কলেজ লাইফ পার করে আসার পর জীবনে কিছু বুঝার আগেই অনেক বড় পরিবর্তন চলে আসে। অনেকে পছন্দের জায়গাতে ভর্তি হবার সুযোগ পায়না অনেকে কয়েকটা জায়গাতে ভর্তির সুযোগ পেয়ে বিপদে পড়ে যায়। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে শুরু করে দেয়। অনেকে প্রাইভেট আর পাব্লিকের মাঝে নিজের সাথেই যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ।
এরই মাঝে যারা কথাও সুযোগ বা পেয়ে প্রাইভেটে ভর্তি হয় তাদের দুনিয়া মুহূর্তের মাঝে বদলে যায়। এক দিক থেকে পরিবার থেকে অনেক কিছু সহ্য করতে হয় আরেকদিকে কোন প্রস্তুতি নেবার সুযোগের আগেই শুরু হয়ে যায় এক অজানা কার্সড মেস লাইফ।
মেস লাইফ লিড করার জন্য মানসিক প্রস্তুতির দরকার থাকে যথেষ্ট। কিছু পাবলিক ভর্তির পরে কিছুটা টাইম দিলেও আমি সেই টাইম টা পাইনি। ভর্তি হবার ২ দিন আগেও জানতাম না আমি কোথায় পরবো , ভর্তি হবার ৭ দিনের মাথায় শুরু হলো ক্লাস।
এতটা হথাত করে যে সব কিছু হয়ে যাবে ভাবিনি , শাহজালাল ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি তে এসে পড়লাম কোন প্রকারের প্রস্তুতি ছাড়াই। উঠে গেলাম একটা মেসে। জীবনে প্রথম বাসা থেকে দূরে তাও বাসা থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে।
ভর্তির প্রস্তুতি গ্রহনের সময় থেকেই মানসিক প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে যে কারো জন্য। এই ৬ মাসে, ঠিক ৬ মাসে যে পেইন সহ্য করতে হয়েছে সেটার কারন হয়তো ওইটাই হবে।
মানসিক প্রস্তুতির অভাব। ভর্তির প্রস্তুতি গ্রহনের সময় মাথায় রাখতে হবে জীবনের অনেক কিছু এই সময়ের উপর নির্ভর করছে। জীবনকে পালটে দেবার জন্য যথেষ্ট। আমি ভুল করেছিলাম, সময়টা সিরিয়াসলি নেই নি, মানসিক প্রস্তুতি গ্রহনের সময়টাও দেয়নি আমাকে । ফলাফল, ছিটকে পরেছি আমি জীবন থেকেই।
আমার জুনিয়র দের যাতে আমার মতো সমস্যায় পরতে না হয় তাই এই লিখা। সময়টা কাজে লাগাও পেছনের মানুষ গুলোর স্বপ্ন পুরন করো নিজে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহন করো। রিআড অনেক পেইনের জিনিস অটা মাথায় এনোনা, পড়লে প্রথমবারেই ভর্তি হতে পারবে কি দরকার অযথা একটা বছর পরিবার সহ সবার পেড়া খওয়ার।
(নিজেরে প্রথমবারের মতো সিনিওর সিনিওর মনে হইতাছে ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।