আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ ছাত্রলীগঃ শিক্ষাংগনের কলংক

মিথ্যাকে বর্জন করি সত্যকে আঁকড়ে ধরি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন। “শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি” শ্লোগানের তল্পিবাহী হলেও এদের আচরনে শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির লেশমাত্র ছোঁয়া নেই। যার প্রমান মানুষ অতীতেও পেয়েছে, এখনোও পাচ্ছে। তবে বর্তমানে এদের কার্যকলাপ যেন অতীত সমস্ত লজ্জাকেও হার মানিয়েছে।

সাহারা খাতুন যেমন বলেন “বর্তমান আইন শৃংখলা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো”। যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন “বর্তমান যোগাযোগ ব্যাবস্থা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো”। কিন্তু আফসোসের বিষয় তারা কেউ সত্য কথাটি বলে না যে “বর্তমান ছাত্রলীগ অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে আরো বেশী হিংস্র, বর্বর, বিবেকহীন ছাত্র নামের সন্ত্রাস”। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কে পুরো বিশ্বের সামনে কলুষিত করেছে এই ছাত্রলীগ। বর্তমানে এমন কোন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে ছাত্রলীগ এর কালো থাবা পরেনি।

প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই পৃষ্ঠা জুড়ে চোখে পড়ে ছাত্রলীগ নামক ভাইরাসের অপকীর্তি। শুধু চোখে পড়ে না যারা এদের তৈরী করেছে সেই আওয়ামী বাকশাল লীগের হোমড়া চোমড়াদের। তারা কি অন্ধ? যাই হোক কথা বলছিলাম বাংলাদেশের গর্ব ছাত্রলীগ নিয়ে। তাদের কুকর্মের কথা লিখতে গেলে মাসুদ রানা সিরিজের মত সিরিজ লিখতে হবে। আমি সেদিকে যাচ্ছি না।

অনেক ভাইরাই তাদের সুকর্মের কথা লিখেছেন, আরো লিখবেন। আমি বলতে চাই সাধারন ছাত্রদের কথা। যারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে উচ্চশিক্ষার আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু এই সহজ সরল স্বপ্নীল ছাত্র গুলোই একসময় ভয়ংকর সন্ত্রাসীতে পরিনত হয়। কিন্তু কেন? কাদের সংস্পর্শে, কাদের মদদে এরা সাদা-সিধা ছেলে থেকে খুনীতে পরিনত হয়? তাহলে কি ভার্সিটি গুলো তৈরী হয়েছে খুনী বানানোর জন্য? ক্ষমতার মোহে যারা শিক্ষানবিশ থেকে খুনী সন্ত্রাসে পরিনত হয় তাদের কে ধিক্কার জানানো, তাদের সংস্পর্শ ত্যাগ করা, তাদেরকে বিতাড়িত করা প্রত্যেক বিবেকবান মানুশের কর্তব্য।

আজকের বিবেকবান ছাত্রসমাজ এদের অত্যাচারে অতীষ্ট। সুযোগ পেলেই এদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। উদাহরন হিসেবে একটি ছোট্ট ঘটনার কথা বলতে চাই। হয়তো সবাই জানেন কিছুদিন আগের বুয়েট থেকে দুজন ছাত্রলীগ কর্মীর আজীবন বহিস্কারের কথা। বুয়েট প্রশাসন অনেক ধানাই-পানাই সত্ত্বেও এ কাজটি করতে বাধ্য হয়েছিলো সাধারন ছাত্রদের অব্যাহত আন্দোলনের মুখে।

ছাত্রলীগের প্রতি তীব্র ঘৃনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল এই ঘটনার মাধ্যমে। তাই সাময়িক বহিস্কার নয়, টানা তিন দিন অবস্থান আন্দোলনের মাধ্যমে আজীবন বহিস্কারের রায় নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল ছাত্ররা। এ ঘটনার মধ্যে শিক্ষা রয়েছে ছাত্রলীগের জন্য। শিক্ষা রয়েছে সাধারন ছাত্র ও মানুষের জন্যও। এদেরকে প্রশ্রয় দিবেন না।

দিলে এরা আপনার সন্তানকেও একদিন খুন করবে নয়তো খুনীতে পরিনত করবে। এদেশের শিক্ষাংগনকে কলংমুক্ত করতে হলে এদেরকে নির্বাসিত করতে হবে। আজকে দেশের প্রথম শ্রেনীর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অধিকাংশই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসবাদের জন্য। যে কৃষকদের ঘাম ঝরানো টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো চলে তাদের সন্তানের দায়ীত্ব কে নেবে? ছাত্রলীগ??? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.