আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উপদেষ্টার উপদেশ-টা!

আজকের দি ইনডিপেন্ডেন্ট রিপোর্ট করেছে, ''On transit, Dhaka set to go by GATT'' Click This Link প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড: মশিউর রহমানের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার উপর আলাদা কোন ট্রানজিট ফি আরোপ করবে না শুধুমাত্র জিএটিটি (জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড)-এর আওতায় যে শুল্ক বসবে, তাই ধার্য করা হবে। ডঃ রহমানের মতে, 'বইপত্রে' ট্রানজিট ফি বলে কিছু নেই (There is no such term (as) transit fee in 'books', and the government should strictly follow the principles laid down in GATT and transport economics)। ৩০শে জানুয়ারিতে এ কথা বললেও, গতবছর অক্টোবরে এক সেমিনারে তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ৩১শে মার্চের মধ্যে (অর্থাৎ ৩১শে মার্চ, ২০১২) ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড এর পরবর্তী রিনিউয়াল মিটিং-এ ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট ফি ঠিক করে ফেলা হবে। (সূত্র: একই রিপোর্ট) মাননীয় উপদেষ্টা বোধহয় তখন 'বইপত্রে' ট্রানজিট ফি খুঁজে পেয়েছিলেন! মাত্র তিনমাস পরই তাঁর অর্থনীতির ভিন্ন পাঠ শুরু হলো কেন? এদিকে অর্থমন্ত্রী এবিএম মুহিত জানিয়েছেন, আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই ট্রানজিট চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলা হবে। (সূত্র: সমকাল, ৩১শে জানুয়ারি) গত বছর ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং-এর ঢাকা সফরের পর তিস্তা চুক্তি না হলে ট্রানজিট নয়- সরকারের এমন একটা জেহাদি ভাবমূর্তি দাঁড় করাবার একটা চেষ্টা ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থক মিডিয়াগুলোর।

সেই তিস্তা চুক্তি 'মমতাদির' ঘা খেয়ে এখন বিশ বাঁও জলে। ওদিকে ট্রানজিট দিতে যেন আমাদের সরকার উদগ্রীব! ট্রানজিট সংক্রান্ত আলোচনার শুরুতে জানিয়ে রাখা দরকার, বাংলাদেশ কিন্তু ইন্ডিয়াকে ট্রানজিট দিতে বাধ্য নয়। ট্রানজিট শুধুমাত্র সেই রাষ্ট্রের অধিকার যেটার চারদিকে স্থল, যেমন নেপাল। কিন্তু ইন্ডিয়ার অনেক সমুদ্র বন্দর আছে। আর উল্টো দিকে অভিন্ন নদীর পানি আমাদের ন্যায্য অধিকার।

ইন্ডিয়ার কেন ট্রানজিট দরকার? এর উত্তর হচ্ছে, ইন্ডিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বড় ঘাঁটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যাপক জন-অসন্তোষ। এই অঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গ-সিকিম হয়ে মালামাল পরিবহনে যে অতিরিক্ত পণ্যমূল্য যোগ হয়, তাকে বহুলাংশে কমিয়ে আনে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ-ত্রিপুরা বা চট্টগ্রাম পোর্ট-আখাউড়া-আগরতলা রুট। মোদ্দাকথা, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট ইন্ডিয়ার অস্তিত্বের স্বার্থে দরকার। অর্থনীতির ভাষায়, বাংলাদেশের ট্রানজিট নামক পণ্যের ইন্ডিয়াতে প্রচন্ড চাহিদা আছে। সবাই জানেন, চাহিদা বাড়লে মূল্য বাড়ে।

কিন্তু ড: মশিউর রহমান জানেন কি? তাঁর বচনামৃত শুনলে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে মনে, তিনি আসলে কোন পক্ষে খেলছেন? ইন্ডিয়া যেখানে তার আমদানী করা পণ্যে ঘোষিত শুল্কের বাইরেও নানাভাবে অশুল্ক কর বসিয়ে স্থানীয় বাজার ধরে রাখে, সেখানে আমাদের সরকার পারলে বিনা মাশুলে ইন্ডিয়ান পণ্য পার করতে দিতে প্রস্তুত! সরকার পরিবর্তিত হলে এই উপদেষ্টারা বিদেশে দিনাতিপাত করবেন। দেশে থাকবে আম-জনতা। আবুল মাল আব্দুল মুহিত সিলেটি, তিনি হয়তো থাকবেন লন্ডন। আর হঠাৎ-করে-বন্যা-ঝুঁকিতে থাকবে সিলেট। শেখ হাসিনা হয়তো মিয়ামিতে বসে গুনে দেখবেন, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট তাঁর কত নম্বর ডক্টরেট।

দেশে বসে আম-জনতা পত্রিকা পড়ে গুনবে, কতজনকে মেরে ফেললো বিএসএফ। রাজশাহী ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.