দেশবরেণ্য নাট্যকার, মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন আজ ( বৃহস্প্রতিবার ২১/০৮/০৮) বেলা ১১.২৫ মিনিটে বারডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহে -------- রাজেউন)। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ বহু-আত্মিয়-স্বজন রেখে গেছেন। মৃতু্কালে তার বয়স হয়েছির ৬৫ বছর। আব্দুল্লাহ আল মামুন মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হার্ট, কিডনি ও লিভার অকেজো হওয়ায় তাকে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে গত ১৯আগষ্ট বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। কাল শুক্রবার ২২ আগস্ট জুম্মার নামাজের পর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে।
আব্দুল্লা আল মামুন এর মৃতু্- সংবাদ সাংস্কৃতিক অঙ্গনণে ছড়িয়ে পড়লে শোকেরে ছায়া নেমে আসে। দলে দলে সবে ছুটে যান বারডেম হাসপাতালে। চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, সঙ্গীত এবং মঞ্চ ভূবনের তার সহকর্মীরা এক নজর দেখতে বারডেম হাসপাতালে যেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তিনি ১৯৪৩ খ্রিঃ ১২জুলাই জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬-৬৮সালে তিনি বিটিভিতে প্রযোজক হিসেবে দাযিত্ব শুরু করেন। মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র এই অঙ্গনে অভিনয় ও নির্মাতা হিসেবে ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি প্রথম চলচ্চিত্রে আসেন 'সারেং বউ' ছবি পরিচালনার মাধ্যমে। এরপর এখই সময় , গোলাপী এখন ট্রেনে (চিত্রনাট্য) , 'মানেনা মানা' (তত্ত্ববধান) এছাড়াও 'জন্মদুখী' দমকা প্রভৃতি।
সর্বশেষ কাজ করেছিলেন "দোরিয়া পাড়ের দৌলতি ' ও 'দুই বেয়াইয়ের কীর্তি'(চিত্র নাট্য ও পরিচালনা)। তিনি টেলিফিল্ম, নাটক নির্মাণ ও অভিনয় করে ব্যপক ভাবে আলোচিত হয়েছেন। মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে তিনি একজন তুঘোর অভিনেতা হিসেবে অন্তকাল উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত জ্বলজ্বল করবেন।
দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি গড়ে তোলেন 'থিয়েটার' নামক একটি নাটকের দল। 'মেরাজ ফকিরের মা ' মঞ্চ নাটকটি করে বেশ আলোচিত হন তিনি।
মেগা সিরিয়াল 'জোয়ার ভাটা' ও 'এক জনম ' করে তিনি বেশ প্রসংশিত হয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।