Engineer Ashikujjaman Ashik বর্তমান প্রেক্ষপটে ইংরেজি ছাড়া জীবনের স্বাভাবিক গতি ও ছন্দ অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়তে ইংরেজি শিক্ষার বিকল্প নেই। আর যাদের লক্ষ্য থাকে উচ্চশিক্ষা বা বিদেশ ভ্রমণ তাদের জন্য ইংরেজি একান্ত দরকার। তাই বলা যায় ইংরেজি হলো সময়ের সঙ্গী।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমরা কত কিছুই না করি।
এরমধ্যে কিছু কাজ করে থাকি শখের বশে, কিছু কাজ প্রয়োজনে, আর কিছু কাজ নিতান্তই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে। ইংরেজি শিক্ষার বিষয়টা অনেকটাই সেরকম। এই আধুনিক সময়ে ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা না থাকলে অস্তিত্ব টিকবে না, এটা জোর দিয়েই বলা যায়। আগে শুধু দেশের বাইরে পড়াশোনা বা চাকরি করতে গেলেই কেবল ইংরেজি শেখা জরুরি হয়ে পড়ত। এখন ভালো ইংরেজি না জানলে দেশের ভেতরেও অকেজো হয়ে পড়তে হয়।
লজ্জা পেতে হয় পদে পদে। তাই প্রয়োজন তো বটেই নিজের সম্মান বাঁচাতেও ইংরেজি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। যারা কাজ বা পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে যায়, তারা সবাই ইংরেজি শিখেই যায়। সবাই যেখানে ইংরেজি জানে সেখানে গড়পড়তা ইংরেজি দিয়ে কারও নজর কাড়া সম্ভব নয়। তাই দরকার হয় এতটা ভালো ইংরেজি জানা, যাতে সবার মধ্যে ব্যতিক্রম হওয়া যায়।
ইংরেজি শেখার কিছু উপায় : যারা ছোটবেলা থেকেই ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে এসেছে তাদের জন্য ভালোভাবে ইংরেজি আয়ত্ত করা কোনো ব্যাপারই নয়। অন্যদের কাছে বাংলায় কথা বলা যেমন সহজ তাদের কাছে ইংরেজিতে কথা বলা ঠিক তেমনই সহজ। তাই এ লেভেল এবং ও লেভেল করা শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারছেন দেশের বাইরের পরিবেশের সঙ্গে। এদিক থেকে বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা অনেকটাই অসহায়। তবে তাদের সহায় হতে আজকাল এগিয়ে আসছে অনেক প্রতিষ্ঠানই।
ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আমেরিকান সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইংরেজি ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ, শুদ্ধ উচ্চারণ ও সঠিক পদ্ধতিতে শেখানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো। ভিন্ন ভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে তারা চালু করেছে নানারকম কোর্স। ব্রিটিশ কাউন্সিলের কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে আইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্স, সাধারণ ইংলিশ কোর্স, ফাউন্ডেশন কোর্স এবং বিজনেস ইংলিশ কোর্স। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনার পর যেসব শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে পড়তে আগ্রহী তারা বেছে নিতে পারে বছর মেয়াদি ফাউন্ডেশন কোর্স।
ইংরেজি শিখতে হলে যে শুধু কোর্স করে শিখতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আজকাল অনেক মাধ্যমই বের হয়েছে যার প্রতি একটু মনোযোগ দিলেই ইংরেজি শেখা সম্ভব। ইংরেজি সিনেমা দেখার প্রতি এখন অনেকেই মনোযোগী। যদি ডায়ালগগুলো ভালোভাবে শোনা হয় তাহলে ইংরেজিতে কথা বলার বিষয়টি আয়ত্ত করা কঠিন কোনো কাজই নয়। ইংরেজি শিক্ষা প্রসারের জন্য বিবিসি জানালাও এখন কাজ করে যাচ্ছে।
সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যেন ইংরেজি সম্পর্কে জানতে পারে সে লক্ষ্যেই তারা কাজ করে যাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে : ইংরেজি ভালোভাবে শিখতে হলে সবসময় ইংরেজি বলতে হবে। সেটি ভুল হোক আর শুদ্ধই হোক। বন্ধুদের আড্ডায় পাঁচমিশালি নিয়ে আলোচনা হয়। তাই প্রতিদিনের আড্ডাটা যদি ইংরেজিতে দেওয়া যায় তাহলে মোটামুটি চলনসই ইংরেজি শেখা হয়ে যাবে।
বাকিটুকু বইপুস্তক অনুসরণ করলেই হবে। সর্বোপরি এটুকু মনে রাখতে হবে, ইংরেজিকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আগ্রহ নিয়ে শিখলে ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জিত হবেই। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে এ আগ্রহটুকু থাকতেই হবে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।