আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসাধু দালাল চক্রের ভর্তি ফর্ম জালিয়াতি: হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন অনিশ্চিত

There is only one good, knowledge, and one evil, ignorance.

অসাধু দালাল চক্রের ভর্তি ফর্ম জালিয়াতির কথা ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকাতে এসেছে। এরা নকল ভর্তি ফর্ম তৈরি করে তাদের লোকজনের মাধ্যমে (বলা যায় গুপ্ত(!) মার্কেটিং পলিসি) দেশের বিভিন্ন জায়গায় অল্প দামে পাইকারি ভাবে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের কাছে বিক্রি করে। অল্প দামে পাওয়া যায় দেখে দেশের আনাচে-কানাচে সহ বড় বড় কোচিং সেন্টারগুলোও এই ফর্ম কিনে এবং কোমলমতি ছাত-ছাত্রীদের কাছে ঢাবি নির্ধারিত আসলে দামের চাইতেও কিছু বেশি দামে বিক্রি করে। দেশের দূর-দূরান্তের ছাত্র-ছাত্রী সহ ঢাকা শহরের অনেক ছাত-ছাত্রীও ভোগান্তি কমানোর লাঘবের আশায় এই সমস্ত ফর্ম কিনেছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোনভাবে জেনে ফেলার পর পুলিশ নিয়ে ঢাকা শহরের ২/১ জায়গায় অভিযানও চালিয়েছে।

কিন্ত প্রশ্ন হলো: এই সব হাজার হাজার প্রতারিত ছাত-ছাত্রীদের কি হবে? তারা তো ভর্তি পরীক্ষাটাই দিতে পারবে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু ছাত্র-ছাত্রী বিক্ষিপ্তভাবে ঢাকা শহরে মিছিলও করেছে। সেখানে সেইসব নিরপরাধ ছাত-ছাত্রীরা আমাদের তথাকথিত রক্ষকদের কাছে থেকে কি ধরনের ব্যবহার পেয়েছে সেটাও টেলিভিশনের মাধ্যমে আপনারা অনেকেই দেখেছেন (http://www.youtube.com/watch?v=E4V_m9Aa6V4)। নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। ঢাবি কর্তৃপক্ষ কি ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারে? অনেক বছর ধরেই দেখে আসছি, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার এক সাথে হাজার হাজর ফর্ম কিনে থাকে।

তারা এই ফর্মগুলো কোথা থেকে পায়? নিশ্চিৎ বলা যায় ঢাবি/অগ্রনী-জনতা ব্যাংক থেকে। একসাথে এতগুলো ফর্ম কারা কিনছে কেন কিনছে তা নিশ্চয় ঢাবির অজানা নয় (যদি অজানা হয়ে থাকে কেন তাদের এই প্রশ্ন আসেনি যে এত ফর্ম কোথায় যায়!)। তার মানে ঢাবির গোচরেই এই ফর্মগুলো দালাল চক্রের হাতে গিয়ে পড়ছে এবং মুলদামের চাইতে বেশি দামেই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এখানেই কিন্ত সমষ্যার শুরু। কারণ যারা নকল ভর্তি ফর্ম তৈরি করেছে তারা জানে যে এই ফর্মগুলো তারা বিক্রি করতে পারবে।

কেন বিক্রি করতে পারবে? কারণ, ঢাবি এবং এর অথোরাইজড প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কিছু দালাল কোচিং সেন্টারগুলো কোন রকম জবাবদিহিতা ছাড়াই ভর্তি ফর্ম বিক্রি করে চলেছে অনায়াসেই। সেই সুযোগে তারা তাদের নকল ফর্ম গুলো বাজারে ছেড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। আর এর ফলে এবার প্রতারিত হয়েছে হাজার হাজার নিরপরাধ ছাত্র-ছাত্রী এবং হতাশ হয়ছেন তাদের অভিভাবকরাও। ছাত্র-ছাত্রী বা অভিভাবকদের কে কি দোষ দেওয়া যাবে? মোটেও না, কারণ ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোথাও ঘোষনা দেয়নি যে শুধুমাত্র লিষ্টেড প্রতিষ্ঠান থেকেই ভর্তি ফর্ম কিনতে হবে। সুতরাং আজ এই হাজার হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের গতিধারাকে ধংশের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য ঢাবিকে দায়ী করা যায় বৈকি।

এখন করণীয়? ১) ঢাবি নতুন করে অন্তত ২/১ সপ্তাহের জন্য আবার ভর্তি ফর্ম বিক্রি করুক যাতে করে প্রতারিত হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী আবার ভর্তি ফর্ম কিনতে পারে এবং ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পায়। এতে করে নিশ্চয় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। ২) এই হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যত গুরুত্বসহকারে চিন্তা করে তারা যেন আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে সেই ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.