প্রিয় বন্ধুরা আমি এতদিন আপনাদের অনেক সুন্দর ও চমৎকার গান শুনিয়েছিলাম । কিন্তু আজ কিছু অশ্লীল গান শুনাবো এবং দেখাবো। এখন রাত ১২ টার সময় যারা ব্লগে আছেন তাঁদের সময়টাকে একটু আনন্দময় করার জন্য এই ভয়াবহ অশ্লীল দৃশ্য সংবলিত কিছু বাংলা ছায়াছবির গান দেখাবো। যারা বাংলা ছায়াছবির গানকে রুচিহীন ও অশিক্ষিত খ্যাঁত শ্রমিক শ্রেণীর গান বলেন তাঁদের জন্য এই গানগুলো দেয়া। আসলেই তো তারা ঠিক কথাটাই বলেন।
আমরা কেন এসব বস্তাপচা গান শুনবো আর কেনই এসব নোংরা গানের ছবি দেখবো? এর চেয়ে তো হিন্দি 'ধিঙ্কা চিকা ধিঙ্কা চিকা' 'মুন্নি বদনাম' ''শিলাকি জওয়ানি' ''মেরি তেরি তেরি মেরি'' কিংবা সর্বশেষ 'কলাভেরি'' গান অনেক অনেক সুন্দর ও রুচিসম্মত আধুনিক শিক্ষিত শ্রেণীর গান!!! যেসব দেখে ও শুনে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি!!! কিন্তু সমস্যা আমার। আমি আবার এসব বাংলা অশ্লীল গান ও ছবি ছাড়া ঐ সব হিন্দি গান পছন্দ করতে পারি না যাকে ''কুকুরের পেটে ঘি হজম না হওয়া'' । চরম বদভ্যাস হয়ে গেছি এসব বাংলা অশ্লীল সিনেমা ও গান দেখতে দেখতে। তাই ভাবলাম আজ আপনাদেরও একটু দেখাই।
১) দুশমনি করোনা প্রিয়তম
শিল্পী- রুনা লায়লা
ছায়াছবি- দূরদেশ
২) তুমি আজ কথা দিয়েছো
শিল্পী- এন্দ্রু কিশোর ও রুনা লায়লা
ছায়াছবি- দুই জীবন
পরিচালক- আব্দুল্লাহ আল মামুন
৩) আমি একদিন তোমায় না দেখিলে
শিল্পী- এন্দ্রু কিশোর ও রুনা লায়লা
ছায়াছবি- দুই জীবন
পরিচালক- আব্দুল্লাহ আল মামুন
৪) তুমি ছাড়া আমি একা
শিল্পী- সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিন
ছায়াছবি- দুই জীবন
পরিচালক - আব্দুল্লাহ আল মামুন
৫) সুখের দিনে আমি তোমার দুখের দিনেও আমি
শিল্পী- রুনা লায়লা
ছায়াছবি- সহধর্মিণী
পরিচালক- সুভাষ দত্ত
৬) কথা বলবো না বলেছি
শিল্পী- সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিন
ছায়াছবি- আঁখিমিলন
পরিচালক- মস্তোফা আনোয়ার
৭) আমার গরুর গাড়ীতে
শিল্পী- এন্দ্রু কিশোর ও সামিনা চৌধুরী
ছায়াছবি- আঁখি মিলন
পরিচালক- মস্তোফা আনোয়ার
8) এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না
শিল্পী- রুনা লায়লা
ছায়াছবি- নরম গরম
৯) যেও না সাথী
শিল্পী- সাবিনা ইয়াসমিন
ছায়াছবি- দূরদেশ
১০) তুমি আমার কত চেনা
শিল্পী- এন্দ্রু কিশোর ও রুনা লায়লা
ছায়াছবি- দোলনা
পরিচালক- মাহাফুজুর রহমান খান
১১) নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন
শিল্পী- রুনা লায়লা
ছায়াছবি- কুসুমকলি
পরিচালক- সি বি জামান
১২) আমার বুকের মধ্যখানে
শিল্পী- এন্দ্রু কিশোর
ছায়াছবি- নয়নের আলো
পরিচালক- বেলাল আহমেদ
১৩) আমি তোমার মনের মতো কিনা
শিল্পী- এন্দ্রু কিশোর ও সাবিনা ইয়াসমিন
ছায়াছবি- গর্জন
পরিচালক- জহিরুল হক
১৪) আজ রাত সারা রাত জেগে থাকবো
শিল্পী- এন্দ্রু কিশোর ও রুনা লায়লা
ছায়াছবি- নীতিবান
পরিচালক- শিবলি সাদিক
১৫) কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো
শিল্পী- সুবীর নন্দী
ছায়াছবি- উসিলা
পরিচালক- মমতাজ আলী
১৬) বুকে আছে মন মনে আছে আশা
কণ্ঠ- এন্দ্রু কিশোর ও রুনা লায়লা
ছায়াছবি- লড়াকু
পরিচালক- শহীদুল ইসলাম খোকন
১৭) সুন্দর এই পৃথিবী ভালো লাগে না
শিল্পী- সাবিনা ইয়াসমিন
ছায়াছবি- লড়াকু
পরিচালক- শহীদুল ইসলাম খোকন
'উসিলা' ছবি নিয়ে একটি স্মৃতিঃ এই ছবিটার দেখার স্মৃতি আজো মনে পড়ে।
আমি তখন ক্লাস ২ তে পড়ি। আম্মু, ছোট খালা, ছোট ফুফুসহ একসাথে আমরা ১০ জন গিয়েছিলাম সিলেটের সবচেয়ে বড় ও অভিজাত সিনেমা হল নন্দিতায় দেখতে। হলের ভিতর মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখে আমি ভয়ে কান্না শুরু করে দেই। ছোট খালা আমাকে কোলে নিয়ে আমাদের সংরক্ষিত আসনে বসে। আমি কান্না থামাই।
যখন ছবি শুরু হয় তখন তো পুরো হল অন্ধকার, আমি আবার কান্না শুরু করি। আমার কান্না শুনে হলে আসা অন্য বাচ্চারাও কান্না শুরু করে দেয়। তখন তো হুলুশ্তুল কারবার! এতগুলো বাচ্চার কান্নার আওয়াজ তাও আবার মনে হয় যেন কান্না প্রতিযোগিতা হচ্ছে কে কার চেয়ে জোরে কাঁদতে পারে তেমন। হলের আসা অন্য দর্শকরা তো তখন চরম ক্ষিপ্ত !যেন পারলে সব গুলারে ছুঁড়ে নিচে ১ম শ্রেণিতে ফেলে দেয়! তখন আমার ছোট মামা আমাকে হলের করিডরে নিয়ে হাঁটাহাঁটি শুরু করে আর বাহিরের দৃশ্য দেখায় কিছুক্ষণ। বাকী শিশুদেরও তাঁদের অভিভাবক রা একই রকম কোলে নিয়ে হাঁটাহাঁটি শুরু করে বারান্দায় নিয়ে।
এরপর যখন শান্ত হলাম ছোট মামা জিজ্ঞেস করে এবার ভেতরে যাই ? আর কাঁদবি না তো? আমি বলি না যদি 'রিং চিপস' (বম্বে সুইটস এর হলুদ রঙের ) দাও, মামা হলের ভিতরে থাকা দোকানে গিয়ে ১০ প্যাকেট 'রিং চিপস' কিনে আমাকে নিয়ে আবার ছবি দেখতে ঢুকলেন । আমি তো আর ছবির দিকে নাই, আমি আছি তখন 'রিং চিপস' আঙ্গুলের লাগিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুল কামড়ানো তে ব্যস্ত! আর বাকিটা সময় ঐ দিন আর কান্না করি নাই,ভয় ও পাই নাই। তবে এরপর থেকে যতদিন ছবি দেখতে নিয়ে যাওয়ার আগে ঘর থেকেই কান্না না করার ওয়াদা করেই আমাকে নেয়া হতো। আহা কি আনন্দের দিন ছিল !!!!!!!!!!!!!!
* হলের ১ম শ্রেণী মানে কিন্তু একেবারে নিকৃষ্ট জায়গা। অর্থাৎ একেবারে নিচতলায় ও পর্দার একেবারে সামনে।
যেখানে নিম্ন আয়ের দর্শকরা বসে। হলের সবচেয়ে ভালো হলো বক্স (ছোট কেবিন এর মতো খুব অল্প সংখ্যক ১০/১৫ জন দর্শক বসতে পারে) এর পর রিয়েল (যাকে ডিসি বলতো ) যেখানে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সবাই বসতো। *
আজকের আর বেশী অশ্লীল ছবির অশ্লীল গান দিলাম না। কারন রাতের ঘুমে অসুবিধা হতে পারে! আরও লাগলে আওয়াজ দিয়েন ।
অশ্লীল ও বস্তাপচা গানের ভাণ্ডার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।