আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করব না বলেছেন শেখ হাসিনাঃ শিবির কর্মিদের রণেভঙ্গ!!

রাজনীতির আবর্জনাগুলো বাদ দিলে আপনার সাথে আমার দ্বিমত খুবই সামান্য।

সরকার প্রধান জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করবেননা বলাতে হয়ত জামায়াত-শিবির কর্মীদের শুষ্ক অন্তরে একটু পানি আসতে শুরু করেছে। তারা হয়ত আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথা এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না,কিন্তু আমার আস্থা আছে এখনকার শেষ বয়সের মেসিউরড শেখ হাসিনার প্রতি। আর অবিশ্বাস করি কিভাবে দেশ চলছে পুলিশ আর ইন্টিলিজেন্স দ্বারা। সরকার প্রধানের কাছে হয়ত এত দিনে কাগুজে বাঘ জামায়াতের অন্তসারশুন্যতা সম্পর্কে রিপোর্ট পৌছে গেছে এবং ঐটা আলোচনা পর্যালোচনা করে উপদেষ্টা গন এই সীদ্ধান্ধে উপনীত হয়েছেন যে আদর্শ-তেজ বিহীন এখনকার জামায়াত আর আগের মত নেই এবং সেকুলার রাজনীতির জন্য কোনভাবেই হুমকি নয়,বরং ধর্মের ফ্লেবার সর্বস্ব একটা ডান রাজনৈতিক দল মাত্র! তাই শুধু শুধু মশা মেরে হাত নষ্ট করার কোন মানেই হয়না,শেখ হাসিনার এই দুরদর্শিতাকে আমি সালাম জানাই।

এইটা যদি আসলেই শেখহাসিনা আমল করতে পারেন তাহলে ওনার নাম নিয়ে ওনার মৃত্যুর পর আওয়ামীলিগের রাজনীতি চলবে আরো ৪০ বছর কারন মানুষ এখন আর জাতীর জনকের স্বপ্নের কথা বিশ্বাস করেনা...এগুলো শুনতে শুনতে আমাদের জেনারেশন আজ বড়ই ক্লান্ত! শিবির কর্মিদের রণেভঙ্গ:৭১ পরবর্তি বাংলাদেশের সেকুলার স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ইসলামী চেতনার প্রেকটিস করা শিখিয়েছে শিবির এতে দ্বিমত থাকলেও কিছু করার নাই। তমুদ্দিন মজলিশ এবং ছাত্র সংঘের যুদ্ধে অবস্থান পরিষ্কার থাকার কারণে নতুন ব্র্যান্ডিং করাটা জরুরি ছিল ইসলামিক সংগঠন গুলোর, যার ফলে শিবির প্রতিষ্ঠিত। তবে এটা সত্য এই ব্র্যান্ডিংয়ের ফলে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দুটই পরিবর্তন করেছে শিবির। এরাউন্ড ৭১ বাংলাদেশের শিক্ষাজ্ঞান গুলোতে বাম রাজনীতির যেই দাপট ছিল সেখানে মুসলমান ছাত্র সমাজের জন্য এরকম একটি প্লাট ফরম ঐ সময়ের জন্য প্রয়োজন ছিল,এখনো আছে। কিন্তু সমস্যা হলো জামায়াতের মুরুব্বিদের নিয়ে....বুড়ুরা যে অনেকাংশে সময়ের থেকে পিছণে চলে জামায়াতের মুরুব্বিদের দেখলে পরিষ্কার বুঝা যায়।

স্বাধীন বাংলাদেশে তারা গোরামীর কারনে নিজেদের ভুলতো শিকার করলইনা বরং উল্টো যারা সময়ের প্রয়োজনে পরিবর্তনের আওয়াজ দিল তারাই হলো কেনিবালিজমের স্বীকার !! পরিবর্তন যখন নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সম্ভবপর নয় তাই অনেকে ভেবেছিলেন যুদ্ধাপরাধের বিচার হলে তারা বেচে যায়, স্বাধীনভাবে মাথা উচু করে রাজনীতি করবে,ইভেন দল ব্যান হলেও আপত্তি ছিলনা অনেকের......নতুন ব্র্যান্ডে চলবে রাজনীতির বানিজ্য!!(সরি আমি বানিজ্য বললাম,তার একটা ঐতিহাসিক কারন আছে,অন্য কোথাও বলব,কেউ রিকোয়েষ্ট করবেন না যেন)। প্রধান মন্ত্রী আপনিতো রণে ভঙ্গ দিলেন..... ব্লগে যারা এতদিন যারা শুধু জামায়াতের তথাকথিত বিচার নিয়ে ক্যাম্পেইন করছেন তারা এখন কি নিয়ে চেঁচামেছি করবেন?? নোট: গতকাল এই ব্লগ লিখে খাইলাম আম্বা ভাইদের গালি,আজ মনে হচ্ছে জামাতী ভাইদের পালা....ব্যাফক বিনোদন...আমি দেখি আর মজা লই...এই জাতির ইন্টেলেকসুয়াল দৈন্যতা দেখে দেখে ব্যাপক বিনোদন। সত্যকে নিজের দলের সংজ্ঞার মধ্যে না পড়লে মানতেই নারাজ!! তাতে কি আমি যেটা সত্য মনে করি তা বলেই যাব আনলেস আমার বক্তব্য কেউ ভুল বা মিথ্যা প্রমাণ করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.