরা সবসময় ভূমিকা রেখেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার পর হেফাজত ইসলাম ঢালাওভাবে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে যে তৎপরতা শুরু করেছে তা জামাত শিবিরের ঘাপটি মেরে থাকা দালালচক্রের ঘৃণ্য অপচেষ্টা মাত্র। মিথ্যাচারের মাধ্যমে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার ফলে নেতৃত্বদানকারী আলেমদের বিতর্কিত ভূমিকা তাদের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করছে যা ইসলামের কল্যাণ বয়ে আনবে না।
আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, রাজাকার বিরোধী অবস্থান কোন ধর্মীয় বিষয় নয়।
একজন ব্লগার ইসলাম বিরোধী লেখা লিখলে তা কয়েকজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে যদিও সে চায় তা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হোক। ইসলামবিরোধী অপপ্রচারের ঘৃণ্য এ কাজটি করেছে আমার দেশ পত্রিকা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্লগার ও অনলাইন একটিভিস্টরা দেশপ্রেমের চেতনা থেকে নি:স্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে যেকোনো আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত এ প্রজন্ম। হেফাজতে ইসলাম যদি জামাত আর্থিক মদদপুষ্ট না হয়, এবং সত্যিকার অর্থে যদি তারা ইসলামের মঙ্গল চায় তবে আপনাদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি:
৮৪ জন ব্লগারের ঢালাওভাবে ইসলামবিরোধী হিসেবে নাম দেয়া হয়েছে।
আপনারা আরও ৮৪ জনের নাম দিন, মিথ্যা অভিযোগ দিন আমরা মেনে নিবো। আপনাদের প্রশ্ন করা হবে না আপনাদের অভিযোগ সত্যি না-কি মিথ্যা। আমরা ফাঁসির মঞ্চে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু তার বিনিময়ে আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে
১. আপনারা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে সরকারকে সহযোগিতা করবে।
২. রাজপথে থেকে জামাত শিবিরের সহিংসতা প্রতিরোধ করবেন।
৩. জামাত শিবির নিষিদ্ধ করতে ভূমিকা পালন করবেন। এবং
৪. মহানবীর নামে কুৎসা প্রকাশ করে আমার দেশ পত্রিকা ইসলামের যে অসম্মান করেছে তার কঠোর শাস্তির দাবি পেশ করবেন।
আপনারা যদি সত্যবাদী হয়ে থাকেন, আপনারা যদি জামায়াতের আর্থিক মদদ-পুষ্ট দালাল না হয়ে থাকেন এবং ইসলামের প্রতি যদি ন্যূনতম শ্রদ্ধা থাকে এবং আপনাদের বিবেক ও নৈতিকতা বলে যদি কিছু থাকে আমাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।
আরোও বিস্তারিত জানতে: http://projonmoblog.com/projonmo/10053.html ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।