শান্তির ধর্ম ইসলাম। মহান স্রষ্টার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ট এ জীবন ব্যবস্থা সর্বকালের জন্য প্রদত্ত। এ পথের অনুসারীরা সর্বকালে সর্বযুগে শ্রেষ্টত্বের আসনে সমাসীন থাকবে এটা মহান প্রভুর অঙ্গীকার । তাদের শ্রেষ্টত্বের অবস্থা এমন হবে যে , ভিন্ন আদর্শের অনুসারীরা পথ চলতে কোন মুসলিমের দর্শনে তার প্রভাব প্রতিপত্তি ও সৌর্য-বীর্যের কারণে ভয়ে ভীতবিহ্বল হয়ে তার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেবে আর মুসলিমটি সেই ভিন্ন আদর্শের অনুসারীর নিকট যেয়ে তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করবে। এ পথের অনুসারীরা সমাজের প্রতিটি স্তরে মর্যাদার আসনে সমাসীন থাকবে এটাই স্বাভাবিক এবং চির বাস্তবতা।
কিন্তু অত্যন্ত দু:খজনক ও বেদনাদায়ক বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। একজন দুইজন মুসলিম নয় , ১ / ২ টি মুসলিম জনপদ নয় গোটা মুসলিম উম্মাহ আজ সমস্যায় জর্জরিত। দিকে দিকে নির্যাতিত নিষ্পেষিত।
অথচ আজকের বিশ্বে মুসলিম উম্মাহর মালিকানায় রয়েছে
* ৭৪ শতাংশ তেল সম্পদ
* ৫৭ শতাংশ গ্যাস
* ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণের মজুদ
* ৪৭ লক্ষের ও বেশি প্রশিক্ষিত সেনা সদস্য
* লক্ষ লক্ষ একর উর্বর কৃষিভূমি
* প্রায় ১৬০ কোটি জনসংখ্যা প্রভৃতি । আজকের বিশ্বে মুসলিমরা বাহ্যিক দিক বিবেচনায় অনেক প্রাচুর্যের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র একটি সম্পদের অভাবে দিকে দিকে মুসলিমরা আজ অধ:পতিত , নিপীড়িত , ও নিষ্পেষিত ।
হারানো সে সম্পদটি হলো “ খেলাফত জীবন ব্যবস্থা ”।
সেই খেলাফত আমাদের দেশের হিযবুত তাহরিরের জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ মুক্ত জীবন ব্যবস্থা বা জামায়াতে ইসলামী বা অন্যান্য নামধারী / লেবাসধারী ইসলামি সংগঠনের সুন্নাহ বিবর্জিত জীবন ব্যবস্থার নাম নয়। সুন্দর ও মুগ্ধকর ইসলামি নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিকেন্দ্রিক , পদসর্বস্ব ও ক্ষমতা দখলের জন্য গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্রের সিড়ি ব্যবহার করার নামও খেলাফত জীবন ব্যবস্থা নয়। খেলাফত জীবন ব্যবস্থা হল মহান আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত রাসূল সা. প্রদর্শিত এমন একটি বাস্তবমূখী জীবন ব্যবস্থা যা খোলাফায়ে রাশেদাসহ সাহাবায়ে কেরাম সুদীর্ঘ সময় পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে কায়েম রেখেছিলেন।
পরিশেষে আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার সেই ঘোষণা স্মরণ করে শিক্ষা গ্রহন করতে পারি
“ তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, তিনি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেনই।
যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য সুদৃঢ় করবেন তাদের দ্বীনকে যা তিনি মনোনীত করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তা দান করবেন ; তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোন শরীক করবেনা, এর পরেও যারা কুফুরী করবে তারা তো সত্যত্যাগী (ফাসেক) । সূরা নূর: ২৪ , আয়াত: ৫৫
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।