লাইনে আসুন, নইলে........... Click This Link
গত কয়েকদিন যাবত ব্লগে অনেকেই ভারতকে অনেক কিছু করে ফেলেছি বা ফেলতে যাচ্ছি কিংবা করব বলছি। আসল কথা হলো আমরা মুখে যত যাই বলি এভাবে ভারতের একটা গুপ্ত কেশও বাঁকা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় এবং এটা তারা জানে বিধায় ভারতও এ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। কারণ এর জন্য আমাদের এদেশের কিছু ছদ্দবেশী দালাল ও নব্য মিরজাফরই দায়ী। জনগনের এতো প্রতিবাদ ও আপত্তি জানানো সত্বেও সীমান্তে একের পর এক অমানবিক হত্যাকান্ড ও অত্যাচার-নির্যাতনই তার প্রমাণ।
এখন প্রশ্ন হলো আমরা এখন কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি ?
আমরা দল-মত নির্বিশেষে একি বিষয়গুলিতে জোর আন্দোলন করে সরকারকে বাধ্য করতে পারি ঃ
নিত্য প্রয়োজনীয় সীমিত কয়েকটি পন্য অর্থাৎ যে পন্য গুলি আমাদের দেশে উৎপাদন হয় না বা আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নই ইত্যাদি ছাড়া সব ধরনের প্রসাধনী, বিলাসদ্রব্য, কাপড়, পরিবহণ থেকে শুরু করে এই ধরণের যা কিছু আছে তার উপর শুধু ভারত থেকে নয় পৃধিবীর যে কোন দেশ থেকে আমদানীর ক্ষেত্রে উচ্চ থেকে উচ্চততর শুল্ক বসানো এবং যে সকল পন্য আমাদের দেশে উৎপাদিত হচ্ছে তা আমদানীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা।
আমদানী-রপ্তানী বানিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে কয়টি ক্যাটাগরীতে ভারতে রপ্তানী করবে, ভারত থেকে ঠিক সেই অনুপাতেই পন্য আমদানীর অনুমতি প্রদান করতে হবে। এর মধ্যে টিভি চ্যানেল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কিছু ছদ্দবেশী দালালকে প্রায়ই বলতে শুনি "ভারত থেকে চাল, ডাল, পেঁয়াজ সহ আরো কি কি হাবি জাবি না আসলে নাকি বাংলাদেশের জনগণ না খেয়ে মারা যাবে। " তাদের অবগতির জন্য বলতে চাই যে, বিশ্বের আরো অনেক দেশ ধান, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসূন, মসলা সহ সব ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উৎপাদন এবং রপ্তানী করে যাচ্ছে যার মূল্য, গুণগত মান এবং স্বাদ ভারতে উৎপাদিত পণ্যের চেয়ে আনেক ভাল। উদাহরণ সরূপ ঃ চায়না, ভিয়েতনাম, মালয়শিয়া ইত্যাদি সহ আমাদের আশে-পাশের অনেক দেশ।
আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা শুধুমাত্র সময় বাঁচানোর জন্যই ভারত থেকে উচ্চমূল্যে নিম্নমানের পন্য আমদানী করে থাকে। কারণ টাকাতো জনগণের, দাম বেশী পড়লে সরকার বা ব্যাবসায়ীদের কি আসে যায়। অথচ ভারতীয় পন্য যদি বাংলাদেশে রপ্তানী করা না হয় উল্টো তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে কিন্তু তাদের নিযুক্ত এদেশী দালালেরা জনগণকে উল্টোটাই বুঝিয়ে আসছে।
তাই
এখনই সময় এগুলির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার।
এখনই সময় ন্যায্য অধিকার আদায় করে নেয়ার।
এখনই সময় সরকারকে বাধ্য করার।
এখনই সময় ........................................... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।