আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
প্রথমেই হাসিনার রাজনৈতিক মতলববাজির উদ্ধৃতি দেখি;
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তাদের উপরওয়ালাদের যে হুকুম ছিলো তারা সেটা করেছে। কিন্তু যারা এই মাটির সন্তান হয়ে পাকিস্তানির দালালি করেছে, হত্যাযজ্ঞ, লুটতরাজ, ধর্ষণ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে তাদের বিচার হবেই। ’
Click This Link
বস্তুত শেখ মুজিব ভুট্টোর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরুপ পাকি যুদ্ধাপরাধী সৈন্যদের ছেড়ে দিয়েছিলেন। এর প্রমাণ পাই জে. এন. দিক্ষীত হতে। এই দিক্ষীত ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ভারতীয় হাইকমিশনার পরে যিনি সেই দেশের পররাষ্ট্র সচিবও হন।
তিনি বলছেন "ভারত চেয়েছিল বাংলাদেশ যেন যুদ্ধাপরাধী পাকি সৈন্যদের বিচার করে। কিন্তু মুজিব সরকার এই বিষয়ে কোন আগ্রহ দেখায় নি" Liberation and beyond গ্রন্থ। তারপর ১৯৭৪ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জারকে মুজিব বলেন "আমি ইচ্ছাকৃত ভাবেই যুদ্ধাপরাধী সৈন্য সমেত সব পাকিস্তানী সৈন্যদের ছেড়ে দিয়েছি যাতে ভুট্টোর গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সামরিক শাসন না আসে"(মার্কিন দলিলের অনুবাদক স্বদেশ রায়, সুত্রঃ দৈনিক সমকাল ১৪ই আগষ্ট ২০০৮ইং)। ১৯৭৪ সালে মুজিব ভারতের সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারকে বলেন "১৯৭১ সালে যা ঘটেছে তা ভুলে যাওয়া দরকার";
Click This Link
অথচ রবার্ট পাইনের গ্রন্থ হতে জানি ইয়াহিয়া বলেছিলেন ২০-৩০ লক্ষ বাঙালীকে নিধন করলেই তাদের স্বাধীনতার খায়েশ মিটে যাবে। কিন্তু ধূরন্ধর হাসিনা এখন নিজ দলীয় রাজনৈতিক কূট কৌশলের জন্য নিজ দলের কোন যুদ্ধাপরাধীকে না ধরে জামাত-বিএনপিকে ধরে দলীয় ক্লিন ইমেজ রাখছেন।
এখন বলছেন যে পাকিস্তানী সৈন্যরা হুকুম তামিল করেছে। অথচ আন্তর্জাতিক আইন বলে গণহত্যা-নির্যাতন অবশ্যই বিচারযোগ্য। এখন প্রশ্ন হল এই দেশীয় যুদ্ধাপরাধী, দালাল ও রাজাকারদের কে শপথ নিল পাকিস্তনের অখন্ডতা রক্ষা করার এবং তাদেরকে বেতন দিল? এই বেতন কি গো. আযম, নিজামী তাদের বাপের সম্পত্তি হতে দিয়েছে? স্পষ্টতই এই দেশীয় অপরাধীদের দায় পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের! কিন্তু হাসিনা নিজের বাপকে অপবাদ ঠেকানো দলকে ক্লিন ইমেজ এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে একতরফা দোষী বানানোর এজেন্ডা নিয়েই্ এই এই সমস্ত মুখোরোচক বুলি আউড়াচ্ছেন। সব সময়েই স্ববিরোধীতা হাসিনার মজ্জাগত অভ্যাস। তাই ১৯৮৬ সালে এমনি এমনি জাতীয় বেঈমান আখ্যায়িত হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।