পড়ার আগে ভাবুন আমরা গনতান্ত্রীক রাষ্ট্রে বাস করার পরও কেন সর্বদা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি কেন ।
রাজধানীর কাফরুলে এক ওয়ার্ড বিএনপি নেতাকে মিলাদ পড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত মোহাম্মদ রাকিব (৩৮) ৯৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং ভাষানটেক এলাকার একটি মসজিদের পেশ ঈমাম ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ভাষানটেকের বালুর মাঠের পাশে আমানত শাহ সমিতির কাছে বেইশটেকি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সহকর্মীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গতকাল সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ব্যক্তিগত বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সৃষ্ট বিরোধে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এই ঘটনায় কবির নামের স্থানীয় এক বিএনপিকর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনাস্থল থেকে কাফরুল থানার উপপরিদর্শক মো. জাহানুর আলী কালের কণ্ঠকে জানান, নিহত রাকিব ভাষানটেক ৪ নম্বর বস্তির বায়তুল্লাহ জামে (কাদেরিয়া) মসজিদের পেশ ঈমাম ছিলেন। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাইশটেক এলাকার একটি বাড়িতে মিলাদ পড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে বাড়ির নিচে তাঁকে গুলি করা হয়।
নিহতের বুকের বাম পাশে একটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। কারা, কেন তাঁকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে_তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান জাহানুর আলী।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোজাম্মেল হক জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে চিকিৎসকরা রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁকে যাঁরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছে, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাকিবকে বহনকারী আবদুল জলিল ও গোলাম মিয়া নামের দুই ব্যক্তি জানান, নিহত রাকিব ৯৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
মসজিদের ইমাম হওয়ার কারণে তাঁকে সবাই রাকিব হুজুর বলেই ডাকে। রাকিব ওয়ার্ডের সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধ কমিটিরও আহ্বায়ক ছিলেন। গতকাল বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে কবির নামের স্থানীয় এক বিএনপিকর্মী জলিলকে ফোন করে জানান, রাকিব গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। খবর পেয়ে ভাষানটেক বালুর মাঠের কাছে আমানত শাহ সমিতি সংলগ্ন বাইশটেকি এলাকা থেকে রাকিবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আবদুল জলিল জানান, তিনি ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, নিহত রাকিবের বাসা পশ্চিম ভাষানটেকের হোমিও ডিগ্রি কলেজের পেছনে। নিহতের স্ত্রী রেশমা বেগম কালের কণ্ঠকে জানান, গতকাল বিকেলে লোক মারফত সংসারের কিছু নিত্যপণ্য বাসায় পাঠান রাকিব। কারা, কেন তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই বুঝতে পারছেন না।
কাফরুল থানার ওসি আবদুল লতিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কারা মিলাদ পড়ার কথা বলে ডেকে আনল এবং মারল তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ঘটনা জানার পর থেকে আমরা হত্যাকারী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। '
রাকিবের স্বজনরা জানিয়েছেন, নিহত রাকিবের বাবার নাম সামাদ শেখ। তাঁদের গ্রামের বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাকিব ছিল চতুর্থ।
তথ্য সূত্র:
Click Here ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।