আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহেশপুরে এমপি চঞ্চলের রাজত্ব ... দলীয় নেতা সাংবাদিক সবাইকে তিনি শুধুই পেটান

ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চলের একক শাসনে চলছে গোটা মহেশপুর। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে চঞ্চলের কর্তৃত্ব চলে না। এসবের অধিকাংশই নিয়ন্ত্রণ করছেন তার আপন ভাইসহ আত্দীয়স্বজনরা। এসবের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ক্যাডার দিয়ে পেটানো হয় দলীয় নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকদের। সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন পেয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে শফিকুল আজম খান চঞ্চল নির্বাচিত হন।

মহেশপুর পৌরসভার মেয়র পদে থাকার পরও এমপি নির্বাচিত হওয়ায় এক ধরনের অহমিকা সৃষ্টি হয় এই প্রতাবশালী এমপির। বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজ দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কোণঠাসা করে রাখেন তিনি। একে একে নিয়ন্ত্রণে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। তার একগুঁয়ে নীতির কারণে মহেশপুর আওয়ামী লীগে চরম কোন্দল সৃষ্টি হয় এবং এর প্রতিফলন ঘটে ইউপি ও পৌরসভা নির্বাচনে। ১৭টি ইউপির মধ্যে মাত্র তিনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী এবং দুটি পৌরসভায় পরাজিত হন।

তার বিরুদ্ধে নিজ ও বিরোধী দলের কেউ মুখ খুললেই নেমে আসে নির্যাতন। নির্বাচিত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরের সরকারি বাঁওড়গুলো নিকটাত্দীয় দিয়ে দখলে নেন তিনি। এলাকার মাছ চাষীদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি করিয়ে আজমপুরের দো-বিলা বাঁওড় তার নিকটতম হারুন অর রশিদকে দেন। উখড়ির বিল এবং চাপাতলার বাঁওড় ভাগ্নে ও জাতীয় পার্টি নেতা আজিজুর রহমানকে এবং কোটচাঁদপুর বলুহর ও জগদেশপুর বাঁওড়ের দায়িত্ব মামাত ভাই মুকুলকে দেন। এমপির এ ধরনের খামখেয়ালিপনায় সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাওয়ায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক (রাজস্ব, সার্বিক) প্রবীর কুমার চক্রবর্তীকে ভোলায় বদলি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু বাঁওড়ের কর্তৃক নিয়েই থেমে থাকেননি এই এমপি। অর্থবাণিজ্যের জন্য এলজিইডি, পৌরসভা, সড়ক ও জনপথ এবং বিএডিসির দত্তনগরের খামারসহ যাবতীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এসবের দায়িত্বে আছেন চঞ্চলের বড় ভাই বাচ্চু খান, ছোট ভাই বিপ্লব খান, চাচাত ভাই আবদুর রশিদ খান ও দেহরক্ষী ক্যাডার শাহজাহান। কোটচাঁদপুরে টেন্ডার ও চাকরিসহ যাবতীয় লাভজনক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করেন এমপির ফুফাত ভাই এলাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.