ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমতি দিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
২ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি, যাদের মালিকানাধীন অন্যতম প্রতিষ্ঠান হলো ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল ‘ওয়েস্টিন’।
মঙ্গলবার কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এসইসি।
এতে বলা হয়, ইউনিক হোটেল পুঁজিবাজার থেকে ১৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে তিনটি নতুন হোটেল নির্মাণ করবে। পাশাপাশি এই অর্থ থেকেই ব্যাংক ঋণ ও আইপিওর খরচ মেটাবে প্রতিষ্ঠানটি।
ইউনিক হোটেলের ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ারে ৬৫ টাকা প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে। অর্থাৎ, এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের ইস্যুমূল্য হবে ৭৫ টাকা।
২০১০ সালের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ ১০০ টাকা ৩৮ পয়সা। ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি শেয়ারে তাদের আয় হয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা। ইউনিক হোটেলের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লংকা বাংলা সিকিউরিটিজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একটি সদস্য প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তাদের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের আবেদন এসইসি বিবেচনা করেনি।
এদিকে মঙ্গলবার কমিশন সভায় কর্পোরেট গভর্নেন্স গাইড লাইন সংশোধন সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
কোম্পানিগুলো প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে কোন কোন খাতে ব্যবহার করতে পারবে, সে বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য দুই সদস্যের কমিটিও করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ২০১২ সালের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে মনোনীত ১০ জন সদস্যের বিষয়ে এই সভায় ‘অনাপত্তি’ দিয়েছে কমিশন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।