ছন্নছাড়া বাঁধনহারা দস্যি একটা ছেলে ,, দিবানিশি ক্যামেরা চালায় আহার নিদ্রা ফেলে :) :)
প্রিয় বড় ভাই এবং আপু আপনাদের দোয়া ও আশির্বাদ নিয়ে শুরু করছি আমার প্রথম সত্যি গল্প ........ তবে একটু সংক্ষেপে.....
নায়ক আর কেউ নয় আমি নিজেই........ নায়িকা অনেকেই তাই নাম একটু পরে জানতে পারবেন ,
ছোট মুখে বড় মানুষের কথা বলছি কিছু মনে নিয়েন আবার....
অভয় দিলে শুরু করতে পারি.....
প্রথমে অতীত দিয়ে শুরু করি ........
২০০৪ সালের কথা বাড়ির শান্ত শিষ্ট লেজ বিহীন বাদর মানে আমাকে শহরের একটা নামী স্কুলে ভর্তি করে দিল বাবা মা । বড়ির ছোট ছেলে হওয়ায় সব সময় একটু বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতাম অন্য সবার চেয়ে । তো ক্লাস ৯ এ ভর্তি হবার পর শহরের আংশিক আধুনিক মেয়েদের দেখে তাদের সাথে আড্ডা মেরে সময় কেটে যেতে লাগলো.।
প্রথম প্রেমের কোকিল অবশ্য এর মাঝেই ডাকা শুরু করেছে । আর বসন্ত কালে জন্মেছি বলে এদের আনাগোনা আমার কাছে একটু বেশিই হত ।
যাই হোক স্বভাবসুলভ ভাবেই দেখা সাক্ষাত হতে থাকলো তার সাথে
প্রতিদিন ক্যাফেতে দেখা হতে লাগলো ২/৩ ঘন্টা করে.। আমি যেন হারিয়ে যেতাম তার প্রেমে । আর এই সব বিষয়ে অনেক আগেই বড় ভাইয়াদের বই পত্র পড়ে ও তাদের চিঠি পত্র আদান প্রদান করে অনেক পেকে গিয়েছিলাম , ইঁচড়ে পাকা আর কি....
সারা দিন পর বাসায় এসেও শান্তি নেই । সারাক্ষণ সুধু তার কথা ভেবেই সময় চলে যেত । রাতে আর ঘুম আসে না কখন যে সকাল হবে মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্নও দেখতাম.।
এর পর পেলাম সেই সুবর্ন সুযোগ যার অপেক্ষায় রাতের ঘুম ও হারাম হয়ে যেত..... বন্ধুর বাসায় ডেটিং মারার বিশাল ব্যবস্থা । আন্টি যেত পিচ্চি টাকে স্কুলে নিয়ে আর আঙকেল ব্যাংকের ম্যানেজার । তাই বাসা প্রায় ফাঁকাই থাকে দুপুর পর্যন্ত । অল্প হলেও পারফরমেন্স বেশ ভাল হতে লাগলো...। আর বন্ধুর বাসা বেছে নিলাম কারণ নিজের বাসায় নিয়ে আসার মত সাহস তখনও তৈরি হয়নি ।
এস.এস.সি গেল ..২০০৬ সালে....... মোটামুটি একটা রেজাল্ট করে কলেজে ভর্তি হলাম ..... আর প্রেম তো চালিয়ে যাচ্ছি একেবারে সেরা খেলোয়াড়রদের মত মাঝ মাঠে কাকা আর স্টাইকার মেসি ,,,,
কলেজে এসে আরও নতুন নতুন সাজে চোখের সামনে সাম্বা নৃত্য শুরু করলো উনারা । যেন বাধ ভাঙ্গার আওয়াজ শুনি সারাক্ষণ । ওর মাধ্যমেই আরও অনেকের সাথে পরিচয় পরিণয় ও হল গোপনে । এরপর এইচ.এস.সি পাশ করে ২০০৮ সালে বাসে চড়ে সোজা ঢাকা ।
শুনলাম ঢাকায় ওর এক সুন্দরী কাজিনও আসছে ।
খুব ভাল কথা । দেখতে দেখতে পার করলাম এক বছর মাঝে ওর কাজিনের ব্যাপারে ভাল করে খোজ খবরও নিলাম । মনে হল পুরা জিনিস একখান ।
হাজার হলেও আমি তো একটা ভাল ছেলে ,, আর ওর পরিচয় শুধুই ফ্রেন্ড হিসেবেই দেয়া হত .। সবাই জানতো আমরা গুড ফ্রেন্ড ।
অবশেষে ২০০৯ এর অগাস্ট মাস এ ওর কাজিনের সাথে দেখা হয়ে গেল আমার । বেশ ভালই লাগতে শুরু করলো । আমার সমস্ত কিছুই ওকে নিয়ে এমন ভাব ।
ও খুব ফ্রি মাইন্ডের সব কিছু একটু বেশি বেশিই মনে হল... । একটু বেশি স্মার্ট মানে যেমনটি চেয়ে ছিলাম .।
আর তত দিনে আমিও নিজের বাসায়ই ডেটিং মারা শিখে ফেলেছি... । কি মজা তাই রে নাই রে না .
এবার আসি বর্তমান কাহিনীতে .......
একদিন আমার এই নতুন প্রেমিকার সাথে ডেটিং করার সময় তার এক প্রতিদ্বন্দ্বির খোজ পেলাম .। মেয়েটি নাকি খুব মুডি .। সহজে পোষ মানে না । আমার আবার আপোষ এ ছাড়া কিছু করতে ভাল লাগে না .।
তো উনার সাথে কথায় কথায় চ্যালেঞ্জ করে বসলাম । বললাম তোমার বান্ধবীকে যেমন করেই হোক আমি বশে আনবই .। যা ভাবা তাই । শুরু করে দিলাম প্রসেসিং । প্রথম দেখাই বেশ ভাল বলেই মনে হল.।
যদিও একটু ভাব বেশি বলে মনে হল .। তবুও বেশ ভাল নাদুস নুদুস আছে..
খুজতে খুজতে পেয়ে গেলাম এক কবিরাজ কে , যেখানে পেলাম অনেক ভাল একখান বশিকরাণ তাবিজ । এবং এখন চলছে ওকে বশে আনার সর্বোত্তম চেষ্টা ,,
আমার জন্য দোয়া কইরেন .। যেন এইটাও কবজা করতে পারি তাইলেই হিগুয়েইনের মত প্রথম হ্যাট্রিক টা আমার এবার হয়েই যাবে..
সে যায় হোক নির্লজ্জ বেহায়ার মত অনেক কিছু বলে ফেললাম .. আজ এই পর্যন্তই আগামীতে আরও বলবো...
তই যারা নতুন প্রেম করতে চান তারা এই কবিরাজের সাথে পরিচিত থাইকেন কাজে লাগবে .....কবিরাজ বাবা
আর আমার নতুন প্রেমিকার সাথে পরিচয় করাইয়া দেই আসেন....View this link
পুরান গুলারেও দেখায় ....View this link
১ম ও ২য় জনরে এইখানেই পাবেন......
ভাল থাইকেন সবাই.....
যাই.....
আমি তো প্রেমে পড়িনি প্রেম আমার উপরে পড়েছে.......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।