আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন 4 উপদেষ্টার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

নতুন 4 উপদেষ্টা নিয়োগের আগাম প্রক্রিয়া শুরু করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়োগ দেয়া হতে পারে। এজন্য দেশের 8 বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে গতকাল থেকেই খোঁজ নেয়া শুরু হয়েছে। যাদের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে তারা হলেন, মেজর জেনারেল (অব.) ইমামুজ্জামান, মেজর জেনারেল (অব.) মতিউর রহমান শিক্ষাবিদ ড. এমএ হান্নান ফিরোজ, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ফরাসউদিন আহমেদ, সাবেক যোগাযোগ সচিব সৈয়দ রেজাউল হায়াৎ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব ড, সাদ'ত হুসেইন এবং বাংলাদেশ- জাপান ব্যবসায়ী মৈত্রী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক।

সূত্রগুলো আরো জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার যাচাইয়ের পর সম্ভাব্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আগাম যোগাযোগ করে তাদের সম্মতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। পদত্যাগী চার উপদেষ্টার দিনলিপি টানা 43 দিন পর সোমবার পদত্যাগী চার উপদেষ্টা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিন কাটিয়েছেন। 29 অক্টোবর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকে ব্যস- দিন কাটান তারা। দিন নেই রাত নেই কাজ করেছেন। সবার লক্ষ্য ছিল একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা।

কিন' পদে পদে বাধা পেয়ে কোন অবদান রাখার সুযোগ পেলেন না। তাই পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। একসঙ্গে সবার পদত্যাগপত্র বঙ্গভবনে পাঠানো হয়। রোববার পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন একজন উপদেষ্টা। তারই ইঙ্গিতের সঙ্গে একাত্দতা প্রকাশ করেছেন বাকি তিনজন_ ড. আকবর আলি খান, সিএম শফি সামি ও সুলতানা কামাল।

সোমবার সকালে তাদের পরিকল্পনা ছিল বেলা 11টায় একসঙ্গে বঙ্গভবনে যাবেন। সেখানে গিয়ে সরাসরি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার হাতে তাদের পদত্যাগপত্র তুলে দেবেন। কিন' তা আর হল না। রোববারই তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য একটি সময় চেয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি ব্যস-তার অজুহাতে তাদের সময় দেননি।

বাধ্য হয়ে তারা পদত্যাগপত্র পাঠালেন তাদের সহকারী একান- সচিবের মাধ্যমে। বেলা 10টায় হাসান মশহুদ চৌধুরী যুগান-র প্রতিনিধিকে জানান, দু'ঘণ্টার মধ্যেই খবর পেয়ে যাবেন। কিন' সে খবরটি পদত্যাগের কিনা সে বিষয়ে খোলাসা কিছু বলেননি। তিনি টেলিফোনে কথা বলেই মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস বাসা থেকে অজানা গন-ব্যে বেরিয়ে যান। প্রচলিত নিয়মে সচিবালয়ে প্রতিদিন সকাল সাড়ে 9টা থেকে 10টা পর্যন- অপেক্ষা করেন সাংবাদিকরা এই আশায় যে, তিনি কিছু বলবেন।

যেভাবে প্রতিদিন বলেন। কিন' সোমবার সকাল 10টা পেরিয়ে গেলেও তিনি আর সচিবালয়ে আসেননি। এই না আসার ইঙ্গিতও অবশ্য তিনি রোববার দিয়েছিলেন যুগান-র প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে। হঠাৎ খবর পাওয়া গেল, গুলশান 2-এর 77 নম্বর সড়কের ড. আকবর আলি খানের ফ্ল্যাটে বাকি তিনজন উপদেষ্টা মিলিত হয়েছেন। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা দলবেঁধে যান সেখানে।

কিন' ফ্ল্যাটে ড. আকবর আলি খান একাই অবস্থান করছিলেন। সাংবাদিকরা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য চেষ্টা করেন। খবরও পাঠানো হয় তার কাছে। শেষ পর্যন- খবর এলো তিনি কারও সঙ্গে দেখা করবেন না। তবে টেলিফোনে কথা বললেন দু'একজনের সঙ্গে।

স্বীকার করেন তার পদত্যাগের কথা। কি কারণে পদত্যাগ করেছেন সে কথাও জানান। চার তলায় ফ্ল্যাটের সামনে তখন প্রায় অর্ধশত ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক অপেক্ষায়। জড়ো হন আশপাশের মানুষজনও। একসঙ্গে এত সাংবাদিক দেখে সবার মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।

ততক্ষণে মোবাইলে মোবাইলে দ্র"ত পেঁৗছে গেছে এ প্রান- থেকে ড. আকবর আলি খানের পদত্যাগের খবর। সাংবাদিকরা সেখান থেকে ছুটে আসে 55 রোডে সিএম শফি সামির বাসার সামনে। বাসার সামনে পাহারারত পুলিশও চমকে যায় এত সাংবাদিক দেখে। শুধু তাই নয়, এ দৃশ্য দেখে আশপাশের অনেক লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তাদের মধ্যেও একই কৌতূহল।

সাংবাদিকরা শফি সামির বাসার ভেতরে বিভিন্নভাবে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন' ভেতর থেকে একজন খবর নিয়ে আসে তিনি এ মুহূর্তে কারও সঙ্গে দেখা করবেন না। তবে ঘরে বসেই টেলিফোন রিসিভ করেন। টেলিফোনে পদত্যাগের বিষয়টি স্বীকার করে তার কারণও জানান। বেগম সুলতানা কামালের বাসায় যাওয়ার আগে সাংবাদিকরা তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন।

তিনি টেলিফোনেই তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য সময় চাওয়া হলে তিনি পুরানা পল্টনের আইন ও সালিশ কেন্দ্রে আসতে বলেন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। এভাবে সোমবার অনেক সাংবাদিকের অর্ধবেলা কেটে যায়। কিন' টানা 43 দিন পর এই চার উপদেষ্টা কিভাবে পদত্যাগের প্রথম দিন কাটালেন? জানা গেছে, ড. আকবর আলি খান সারাদিন সময় কাটিয়েছেন বই পড়ে ও নতুন বই লিখে।

নতুন এ বইয়ে থাকছে তার উপদেষ্টা কর্মজীবনের নতুন অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, এ বইয়ে রাজনৈতিক দলে দুই নেত্রীকে কাছে থেকে দেখার বেশ কিছুটা অভিজ্ঞতার প্রতিফলন থাকবে। ড. আকবর আলি খান ইতিমধ্যে দুইটি বই লিখে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন। একটি হ"েছ ডিসকভারি অব বাংলাদেশ এবং অপরটি হ"েছ পরার্থপরতার অর্থনীতি। সিএম শফি সামি তার পুরো দিনটি কাটিয়েছেন বিভিন্ন জার্নাল ও বই পড়ে।

তবে এর ফাঁকে ফাঁকে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছেন। তার দিনটি ভালোই কেটেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। হাসান মশহুদ চৌধুরীর দিন কেটেছে অনাবিল এক আনন্দে। তিনি অফুরন- অবসরের দিনটি কাটিয়েছেন বই পড়ে। তার স্ত্রী যুগান-র প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, সারাদিন তার মন-মেজাজ খুবই ভালো ছিল।

যখনই কোন ফোন এসেছে তখনই তিনি তা রিসিভ করেছেন। উত্তর দিয়েছেন বেশ ভালোভাবে। বেগম সুলতানা কামাল অর্ধেক বেলা কাটিয়েছেন তার প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্রে। তাকে পেয়ে কেন্দ্রের সহকমর্ী ও অন্য কমর্ীরা খুবই খুশি

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.