নিজেকে গোলাম আযমের মেয়ে বলে দাবি করেছেন আজমিয়া সুলতানা নামে আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী এক নারী। গতকাল সোমবার দুপুরে আজমিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে হাসপাতালের পরিচালক ও কারা কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন করেন এবং গোলাম আযমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। ঘটনা শুনে গোলাম আযমের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ হিল আমান আযামী ছুটে আসেন হাসপাতালে। এরপর তিনি আজমিয়া সুলতানার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আজমিয়া সুলতানা নিজের দাবির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করবেন যে গোলাম আযম তাঁর জনক।
ওই ঘটনায় হাসপাতালসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে গোলাম আযমের নামের সঙ্গে আজমিয়া সুলতানার নামের মিল থাকার বিষয়টিও অনেককে বিস্মিত করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মজিদ ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দুপুর ১২টার দিকে একজন মহিলা এসে নাম আজমিয়া সুলতানা এবং নিজেকে গোলাম আযমের মেয়ে হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি গোলাম আযমের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমাদের বরাবর লিখিত আবেদনও করেন।
কিন্তু আমরা তাঁকে জানাই, গোলাম আযমের সঙ্গে দেখা করতে হলে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। ঘটনা শুনে গোলাম আযমের পুত্র আবদুল্লাহ হিল আমান আযামী হাসপাতালে আসেন এবং ওই মহিলার সঙ্গে তর্কে ঝড়িয়ে পড়েন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। একপর্যায়ের আজমিয়া সুলতানা পিতৃত্ব প্রমাণে ডিএনএ টেস্টের দাবি করেন। তিনি গোলাম আযমের সঙ্গে দেখা করার জন্য হাসপাতালে আড়াই ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করে চলে যান। '
পরিচালক আবদুল মজিদ ভূঁইয়া লিখিত আবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, আবেদনপত্রে লেখা রয়েছে, 'আমি লেখিকা আজমিয়া সুলতানা।
বাসা মিরপুর। সম্মানিত কারাবন্দি গোলাম আযমের সঙ্গে আমি দেখা করার অনুমতি চাচ্ছি। ওনাকে বন্দি করার পর পত্রিকায় ওনার ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছি উনি আমার বাবা। এই সময়ে বাবার সঙ্গে দেখা করা একান্ত প্রয়োজন। ' নিজের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে_ফ্ল্যাট-৪০৩, মানসী লেক ভিউ, বাসা নম্বর ৭/বি, মিরপুর-২, ঢাকা।
আজমিয়া সুলতানা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গোলাম আযম আমার বাবা, আমার চেহারার সঙ্গে দেখুন পুরোটাই মিল। যদি কেউ বিশ্বাস করতে না চান, তাহলে ডিএনএ টেস্ট করে হলেও প্রমাণ করতে পারেন। ' কিভাবে গোলাম আযম আপনার বাবা_এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'সেটা সময় হলেই আপনাদের সবাইকে পরিষ্কার করব। ' এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।