ইসরায়েল, ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভূরাজনীতিক অস্থিরতা বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সরূপ।
৩২ বছর বয়সী মোস্তফা আহমাদি রোশন ছিল একজন পরমাণু বিজ্ঞানী। ইরানের রাজধানী তেহরানে, একজন গুপ্তঘাতক তার গাড়ীতে ম্যাগনেটিক বিস্ফোরক সংযুক্ত করে দেয়। এই ম্যাগনেটিক বিস্ফোরকটি বিস্ফোরিত হলে, আহমাদি রোশন ও তার গাড়ির ড্রাইভার, দুই জনই নিহত হন।
একটা সভ্য সমাজে, একজন বিজ্ঞানী বা একজন সাধারণ মানুষেরও জীবন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে।
অসংখ্য আন্তর্জাতিক নিয়ম ও কনভেনশন আছে, যাতে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন, সশস্ত্র সংঘাত থেকে নিরাপদ রাখে। যুদ্ধের ক্ষেত্রেও, ইচ্ছাকৃত ভাবে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন এবং পরি-কাঠামো ও অবকাঠামো ধ্বংস করা নিষেধ। এবং এই ধরনের কাজ, অপরাধমূলক কাজ হিসাবে গণ্য হয়। বেসামরিক ব্যক্তিকে আক্রমণ সন্ত্রাসী কাজ হিসাবে গণ্য হয়। রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে, বেসামরিক ব্যক্তিকে গুপ্তঘাতক দিয়ে হত্যা করানো, কুৎসিত ধরনের একটি সন্ত্রাস।
যদিও আহমাদি রোশনের হত্যাকারীকে এখনও শনাক্ত করা যায় নাই, তবুও ইরান সরকার দ্রুতই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে। ইসরায়িলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এর এজেন্ট এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।