জ্ঞানের সাগরের এক ফোঁটা জল এখনো গ্রহণ করতে পারিনি। তবুও নিজেকে সবজান্তা বলি। সকলকে কিছু জানাতে পারার জন্যই লিখে থাকি।
প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ সিদ্দিকা কবীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় আজ দুপুর সোয়া ১২টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। তিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
সিদ্দিকা কবীর ১৯৩১ সালের ৭ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে অঙ্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ইডেন গার্লস কলেজে অঙ্কের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এরপর ১৯৬১ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপ নিয়ে ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে খাদ্য ও পুষ্টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমএস ডিগ্রি লাভের পর ১৯৬৩ সালে ঢাকায় গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
খাদ্য ও পুষ্টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দীর্ঘকালের অধ্যাপনায় তিনি খাদ্য ও পুষ্টি সম্বন্ধে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
তাঁর লেখা পুষ্টি ও রান্নাবিষয়ক গ্রন্থগুলো ব্যাপক সমাদৃত। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—রান্না খাদ্য পুষ্টি, খাবার-দাবার কড়চা, পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থা, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না (সম্পাদনা) ও Bangladeshi Curry Cook Book.
টেলিভিশনের জন্য তৈরি তাঁর ‘সিদ্দিকা কবীর’স রেসিপি’ রান্না ও পুষ্টি বিষয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান।
পুষ্টি ও রান্নায় অবদানের জন্য তিনি ‘উইম্যান অব ইয়ার’ (ওয়েব) ‘শেলটেক’ ও ‘অনন্যা শীর্ষ দশ’-এর স্বীকৃতি পান।
প্রথম আলো থেকে সংগ্রহীত.। .।
.। .। । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।