হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো কি খুবই অযক্তিক যে তাদের প্রতিহত করার জন্য হরতাল দেয়া হল ? অনেকে বলে তাদের আন্দলনে নাকি একটি বিশেষ দল উপকৃত হবে । কিন্তু আমার কথা হলো শাহবাগ আন্দোলনেওতো একটি বিশেষ দল লাভবান হয়েছে। তাতে কি আমাদের শাহবাগ যাওয়া বন্ধ ছিলো ? আমরা নিশ্চই শাহবাগ দলপ্রেমের জন্য যাই নি । আমরা গিয়েছিলাম দেশপ্রের জন্য । তাহলে হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলোর ক্ষেত্রে বৈষম্য কেন ? আর আজ যারা হরতাল ডেকেছে তারা কি কখনই তাদের বিরুধে কথা বলেছে যারা আল্লাহ ও নবীকে কটাক্ষ করে লেখালিখি করাত ? এরা হল একটি সুবিধাবাদী শ্রেনী ।

এরা কখনই সাধারন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না বরংচ তাদের সুনাম নষ্ট করছে । আমার খুব কাছের একজনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন যিনি প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজীও ছিলেন । তিনি এই বাংলার জন্য যুদ্ধ করেনি যেখানে মহান আল্লাহ ও তার প্রানপ্রিও নবীকে নিয়ে ওশ্লিল কথা লেখা হবে আর কেউ কিছু বলবে না । ওই সব লোকেরা মানুষকে বুঝাতে চায় "যদি তোমরা ইসলাম বিদ্ধেষিদের বুরুদ্ধে আন্দোলন কর তাহলে জামাত নিষিদ্ধ করা যাবে না । " আমার কথা হল, যাবে না কেন ? দুইটাই তো গুরুত্বপূর্ন বিষয় তাহলে দুটো আন্দোলন কেন একসাথে হতে পারবে না ? তাদের প্রধান দাবিসমূহঃ ২।

আল্লাহ্‌, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে। ৩। প্রিয় নবী (সা.)-র শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ৪। ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

৫। ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৬। সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ৭।

মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। ৮। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে। ৯। রেডিও, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে।

১০। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ।