আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অসুস্থ হয়ে মায়ের মৃত্যু : এই র্ষণ কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না?? এই ধর্ষকদের নিশ্চয়ই কোন শক্তির খুটি রয়েছে। তা না হলে এরা পার পেয়ে যায় কিভাবে?? এদের রাজনৈতিক পরিচয় কি?? এরা কি জামাত-শিবিরের চেয়েও শক্তিশালী??? ৭১ এর খুন ধর্ষণের বিচা

পৃথিবীর কাছে তুমি হয়তো কিছুই নও, কিন্তু কারও কাছে তুমিই তার পৃথিবী" লালমনিরহাট সদর উপজেলায় গত শনিবার এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার দুই দিন পর গতকাল সোমবার ওই ছাত্রীর মা হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মানসিক ও শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ধর্ষণের ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী গত রোববার সকালে সদর থানায় মামলা করে। ওই দিনই দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি সদর উপজেলার দুড়ারকুঠি গ্রামের আবদুস ছাত্তার (৩১), শাহাদত হোসেন এবং তাঁর স্ত্রী নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই কলেজছাত্রীকে বহুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন আবদুস ছাত্তার। শনিবার সকালে ছাত্রী কলেজে যাওয়ার সময় ছাত্তার তাকে ধরে নিয়ে কলেজের পাশে শাহাদত হোসেনের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। বাড়িতে ফিরে ওই ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান। এরপর মামলা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালমনিরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান গতকাল সকালে ঘটনাস্থল এবং ছাত্রীটির বাড়িতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেন।

দুপুর একটার দিকে হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওই ছাত্রীর মা। পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পর গত দুই দিনে তিনি তেমন কথা বলেননি। এমনকি খাওয়া-দাওয়া করছিলেন না। এ অবস্থায় গতকাল দুপুরে তিনি হূদেরাগে আক্রান্ত হন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জমির উদ্দিন জানান, মামলার পর রোববার বিকেলে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারাগঞ্জ ও নাটোরে ধর্ষণের অভিযোগ: তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি জানান, তারাগঞ্জে এক কিশোরী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আবদুল লতিফ (২০) ও রুবেল হোসেন (১৮) নামের দুই যুবককে আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন কিশোরীর বাবা। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে ওই কিশোরী বাড়ির পাশে মাঠে খেলছিল। সন্ধ্যায় একা বাড়ি ফেরার পথে লতিফ ও রুবেল তাকে পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এ সময় কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাঁরা পালিয়ে যান। তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নাটোর প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলায় গত শুক্রবার রাতে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন।

বাড়ির অন্য সদস্যরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বাইরে থাকায় একই গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন (২২) তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। ধর্ষণের পর গ্রামের একটি রাস্তার পাশে তাঁরা গৃহবধূকে ফেলে যান। এলাকার লোকজন শনিবার সকালে অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই গৃহবধূর ভাই জানান, মাত্র দুই মাস আগে তাঁর বোনের বিয়ে হয়। মানসম্মানের ভয়ে বিষয়টি কয়েক দিন গোপন রাখা হয়েছিল।

তবে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য তাঁরা সদর উপজেলার নলডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। থানার ওসি হারুনুর রশিদ জানান, আসামি উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সূত্র: প্রথম আলো ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।