ফুলের সৌরভে সুরভিত কলমের কণ্ঠস্বর [লেখাটি শুধু মাত্র বৃহত্তর কলমীর জজগণের জন্য প্রযোজ্য অন্যদের প্রবেশে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে]
ঢাকাস্থ্ কলমী সমিতি'র সদস্য সম্মেলন আগামী ১৬ মার্চ ২০১২ তারিখে প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকাস্থ সকল বৃহত্তর কলমীবাসীকে আমন্ত্রন রইল।
ঢাকাস্থ কলমী সমিতি কি ?
বৃহত্তর কলমী তথা চর কলমী ইউনিয়ন, অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়ন মুজিব নগর ইউনিয়নের ঢাকায় অবস্থান রত বাসিন্দাদের সরাসরি অংশ গ্রহনের ভিত্তিতে পরিচালিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংস্থা যা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক মানবকল্যাণমূখী, সমাজসেবামূলক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান ঢাকাস্থ কলমী সমিতি নামে পরিচালিত হবে।
বৃহত্তম কলমী কি?
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ৮নং চরকলমী ইউনিয়ন, ১৫নং অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়ন ও ১৬নং মুজিব নগর ইউনিয়ন এর একত্রতম পরিধি হচ্ছে বৃহত্তম কলমী।
ঢাকাস্থ বৃহত্তম কলমীবাসী কি?
বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকাকে কেন্দ্র করে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজিপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে বসবাস রত ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ৮নং চরকলমী ইউনিয়ন, ১৫নং অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়ন ও ১৬নং মুজিব নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা যারা নাগরিক সুত্রে বা জন্ম সুত্রে বা পৌত্রিক সুত্রে বা বসবাস সুত্রে বা ব্যবসা বানিজ্য সুত্রে বা চাকরী সুত্রে বৃহত্তম কলমীর জনগণ হিসেবে পরিচিত।
শুধুমাত্র মহিলাদের ক্ষেত্রে বৈবাহিক সুত্রে বৃহত্তম কলমীর জনগণ হিসেবে গন্য হবেন, কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে বৈবাহিক সুত্রে বৃহত্তম কলমীর জনগণ হিসেবে গন্য করা হবেনা।
কার্যক্রম এলাকা ঃ
বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকাকে কেন্দ্র করে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজিপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে বসবাস রত ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ৮নং চরকলমী ইউনিয়ন, ১৫নং অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়ন ও ১৬নং মুজিব নগর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের একতাবদ্ধের স্বার্থে এই সংগঠন ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
কার্যালয় ঃ
কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৬, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্থান, ঢাকা - ১০০০ ঠিকানায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। স্থায়ী বা অস্থায়ী কার্যালয় পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোন সময় পরিবর্তন করা যাবে। তবে ঢাকাস্থ বৃহত্তর কলমীবাসীর একতাবদ্ধের সার্থে ও ঢাকাস্থ কলমী সমিতি’র কার্যক্রম পরিচালনা সুবিধার্থে ঢাকাস্থ কলমী সমিতি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবশ্যই ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (উত্তর বা দক্ষিন প্রশাসনিক অংশ অথবা ঢাকা সেনানিবাস) মধ্যে হতে হবে।
এক্ষেত্রে যেখানে গরিষ্ট সংখক সদস্য থাকবে সেখানে হতে পারে যা পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। এছাড়া সমিতি’র সুবিধার্থে পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনে ঢাকা সিটি’র ভিতরে বা বাহিরে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার যে কোন স্থানে এক বা একাধিক শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে।
কলমী সমিতি’র লক্ষ ও উদ্দেশ্য ঃ
১. বৃহত্তর কলমী তথা চরকলমী, অধ্যক্ষ নজরুল নগর ও মুজিব নগর ইউনিয়নের এতিম, অনাথ, অসহায়, প্রতিবন্ধী, পঙ্গু, বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা, বেকার, মুক্তিযোদ্ধা সহ সকল স্তরে পূনর্বাসন মূলক প্রকল্প গ্রহন।
২. বৃহত্তর কলমীর তিনটি ইউনিয়নে বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, খরা, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষসহ যে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত মানুষের জন্য ত্রাণ, পূণর্বাসন সহ সকল প্রকার প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা।
৩. বৃহত্তর কলমী সহ এর আশপাশের প্রয়োজনীয় এলাকায় বন্যা, ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষে সরকারী, বেসরকারী, বৈদেশিক সহযোগীতায়, বিভিন্ন দাতা সংস্থা, দাতাগোষ্ঠীর আর্থিক অনুদানে বা ব্যাক্তিগত সাহায্য অথবা কলমী সমিতির নিজস্ব উদ্যোগে প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা।
৪. কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সেক্টরের জন্য প্রযুক্তি উন্নয়ন, কলমীর আপামর কৃষক জনগোষ্ঠীর কৃষি উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়সাধন, উন্নত বীজ সরবরাহ, সার কীটনাশকের প্রয়োজনীয়তা সহ কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বহুবিধ কার্যক্রম সম্পাদন করা ও ব্যবস্থা গ্রহন করা।
৫. মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, বীজ সরবরাহ, বাজারজাত করণ সহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন ও সদস্যদের মধ্যে বাড়তী আয়ের ব্যবস্থা করা।
৬. বৃহত্তর কলমীর সকল শ্রেণীর মৎসজীবি জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় সার্বিক সহযোগীতা সহ সরকারী - বেসরকারী যাবতীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহন করা, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহন করা।
৭. বৃহত্তর কলমীর জাতী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল অভাবগ্রস্থ, দরিদ্র, অবহেলিত ও অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের জন্য সকল প্রকার কল্যাণমূখী সাহায্য ও সহযোগীতা প্রদান।
৮. বৃহত্তর কলমীর তিনটি ইউনিয়নে বসবাসরত ভূমিহীন ও দরিদ্র মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে কল্যাণমূখী প্রকল্প গ্রহন করা।
৯. তিনটি ইউনিয়নের বেকার জনগোষ্ঠি, কর্মজীবি, পেশাজীবি সহ সর্বস্তরের সকল মানুষকে সংগঠিত করে সকলের পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জীবনের মান উন্নয়নের লক্ষে যাবতীয় প্রকল্প গ্রহন করা হবে।
১০. বৃহত্তর কলমীর জনগণের স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে ঢাকাস্থ কলমী সমিতির পরিচলনায় ক্লিনিক, দাতব্য হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতাল স্থাপন করা।
১১. দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা, বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও দেশ-বিদেশে চিকিৎসার জন্য যবতীয় সহযোগীতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহন করা।
১২. ঢাকাস্থ কলমী সমিতির সদস্যদের জন্য চক্ষু চিকিৎসা, চক্ষু পরীক্ষা, চক্ষু অপারেশন, চোখের জন্য চশমা প্রদান, চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পেইন, চক্ষু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জনসচেতনতা সৃষ্টি, দেশে-বিদেশে চিকিৎসায় সহযোগীতা সহ অন্ধত্বরোধের লক্ষ্যে গবেষণা ও প্রতিরোধ মূলক প্রকল্প গ্রহন করা।
১৩. মরণব্যাধি এইড্স, হেপাটাইটিস-বি সহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করা।
১৪. গর্ভবতি ও প্রসুতি মায়ের চিকিৎসা, নবজাতক শিশুর টিকাদান কর্মসূচী ও চিকিৎসা, মায়ের দুধের উপকারিতা সর্বপরী সু-স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প গ্রহন এবং শিশু ও মার্তৃ মৃত্যু প্রতিরোধের লক্ষে যাবতীয় প্রকল্প গ্রহণ করা।
১৫. ক্যান্সার প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করা সহ ক্যান্সার রোগ নিরাময়ে প্রকল্প গ্রহন করা।
১৬. ডায়াবেটিস, হেপাটাইটিস, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, যক্ষা, যৌন রোগ, মানসিক রোগ নিরাময়ের লক্ষে স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন, জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন সহ যাবতীয় প্রকল্প গ্রহন করার লক্ষ্যে কাজ করা।
১৭. বিভিন্ন রোগে, অপারেশনের ক্ষেত্রে কিংবা দূর্ঘটনায় প্রয়োজনে নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের লক্ষ্যে নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন কর্মসূচী গ্রহন, ব্লাড ব্যাংক স্থাপন স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম পরিচালনা করা, রক্তদান ক্যাম্পেইন ও নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের জনসচেতনতা মূলক প্রকল্প গ্রহন করা।
১৮. বৃহত্তর কলমীর জনগণের জন্য নিজস্ব জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষার বিস্তারে নানা মূখী পদক্ষেপ গ্রহণ, স্বাস্থ্যশিক্ষ প্রতিষ্ঠান বা মেডিকেল ইনিস্টিটিউট স্থাপন করা।
১৯. বৃহত্তর কলমীর জনগণের উপর প্রদত্ত সকল অবৈজ্ঞানিক, কুসংষ্কার জনিত চিকিৎসা এবং যেকোন ধরনের অপচিকিৎসা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ আইনানুগ ব্যবস্থা করা।
২০. ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ, মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যাবতীয় সহযোগীতা প্রদান করা।
২১. সমাজের সকল স্তরে শান্তি, নৈতিকতা, সামাজিক ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
২২. আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় রেখে আইটি (কম্পিউটার), কর্মমূখী শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, আইটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা।
২৩. যৌতুক, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, এই সকল ক্ষেত্রে জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদান, আইনী সহযোগীতা করা, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা।
২৪. নারী ও শিশু অধিকার সংক্রান্ত কার্যক্রমের উপর এই সংগঠন যাবতীয় প্রকল্প গ্রহণ করবে।
২৫. দরিদ্র মেয়েদের উপযুক্ত সময়ে বিয়ে প্রদানে সহযোগীতা ও দরিদ্র মুসলমান বাচ্চাছেলেদের সুন্নতে খাৎনায় সহযোগীতা করা।
২৬. কলমী সমিতির টার্গেট সদস্য বা সদস্যাগণের বিভিন্ন প্রকল্প গঠনের লক্ষে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী রিসোর্স মোবালাইজেশন করা।
২৭. শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে স্কুল, কলেজ স্থাপনে কলমীর জনগনের ও কলমী সমিতির সদস্যদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
২৮. জাতীয় জীবনে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকারের শিক্ষা ও গণশিক্ষা প্রকল্প এবং সরকারী বে-সরকারী সকল প্রকার প্রকল্প গ্রহণ করা।
২৯. বৃহত্তর কলমীবাসী মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদানে সংবর্ধনা প্রদান করা এবং দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনাম অর্জনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংবর্ধনা ও পুরুষ্কার প্রদান করা।
৩০. বৃহত্তর কলমীর সকল বয়সী সুবিধা বঞ্চিত জনগণের প্রয়োজনীয় ইসলামী শিক্ষা গ্রহণের জন্য সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প গ্রহণ করা।
৩১. মিলাদ মাহফিল, তাবলিগ জামাত, বিশ্ব এজতেমা, পবিত্র হজ্ব পালন সহ বিভিন্ন ইসলামী কর্মকান্ডে সদস্যদের সরাসরি অংশগ্রহনের জন্য যাবতীয় সহযোগীতা প্রদান করা হবে।
৩২. পবিত্র হজ্ব পালন বা ওমরা হ্জ্ব আদায়ের জন্য সঞ্চয় এবং হজ্ব আদায়ে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক অর্থনৈতিক সহযোগীতা, পাসপোর্ট তৈরি, ভিসা প্রাপ্তি সহ যাবতীয় সহযোগীতা প্রদান করবে।
৩৩. বৃহত্তর কলমীর মুসলমান ব্যক্তির লাশ দাফন ও কাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ধর্ম বর্ণ নির্ভিশেষে যে ব্যক্তির লাশ সৎকারের ব্যবস্থা করা এবং দেশের যে কোন স্থান থেকে মৃত সদস্যের লাশ কলমীতে পৌছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩৪. বেকারত্ব দূরীকরনে এই সমিতি সদস্যদের যাবতীয় সহযোগীতা প্রদান করবে।
৩৫. বেকারত্ব দূরীকরণে চাকরী নিয়ে বিদেশ গমন বা পড়াশুনার জন্য বিদেশ গমন বা ভ্রমনের জন্য বিদেশ গমনের জন্য (বিশ্বের যে কোন দেশের জন্য) এই সমিতি সদস্যদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ, অর্থনৈতিক সহযোগীতা, ভিসা প্রাপ্তিতে সহযোগীতা, পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগীতা, ম্যানপাওয়ার সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগীতা প্রদান করবে।
৩৬. দেশে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইন, আর্থিক সহযোগীতা সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগীতা প্রদান করা হবে।
৩৭. বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র, মাঝারী বা কুটির শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে ঢাকাস্থ কলমী সমিতি কর্তৃক প্রকল্প গ্রহণ অথবা ঢাকাস্থ কলমী সমিতির সদস্যদের মধ্যে প্রকল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও যথাযথ সহায়তা প্রদান করা।
৩৮. কৃষি, পরিবহণ, আবাসন, টেলিকমিউনিকেশন, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন লাভজনক প্রকল্প গ্রহনের মাধ্যমে ঢাকাস্থ কলমী সমিতি ও সদস্যদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করা।
৩৯. কলমী সমিতির সদস্যদের সরাসরি অংশগ্রহনে হাঁস, মুরগী, কোয়েল প্রতিপালন, পোলট্রি ফার্ম স্থাপন, গরু, ছাগল, মহিষ বা বিভিন্ন প্রকার পশু প্রতিপালন, ডেইরী ফার্ম স্থাপন করা এবং এই লক্ষ্যে অথবা সদস্য কর্তৃক এই ধরনের প্রকল্প গ্রহনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা সহ যাবতীয় সহযোগীতা প্রদান করা।
৪০. বৃক্ষ রোপনের লক্ষ্যে নার্সারী স্থাপন ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং বৃক্ষ রোপনের যাবতীয় প্রকল্প গ্রহণ করা।
৪১. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে জ্বালানী হিসেবে বৃক্ষ নিধন রোধে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে এবং বিদ্যুতের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনে বিভিন্ন প্রকার প্রয়োজনীয় প্রকল্প করা।
৪২. দেশের ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য রক্ষার লক্ষ্যে এবং বিজ্ঞান, সাহিত্য ও চারুকলার বিকাশে যাবতীয় প্রকল্প গ্রহন করা।
৪৩. কলমী সমিতির, বৃহত্তর কলমীর ও দেশের উন্নয়নে সঠিক তথ্য ও কার্যক্রম প্রকাশের লক্ষে সরকারী বিধি মোতাবেক পত্রিকা, বুলেটিন, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, ভিডিও ডকুমেন্টারী ফিল্ম ইত্যাদি প্রকাশ ও প্রচার করা।
৪৪. খেলাধুলার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বৃহত্তর কলমীর আপামর সকল জনগণের সম্পৃক্ততায় স্পোর্টস্, ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডী বা হাডুডু সহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা।
৪৫. সমাজের অবহেলিত জনগণের মধ্যে জনগনের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য মানবাদিকারের লক্ষে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করা।
৪৬. সরকারী বে-সরকারী সংস্থা, দাতা সংস্থা, দেশী বিদেশী দাতা, ব্যাংক বা অন্য কোন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে। এব্যাপারে সরকারের নীতি মেনে চলবে।
৪৭. অর্থনৈতিক শক্তি অর্জনের লক্ষ্যে এই সংগঠন যে কোন ব্যাক্তি, যে কোন প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, দেশী বিদেশী দাতা বা দাতা সংস্থা থেকে দান, অনুদান বা ঋন গ্রহন করতে পারবে।
বিদেশী সাহায্যের ক্ষেত্রে ফরেন ডোনেশন (ভেলেন্টারী একটিভিটিস রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৮) মেনে চলা হবে।
৪৮. সমিতির উৎবৃত্ত তহবিল সদস্যদের মধ্যে বিনিয়োগ করা হবে।
৪৯. সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বহুমুখী উন্নয়ন মূলক কর্মসূচী গুলো ঢাকাস্থ কলমী সমিতির মাধ্যমে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা।
৫০. মানবাধিকার বাস্তবায়ন, বৃহত্তর কলমী ও কলমীর জনগণের সার্বিক উন্নয়ন এবং কলমী সমিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সংগঠন যাবতীয় প্রকল্প গ্রহন করতে পারবে।
কলমী সমিতি কর্তৃক প্রদত্ত সকল সেবা, গৃহিত প্রকল্প বাস্তবায়ন সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা শুধুমাত্র কলমী সমিতি’র সকল প্রকার সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
সদস্য পদ প্রাপ্তি :
ক. জাতী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বৃহত্তর কলমী তথা চরকলমী ইউনিয়ন, অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়ন ও মুজিব নগর ইউনিয়নের জন্মসুত্রে বা বসবাস সুত্রে স্থায়ী বাসিন্দা এবং বাংলাদেশের নাগরিক যিনি ঢাকা বা নারায়নগঞ্জ বা গাজিপুর বা মুন্সিগঞ্জ জেলার যে কোন স্থানে স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে যে কোন প্রয়োজনে বসবাস রত তিনি এই সমিতির সদস্য হতে পারবেন। যদি তিনি প্রতিষ্ঠানের সংঘস্মারক ও গঠন তন্ত্র মেনে চলতে অঙ্গীকার করেন যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এবং নিজেকে সেবামূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত করতে ইচ্ছা পোষন করেন।
খ. প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ফরমে আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ কলমী সমিতি কর্তৃপক্ষ আবেদন মঞ্জুর করলে এবং পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক ধার্য্যকৃত সদস্য ভর্তি ফি ১০০/= টাকা (অফেরতযোগ্য) প্রদানে সম্মত হলে কলমী সমিতি’র সদস্যপদ প্রদান করা হবে।
এছাড়া -
গ. ঢাকাস্থ কলমী সমিতি’র উন্নয়ন ও বৃহত্তম কলমী বাসীর স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ পদ সমূহে অধীষ্ঠ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ভর্তিফি আদায়ের মাধ্যমে বা ভর্তি ফি ছাড়াই অথবা দান অনুদান বা চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে বা দান অনুদান বা চাঁদা আদায় ছাড়াই ঢাকাস্থ কলমী সমিতি’র পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপদেষ্ঠা বা পৃষ্ঠপোষক প্রদান করে সম্মানিত করা হবে।
ঘ. সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাও সদস্য হতে পারবেন।
ঙ. প্রকল্প ভিত্তিক প্রকল্পের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ীও সদস্য পদ প্রদান করা হবে।
চ. দাতা সদস্য, আজীবন সদস্য, পৃষ্ঠপোষকগণ সহ পরিচালনা পরিষদ মনোনিত কোন ব্যক্তিকেও সদস্য করা যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।