প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেও প্রেমের স্বীকৃতি পাননি কলেজছাত্রী। উল্টো তার জীবনে অভিশাপ হিসেবে দেখা দেয় ওই অনশন। প্রেমের স্বীকৃতির বদলে জোটে পতিতা আখ্যা। এ আখ্যা আর কারো নয়, নীলফামারী সদর থানার নির্বাহী কর্মকর্তার রায়ে এ আখ্যা পান তিনি। তবে হাইকোর্টের একটি আদেশ আশার আলো হিসেবে এসেছে ওই কলেজছাত্রীর জীবনে।
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার নাসরিনকে ডাকা হয়েছে হাইকোর্টে। আগামী ২৩শে জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ওইদিন একই উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানকেও আদালতে আসতে বলা হয়েছে। ঘটনার শিকার ওই ছাত্রী এবং তার বাবাকেও ওইদিন সঙ্গে করে আসতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে গতকাল এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নীলফামারী জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ‘নীলফামারীতে ভালবাসা অপরাধ! ইউএনও’র রায়ে স্নাতক ছাত্রী এখন পতিতা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এবিএম আলতাফ হোসেন প্রতিবেদনটি গতকাল আদালতের নজরে আনেন। পরে হাইকোর্ট এসব আদেশ দেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের দাবিতে ওই উপজেলা লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং নীলফামারী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের এক ছাত্রী গত ১১ই জানুয়ারি তার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়। তার প্রেমিক সুবোধ চন্দ্র রায় দুবাছুড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পরে ১৩ই জানুয়ারি দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার নাসরীন পুলিশ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ গিয়ে অকথ্য গালাগাল করে ওই ছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসে। সেখানে ওই তরুণীকে পতিতা আখ্যা দেয়া হয়। ওই ঘটনা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে দুঃখে আত্মহনের হুমকি দেন ওই কলেজছাত্রী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।