অন্তহীন আমাদের পথচলা,জীবনের বাঁকে-বাঁকে গতির পরিবর্তন। আর চাওয়া - পাওয়ার অসম সমীকরণ। এই নিয়েই আমাদের জীবন আজ সিলেটের স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাকের শেষের পাতার একটি প্রতিবেদন খুব চোখে লাগছিল। ওখানে লেখা ছিল যে,বালাগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে পড়ান মাত্র দু'জন শিক্ষক। তখনই আমি ফিরে গেলাম আমার শৈশবের স্কুল জীবনে।
সময়টা ছিল ১৯৯৯-২০০০ সাল। ৩য় বা ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ি। স্কুলের নাম রাণীগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। গ্রামের নামে স্কুলের নাম। গ্রামটাও বেশ বড়।
অনেক লোকের বাস। তাই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও অনেক বেশি। কাগজে কলমে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ছয় শতাধিক। কিন্তু শিক্ষক ছিলেন মাত্র চারজন। অর্থাত্ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ছিল ১:১৫০।
ওই সময় দেখতাম আমাদের সেই বৃদ্ধপ্রায় শিক্ষকরা বিদ্যালয় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তার উপর কেউ যদি দাপ্তরিক কাজে অথবা ছুটিতে স্কুলের বাইরে থাকতেন তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই।
আজ সেই স্কুলে শিক্ষক আটজন। তবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। তাই আজো অবস্থার উন্নতি হয়নি।
বরং মূল শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে অন্য আরো অনেক কাজ বেড়েছে শিক্ষকদের। তাই প্রাথমিক শিক্ষা যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। এখনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:১০০+ রয়ে গেছে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।