রাজধানীর ইডেন কলেজের পাশে আজ বুধবার হরতালের সমর্থনকারী পিকেটারদের হামলায় মিল্ক ভিটার তরল দুধ পরিবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এ সময় হরতালের ২০-২৫ জন সমর্থক পিকেটার ইট ও পাথর ছুড়ে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কাভার্ড ভ্যানটিতে হামলা চালায়। এরপর তারা পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে কাভার্ডভ্যানটি পুড়িয়ে দিলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ হামলায় কাভার্ড ভ্যানের চালক মো. ইউসুফ আলী (৪২) এবং বিক্রয়কর্মী (সেলসম্যান) আবুল বাশার (৩০) গুরুতর আহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মিল্ক ভিটার পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিল্ক ভিটার মিরপুরের কারখানা থেকে সকালের দিকে রওনা দিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি আজিমপুর কলোনির সামনে পৌঁছালে ২০-২৫ জন পিকেটারের হামলার শিকার হয়। এ ঘটনার পরপরই রাজধানীর লালবাগ থানায় মিল্ক ভিটার পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের ১০ টন পরিবহন ক্ষমতাসম্পন্ন টাটা ব্র্যান্ডের ওই কাভার্ড ভ্যানটিতে চার লাখ টাকা মূল্যের সাত হাজার ৩০০ লিটার পাস্তুরিত তরল দুধ ছিল। এ হামলায় আনুমানিক ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি।
ঘটনার পর পরই মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে মিল্ক ভিটার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মিল্ক ভিটার এমডি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুগ্ধ পরিবাহী যানবাহনের ওপর এ ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা নজিরবিহীন, চরম অমানবিক। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ অনুযায়ী যুদ্ধের সময়ও খাদ্য পরিবাহী যানবাহন আক্রমণমুক্ত রাখা হয়। এ ঘটনায় শিশু ও জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এতে মিল্ক ভিটার আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমবায়ীসহ সর্বস্তরের শ্রমিক-কর্মচারীও এ ক্ষতির শিকার হবেন।
আগামীতে চালকেরা এ দায়িত্ব পালনকে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করবেন। শিশু ও রোগীদের স্বাস্থ্য ও জীবন বাঁচানোসহ জাতির বৃহত্তর স্বার্থে মিল্ক ভিটার দুগ্ধ ও দুগ্ধ পরিবাহী সব যানবাহনকে হরতাল ও “হিংসাত্মক ঘটনা”র আওতামুক্ত রাখা উচিত। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।