বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম টেস্ট স্টেটাস পাওয়ার পর থেকে আজ অবধি জাতীয় দলে অনেকের অভিষেক হয়েছে , তার মধ্যে কিছু খেলোয়ার ছিলেন যারা এক বা দুই ম্যাচ খেলেই বাদ পরে গেছেন এবং আর কোনদিন জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান নি । অনেকে হয়ত তাদের নামই ভুলে গেছেন । সেই সব অভাগা খেলোয়ার দের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে আমার এই প্রচেষ্টা ।
গত পর্বে লিখেছিলাম বাংলাদেশ টিম এর সাবেক ফাস্ট বোলার বিকাশ রন্জন দাশ এর গল্প । এবার থাকছে আরেক ফাস্ট বোলার আনোয়ার হোসেন মনির এর গল্প ।
আনোয়ার হোসেন মনির ডান হাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার । কিন্তু ফাস্ট বোলারদের যেরকম শারিরীক গঠন হতে হয় তেমন ছিলেন না এখনকার শফিউলের মত ছিমছিমে ছিলেন । তাই গতির চেয়ে সু্ইং আর লাইন লেন্থ ছিল তার বোলিং এ বড় শক্তি ।
জাতীয় দলে অভিষেক হয় ২০০২ সালে , বাংলাদেশ এর দক্ষিন আফ্রিকা সফরের ৩য় ওয়ানডে ম্যাচ এ । এবং এটাই হয় তার প্রথম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ ।
ম্যাচ এ বাংলাদেশ ৭ উইকেট এ পরাজিত হয় ।
আনোয়ার ১০ নাম্বার এ নেমে কোন রান না করে অপরাজিত থাকেন । মোটের উপর ভালই বোলিং করেন ৮ ওভার বোলিং করে দেন ৪৫ রান , উইকেট পান নি । ম্যাচ এ তার বোলিং নজর কেড়ে ছিল নিখুত লাইন লেন্থ এর জন্য । যদিও দক্ষিন আফ্রিকার মত শক্তিশালী দলের সাথে অভিষেক হওয়ায় সেই রকম ভাবে জ্বলে উঠতে পারেন নি ।
* মজার বেপার হল এই ম্যাচ এ তার মত আরেকজন অভাগা আছে যার গল্গ আরেক দিন হবে *
আনোয়ার হোসেন মনির একদিক দিয়ে ভাগ্যবান ছিলেন কোন উইকেট না পাওয়ার পরও তার কেরিয়ার এর সাথে যুক্ত আছে তিনটি টেস্ট ম্যাচ !
তার টেস্ট অভিষেক হয় অস্ট্রেলিয়ার সাথে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০০৩ সালে। ( যেই টেস্ট সিরিজে হান্নান সরকার ব্যাটিং এ সবাই কে চমকে দেয় , কোচ হোয়াইটমোর এর প্রথম সফর এ ) ২য় টেস্ট এ আনোয়ার হোসেন মনির এর অভিষেক হয় । ২১ ওভার বোলিং করে ৪.৫২ গড়ে ৯৫ রান দেন । অস্ট্রেলিয়া ইনিংস এ ম্যাচ জেতায় একবার এ বোলিং এর সুযোগ পান । আর ব্যাটিং এ দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪ রান করেন ।
সুনতে খারাপ লাগলেও বলতে হচ্ছে আনোয়ার হোসেন মনির টেস্ট এ বল করার মত বোলার ছিলেন না । তার বোলিং ওয়ানডে এর জন্যই বেশি কার্যকর হত ।
২০০৫ সালে তাকে আবার ইংল্যান্ড এর সাথে টেস্ট ম্যাচ এ সুয়োগ দেওয়া হয় । সে খানে দুই টেস্টেই সে বাজে পারফর্ম করে । আর ইংল্যান্ড এর সাথে ২য় টেস্ট হয় জাতীয় দলের হয়ে শেষ খেলা ।
বোলার হয়েও কোন উইকেট না পাওয়ার বেদনা নিয়ে তার আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ হয় ।
২০০৭ সালে ঢাকা ডিভিশনের হয়ে বরিশাল ডিভিশনের বিপক্ষে প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ খেলার মাধ্যমে আনোয়ার হোসেন মনির তার খেলোয়ারি জীবনের ইতি টানেন ।
আনোয়ার হোসেন মনির এর বোলিং ছিল দেখার মত । তার সুন্দর বোলিং একশান ও নিখুত লাইন লেন্থ এখোনো চোখে ভাসে ।
আনোয়ার হোসেন মনির
গত পর্বের লিংক
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর অভাগা খেলোয়ার দের গল্প ।
পর্ব - ১
তথ্যসুত্র : ক্রিকইনফো ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।