ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া দেশটির দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতি রোধ করতে গত দুই বছরে অন্ততঃ ১২ বার সুদের হার বাড়িয়েছে। কিন্তু তার ফল হয়েছে উল্টো। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে গিয়ে প্রকারান্তরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। দু'বছরের মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি অর্থবছরের শেষ ভাগে এসে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে দেশটির অর্থনীতিতে।
চলতি অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬.১ শতাংশে। ২০০৯ সালের পর ভারতে এটাই সবেচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি।
Click This Link
আমি বলবো না যে, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ভারতের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আমাদের দেশে সুদের হারের উচ্চ সীমা প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু কার্যতঃ একইসঙ্গে উভয় দেশ একইধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের গভর্নর আতিউর রহমানও বলেছেন, মূল্যস্ফীতির হার একক সংখ্যায় নামিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
সেই সঙ্গে বাজারে টাকার সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নীতি-নির্ধারণী সুদের হারও বাড়িয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদসহ শীর্ষস্থানীয় সব ব্যবসায়ী- এমনকি বেশিরভাগ জাতীয় দৈনিক সরকারের এ নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন।
এমনকি অনেকে ব্যবসায়-বানিজ্যে টাকা বিনিয়োগ না করে ব্যাংকে উচ্চ সুদে আমানত রাখছেন বলে খবর বেরিয়েছে। তার মানে হচ্ছে, বাণিজ্যের চাকা সচল রাখার কাজে টাকা ব্যবহৃত হচ্ছে না। এর কী ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে তা ভেবেন দেখবেন কি আবুল মাল আব্দুল মুহিত?
মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার নিয়তে আপনি সুদের উচ্চহারের সীমা প্রত্যাহার করার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে ভারতের মতো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেমে যাবে- তাতে কোন সন্দেহ নেই।
মানুষ টাকা বিনিয়োগ না করে ব্যাংকে গচ্ছিত রাখলে প্রবৃদ্ধি শুন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
দাদা'দের উদাহরণ দেখেও কি আপনি শিখবেন না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।