সত্য প্রকাশে আপোষহীন
এইচএসসি পাশ করা সবাই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত। শুধু ২০১০ সালে এইচএসসি পাশ করা না বরং ২০০৯ সালের এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের সাথেও প্রতিযোগিতা করতে হবে। কারন অধিকাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান বছর এবং পূর্ববর্তী বছরে পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবার সুযোগ দেয়া হয়। কেউ যদি জিপিএ-৫ পেয়ে মনে করে যে সে সব কিছু পারে এটা তার জন্য ভুল হবে। জিপিএ-৫ পায়নি এমন অনেক ছাত্র-ছাত্রী কিন্তু বর্তমানে বুয়েট, মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে ভর্তি কোচিংয়ের দরকার আছে কিন্তু কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন দেখে ভর্তি হলেই চলবে না। নিজে লেখাপড়া না করলে ঘোল বানিয়ে কোচিং সেন্টারগুলো খাওয়ালেও লাভ হবে না।
ভর্তি কোচিংয়ের কিছু প্রয়োজনীতা বলছি -
১) এইচএসসি পরীক্ষা আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ন ভিন্ন হয় (এইচএসসি=রচনামূলক, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা=MCQ)। বিশেষ প্রস্তুতি ছাড়া ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
২) কোচিং সেন্টার ভর্তি হলে তারা প্রত্যেকদিন ক্লাশ টেস্ট নেয় যার কারনে ছাত্র-ছাত্রীরা একটা চাপের মধ্যে থাকে।
আর ভর্তি পরীক্ষার জন্য কিভাবে পড়তে হবে এর একটা দিক নির্দেশনা তো দেয়া হয়। এসব ক্লাস টেস্ট নেওয়ার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের দূর্বল দিকগুলো বুঝতে পারে। মডেল টেস্টের সময় অনেক প্রতিযোগিতা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিক মত নেয়া যায়।
বিঃদ্রঃ ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলোর প্রচারনার জন্য এ পোষ্ট দেয়া হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।