আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রয়েছো তুমি মনের ক্যানভাসে

হয়তো কোন এক জ্যোত্‍স্না রাতে তুমি আবার আসবে ফিরে...হাতটি ধরে বলবে "ভালবাসি"...জেনে রেখো সেদিন আমি আর নই যে তোমার..এখন আমি ভালবাসি শুধুই আমায়... আজ স্পর্শের খুব মন খারাপ..মুখ ভার করে বসে রয়েছে বারান্ডার এক কোণায়...তার সব রাগ অভিমান তার মায়ের উপর..আজ স্কুলের প্যারেন্টস ডে হয়েছে। স্পর্শের ক্লাস নার্সারীর সবার সাথেই তাদের বাবা এসেছে,,কারো কারো আবার বাবা মা দুজনই এসেছে স্কুলে। শুধু তার বাবাই আসেনি তার সাথে। তার সব বন্ধুরাই খুশি মনে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে তাদের বাবার সাথে..অনেকে আবার পর্শকে তার বাবার কথাও জিজ্ঞেস করে বসেছে। কিন্তু কিছুই বলতে পারেনি সে।

কিইবা বলবে !! তাই সে নিরবই ছিলো। তার নিরবতাই যেন তার কাছে তার বন্ধুদের সকল প্রশ্নের একমাত্র জবাব। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বারবার বাবার কথা জিজ্ঞেস করায় তার মা তাকে অনেক ধমক দিয়েছে। তাই খুব মন খারাপ স্পর্শের। বারান্দায় বসে বসে দূর আকাশের অস্তমিত সূর্য্যের রক্তিম আভা দেখছে এবং দুই এক ফোটা অশ্রু তার কোমল গাল বেয়ে ঠোটের কোণায় এসে শুকিয়ে রয়েছে।

জীবনের যে কাটা ঘা টা নদী সব সময় ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে আজ ছেলের প্রশ্নের মুখে তা আবার জীবন্ত হয়ে উঠে। স্পর্শের করা প্রতিটি প্রশ্ন নদীর বুকে একে একে তীর হয়ে বিধছিল। নিজের ছেলের করা অবুঝ প্রশ্নগুলির কোন জবাবই ছিলনা তার কাছে। তাই শেষে না পেরে ছেলেকে ধমক দিয়ে বসে...কিইবা করবে সে?? কিভাবে তার ছেলেকে বলবে যে তার বাবা কখনোই আর ফিরে আসবেনা তার কাছে। কখনো আর অফিস থেকে ফিরেই তাকে বুকে নিয়ে বলবেনা যে "কেমন আছে আমার লক্ষী বাবুটা!!" অতীত স্মৃতিচারণ এখন এক দুর্বিষহ কাজ হয়ে দাড়িয়েছে নদীর জন্য।

তবুও আজ মনের ক্যানভাসে ভালবাসার আবেগময় দিন গুলিতে তুলির আচড় বুলাতে খুব ইচ্ছে করছে নদীর। হয়তো হৃদয়ের গহীনে জমে থাকা সুখ স্মৃতি গুলি একে একে জেগে উঠার প্রয়াস চালাচ্ছে। কুমিল্লা শহরে বেড়ে উঠা সহজ সরল মেয়ে নদী। কলেজের গন্ডি পেড়িয়ে ভার্সিটি জীবনে পদার্পণ করে একদিন। ভাল ছাত্রী হওয়ার সুবাদে খুব সহজেই ঢাকার শীর্ষস্থানীয় একটি ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে যায় অনায়াসেই...নতুন শহর নতুন পরিবেশে অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে সে।

তার উপর ভার্সিটিতে সব নতুন নতুন মুখ। বাড়িতে ফেলে আসা মা বাবা ও গোটা পরিবারের জন্যেই মন কাঁদতে থাকে তার। ইচ্ছে করে সব ছেড়ে দিয়ে ফিরে যায় তার ফেলে আসা ছোট্ট শহরটিতে। কিন্তু তা কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই রাতের আধারে একলা ঘরে বালিশের কোণে মুখ গুজে চোখের জলের সাথে ভাসিয়ে দেয় তার সব দুঃখ গুলোকে.... এভাবেই দিনগুলি কাটছিল তার এক বুক চাপা কষ্ট এবং বেদনা নিয়ে।

ব্যস্ত দিনের শেষে জমানো সব কথা রাতের আকাশের তারা গুলোকে বলে যেত অবিরাম। তারা গুলিও যেন রাতভর তার কথাগুলি শুনতো মনোযোগ সহকারে এবং মিটমিট আলোয় তাদের উপস্থিতি জানিয়ে দিতো প্রতিনিয়ত । এরই মাঝে একদিন ল্যাব ক্লাসে পরিচয় হয় সামিয়ার সাথে..খুবই চঞ্চল এবং সারা দিন বকবক করা স্বভাব মেয়েটির..কিছু দিনের মাঝেই দুইজনের ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায়...একজন সারাদিন চুপচাপ থাকে তো আরেকজনের মুখ দিয়ে ২৪ ঘন্টা কথার ফুলকি ছোটে। সামিয়ার সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার পর ভালোই কাঁটছিলো নদীর দিনগুলি। নিঃসঙ্গতার চাদরে ঘেরা দিনগুলির পরিসমাপ্তি ঘটে তার ।

সামিয়ার সাথে বন্ধুত্বতার কল্যাণেই মাঝে মাঝে নদীর যাওয়া হয় তাদের বাসায়। ধানমন্ডিতে বিশাল বড় এক ফ্ল্যাট তাদের। কিন্তু মানুষ বলতে শুধু সামিয়া আর তার মা। সামিয়ার বাবা থাকে সুদূর ইউএসএ তে। এবং সামিয়ার বড় ভাই ইন্জিনিয়ারিং পড়ে।

তার নাম ঈষাম... এখন পর্যন্ত তার সাথে দেখা হয়নি নদীর। যতবারই নদী তাদের বাসায় গিয়েছে একবারও বাসায় ছিলনা সে। এভাবেই একদিন ভার্সিটি শেষে সামিয়ার সাথে তাদের বাসায় যায় নদী। সেদিনই প্রথম ঈষামের সাথে পরিচয় হয় তার। প্রথম পরিচয়েই ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাদের মাঝে।

প্রায়ই সামিয়াকে নেওয়ার জন্যে বাইক চালিয়ে তাদের ভার্সিটিতে চলে আসে ঈষাম। এভাবেই নদীর সাথেও মাঝে মাঝে দেখা হয়ে যেতো তার। কখনো ক্যাফেটেরিয়ায় কফির গরম মগের সাথে কখনোবা বকুলতলায় বকুলের ঘ্রাণে স্নিগ্ধ হয়ে মুখরিত হয়ে উঠতো তাদের আড্ডা। ইদানিং সামিয়ার নাম করে ভেতর ভেতর নদীর সাথে দেখা করার মনোবাসনা নিয়েই চলে আসতো ঈষাম। নদী মেয়েটাকে ঘিরে কেমন জানি একটা অজানা আকর্ষণ কাজ করে তার মাঝে।

যতক্ষণ মেয়েটা পাশে থাকে ভাল লাগার অনুভূতিতে আচ্ছন্ন থাকে সে। এই অনুভূতি কি বন্ধুত্বের নাকি ভালবাসার তা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা ঈষাম... ঈষাম ছেলেটিকে খুবই ভাল লাগে নদীর। এমন সহজ সরল এবং মিশুক ছেলে জীবনে খুব কমই দেখেছে সে। এই ছেলেটি তার সদা হাস্যল কথা দিয়ে খুব সহজেই তার মন ভাল করে দিতে পারে অনায়াসেই। তাই তার জীবনের সকল সুখ দুঃখের কথাই শেয়ার করে ঈষামের সাথে।

তার সাথে কথা বলে মনে ভেতরে যে শান্তি পাওয়া যায় তা আর কারো সাথে কথা বলেই পায়নি নদী। ঈষামের যে ব্যাপারটা তাকে বেশী আকর্ষণ করে তা হলো সে খুব ভাল গিটার বাজায়। কখনো নিঝুম নিরালায় গিটারে নদীর পছন্দের গান গুলির সুর তোলে ঈষাম এবং তা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে যায় নদী। সেই সুরের মূর্ছনায় হাড়িয়ে যায় দুজনাতে অজানা কোন এক দ্বীপে। হাতে হাত রেখে হেটে বেড়ায় উত্তাল সমুদ্রতীরে।

স্বপ্ন বুনে ভালবাসার আবেশে জড়িয়ে থাকার... তাদের কেউই হৃদয়ের সুপ্ত ভালবাসার প্রকাশ না করলেও আবেগের টান ঠিকই অনুভব করতো একে অপরের প্রতি। এরই মাঝে ঈষাম ইন্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরী নেয় একটি প্রাইভেট ফার্মে। তাই খুব একটা সময় দিতে পারে না নদীকে। কিন্তু নদীকে ছেড়ে থাকাটাও যেন অসম্ভব হয়ে উঠে তার জন্যে। তাই বাবা মায়ের সম্মতিক্রমে নদীর বাসায় বিয়ে প্রস্তাব পাঠায় সে।

দুই পরিবারের পূর্ণ সম্মতিতে বিয়ে হয়ে যায় ঈষাম ও নদীর। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। আকাশচুম্বী ভালবাসা আবেশে তাদের দুজনে ছোট্ট নীড়টি ভরে উঠে। চাঁদের নিয়ন আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে তাদের সুখের সংসার। ঈষামের সংসারে যেমন কোন ভালবাসার কমতি ছিলনা নদীর জন্য তেমনি ছিলনা কোন পরিচর্যার অভাবও।

এখানে কখনো সে মন খারাপ করার সুযোগটিও পেত না। মনে বিষন্বতা ভর করলেই সাথে সাথেই ঈষামে গীটারের সুর তার মন পফুল্ল করার এক ঔষধ হিসেবে কাজ করতো। গীটারের সুরে সাথে ঈষামের কন্ঠে বাপ্পার একটা গান শুনতে খুবই ভাল লাগতো নদীর- "আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে,, তুমি আনমনে বসে আছো.. আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস,, আমি তোমার জন্যে এনে দেবো, মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি হাওয়া... সে হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি....." গানটি শুনতে শুনতে যেন সত্যি সত্যি ভালবাসার হাওয়ার ভেসে যেত নদী... তেমনি এক বৃষ্টিস্নাত দিন সব ভালবাসার অনুভুতিকে হেয় করে তাদের মাঝে জন্ম নেয় নতুন এক অনুভুতি। এই অনুভুতি আগমণের,, ধরণীর বুক আলো করে একটি নতুন প্রাণের আগমণের। যতই দিন যায় ততই যেন অধীর হয়ে পরে তারা।

ভালবাসার প্রথম ফসল হাতে তোলার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে হৃদয়। দীর্ঘ ৯ মাস প্রতীক্ষার পর ঈষাম ও নদীর পৃথিবী আলোকিত করে জন্ম নেয় ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। তাদের অপরিসীম ভালবাসার একমাত্র নিদর্শন। তাদের ভালবাসার মধুর স্পর্শ গুলির ফসল বলেই তারা তার নাম রাখে "স্পর্শ" দেখতে দেখতেই দ্বিতীয় বত্সরে পদার্পণ করে স্পর্শ। যতই দিন যায় ততই যেনো ছেলেটি দুরন্ত হয়ে উঠে।

সারাটি দিন পুরো বাড়িময় তার ছোট ছোট পায়ে গুট গুট করে হেঁটে বেড়ানো,, একটু পর এইটা ওইটা ধরা ও ভেঙ্গে ফেলা এইসব কাজ গুলোই সব মানুষ গুলোকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে প্রতিনিয়ত। তার উপর ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় মামনি,আব্বু ডাকগুলি শুনে নদী ও ঈষামের মনে এক প্রশান্তির স্রোত বয়ে যেত। সব ঠিকই চলছিলো তাদের এই ভালবাসার নিকুঞ্জে..কিন্তু বিধাতা যেন হঠাত্ করে অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিলেন তাদের উপর থেকে। হঠাত্ করে ঈষামের চালচলন ও আচরণে পরিবর্তন দেখা দিলো। আগের মতো আর নদী ও স্পর্শের প্রতি ভালবাসাটা অনুভব করতোনা সে।

কেমন যেন একটা উদাসীনতা জন্ম নেয় তার মাঝে। জগত্ সংসার ও পরিবার থেকে দূরে দূরে থাকাটা যেন তার নেশা হয়ে দাড়ায়। সারা দিন অফিস শেষে বাড়িতে না ফিরে নির্জন খোলা মাঠে অথবা নদীর পাড়ে বসে থাকাটাই তার কাছে শান্তিদায়ক মনে হতো। কখনো কখনো আবার অফিসেও যেতনা ঈষাম। ঈষামের এই আকষ্মিক পরিবর্তনটা নদীকে চিন্তিত করে তোলে।

অনেকবার জিজ্ঞেস করার পরেও ঈষামের পক্ষ থেকে কোন জবাবই পায়নি সে। কয়েকটা দিন এভাবেই কেঁটে গেলো। ঈষামের সাথে তার পরিবারের দূরত্ব যেন দিন দিন বেড়েই চলছিলো। হঠাত্ একদিন সকালে মাথা ব্যাথা শুরু হয় ঈষামের। কিছুক্ষণ পরে অবস্থার আরো অবনতি ঘটে।

মাথা ব্যথার সাথে সাথে রক্তবমিও করতে থাকে সে। সাথে সাথেই তাকে হস্পিটালে নেয়া হয়। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায় যে ঈষামের "manic depressive illness nd pancreatic cancer" হয়েছে। এবং সে ক্যন্সারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ডাক্তাররা তাকে ৪ মাসের সংক্ষিপ্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়।

এখন বসে বসে মৃত্যুর দিন গোনা ছাড়া আর কিছুই করার নেই ঈষামের। সব শুনে নদী এক জীবন্ত পাথরে পরিনত হয়। কোন কিছুই যেন তার কান গড়িয়ে মস্তিস্কে আলোরণ সৃষ্টি করতে পারেনি। তার বুকের ভেতরে সকল কষ্টগুলি যেন গলিত পানিরূপে তার চোখ বেয়ে ঝড়ে পড়ছিলো একে একে... আজ ৫ মাস হতে চলেছে। জীবনের অন্তিম মুহূর্তে দাড়িয়ে নদীর হাতে হাত রেখে পুরুনো ভালবাসার মধুর দিনগুলির স্মৃতিচারণ করছে ঈষাম।

হঠাত্ তার ভাঙ্গা কন্ঠে গান ধরে সে- "যখন নিঝুম রাতে সবকিছু চুপ, নিস্প্রাণ নগরীতে ঝিঝিরাও ঘুম, আমি চাদের আলো হয়ে, তোমার কালো ঘরে, জেগে রই সারা নিশি, এতোটা ভালোবাসি,, এতোটা ভালোবাসি...." কয়েক ফোঁটা অশ্রু বিন্দু নদীর গাল বেয়ে চোখ থেকে ঝড়ে পরে ঈষামের হাতে। সাথে সাথেই ঈষামের চোখ জোড়া বন্ধ হয়ে আসে। কে যেনো তাকে এক অসীম ঘুমের আহবান জানায়। ভালবাসার মানুষটির হাতে হাত রেখে সেটিই ছিলো ঈষামের জীবনে শেষ নিন্দ্রা। যে নিদ্রার দেশ থেকে কেউ কখনো ফিরে আসেনা..... ঈষামের মৃত্যুর পর কিছুদিন খুব কেঁদেছিল নদী..হৃদয়ের ভেতরের ভালবাসার পুরুনো অনুভুতি গুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতো ক্ষণে ক্ষণে।

কিন্তু স্পর্শের ভবিষ্যতের চিন্তা করেই নিজের ভেতর পাহাড় সমান দুঃখ গুলোকে গলা চিপে হত্যা করে সে। হতে পারে ঈষাম তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে কিন্তু তাকে কিছু কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে নদীর- "বুকের ভেতরের এই ছোট্ট হৃদয়টির প্রতিটি স্পন্দনে এখনো তোমার নামটিই গাঁথা রয়েছে,,চিরকালই থেকে যাবে। থেকে যাবে তোমার মধুর স্মৃতি গুলি। একদিন হয়তো মরচে ধরবে আমাদের ঐ ভালবাসার অনুভূতি গুলোতে। ধুলো জমবে কালের আবর্তনে।

ভেবোনা কখনো ভুলবো তোমার,, রয়ে যাবে তুমি মনের এই ক্যানভাসের সদ্য আকাঁ এক জীবন্ত ছবি হয়ে..." "মামনি মামনি" স্পর্শের ডাকে পুরুনো অনুভূতি থেকে বাস্তবে ফিরে আসে নদী। শুধু শুধুই ছেলেটাকে অনেক ধমক দিয়েছে সে। অভিমানে গাল ফুলিয়ে সারাটা দিন কিছুই খায়নি ছেলেটা। হয়তো অনেক ক্ষিদা পেয়েছে ছেলেটার। নিজের অজান্তেই কখন জানি চোখের কোণে এক ফোঁটা জল জমেছে নদীর।

সেই জলে চিকচিক করছিলো তার অতীত দুঃস্মৃতি গুলি। সেই জল মুছতে মুছতেই স্পর্শের কাছে যাওয়ার জন্যে উদ্দত হয় নদী অতীত ভুলে এক সোনালী ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন নিয়ে......... [ভালবাসা হলো এক টুকরা স্বচ্ছ কাঁচের মতো..যার এক পাশে থাকি আমরা এবং অন্য পাশে আমাদের ভালবাসার মানুষটি...কিন্তু যখনি কাঁচের একপাশে দুঃখ গুলি আপন মনে তার রুপালী প্রলেপ মেখে যায় তখন ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হতে থাকে ভালবাসার মানুষটি..তখন ভালবাসা নামক কাঁচের ভেতর শুধুই প্রতিফলিত হয় নিজের প্রতিবিম্বটা,,শুধুই নিজের] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।