গায়িকা এবং অভিনেত্রী হুইটনি হুসটন মারা গেছেন। শনিবার বিকেলে বেভেরি হিলটন হোটেলে অবস্থান কালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৮ বছর। হুইটনির মুখপাত্র জিল ফ্রিটজো তাঁর মৃত্যুর খবর সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
তার মৃত্যু সম্পর্কে লস এঞ্জেলসের বেভরি হিলস পুলিশ একটি সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেন। পুলিশ বলেন, গায়িকা হুইটনির জন্য বিকাল ৩ টা বেজে ২০ মিনিটে বেভরি হিলটন হোটেল থেকে একটি জরুরী কল আসে। ৩ টা বেজে ৫৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা মার্ক রোসেন বলেন, মৃত্যুর সময় হুইটনির বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের আত্মীয় সজ্জন বেভেরি হিলটন হোটেলেই অবস্থান করছিলেন। এর বেশি এই মুহূর্তে জানা যায়নি।
আই উইল অলওয়েজ লাভ ইউ হুইটনির সর্বাধিক জনপ্রিয় গান। এই গান যে বছর রিলিজ হয় তখন তা বর্ষ সেরা গান হিসেবে নির্বাচিত হয়। বডিগার্ড সিনেমার থিম মিউজিক হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয় । যেখানে হুইটিনি নিজে অভিনয় করেছিলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি রোববার গ্র্যামি এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য হুইটনি হিউস্টনের হিলটন হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
সেখানে সুরকার ক্লাইভ ডেভিসের সাথে গ্র্যামি পূর্ব গান রেকর্ডিং এর কথা ছিলো। শনিবার রাতে বেভেরি হিলটন হোটেলে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ভাগ্যর নির্মম পরিহাস সেই অনুষ্ঠান শুরু করার কয়েক ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু সংবাদ সকলের কাছে পৌছুলো।
১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এ হুইটনি মার্কিন সংগীত জগতে হিট তারকা হিসেবে পরিচিতি পান। সংগীত পরিবারের বেড়ে উঠেছিলেন হুইটনি হুসটন।
তার মা, মামাত বোন ও পালক মাতা সুন্দর গান গাইতেন। তাদের অনুপ্রেরণায় তিনি গানে আসেন। গানের জগতে সর্বোচ্চ যত গুলো পুরস্কার প্রচলিত আছে তার সবকয়টির প্রাপ্তি আছে এই গুণী শিল্পীর। গানের অস্কার বা নোবেল খ্যাত যে গ্র্যামি এওয়ার্ড , সেটি ছয় বার জিতেছেন এই শিল্পী। পুরস্কারের মধ্যে আছে এ্যামি এওয়ার্ড ও বিলবোর্ড মিউজিক এওয়ার্ড।
তার মৃত্যুতে সংগীত জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে। জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী রেহানা সামাজিক ফোরাম টুইটারে বলেছেন, কোনো কথা নয়, শুধুই কান্না। র্যাপার নিকি মিনাজ বলেছেন, ওহ ঈশ্বর, এই খবর যেন হুইটনির জন্য না হয়।
সুরকার কুইন্সি জোনস বলেন, তার মৃত্যু আমার হৃদয়কে খণ্ড বিখণ্ড করেছে খবরের সূত্র এই লিংকে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।