হেঁটে হেঁটে যতদূর চোখ যায় পেশাগত কারণে মাঝে সাঝে আমার চোখে আজব কিছু জিনিস (!) চোখে পড়ে যেগুলো আমি দেখতে চাই না ... কিন্তু সামনে এসে পড়লে না দেখে উপায়ই বা কি! ঘটনাটা আজকের বিকেলের।
গুলশান-২। ৫৫ নম্বর রোডের একটা বাড়ির লিফটে উঠতে যাব হঠাৎ চোখে পড়ল গোঁফওয়ালা এক বিখ্যাত চিত্রপরিচালক। বাহ কি সৌভাগ্য আমার এমন লোককে সামনাসামনি দেখছি! ওনার বানানো গ্রাম গঞ্জ নিয়ে নাটকে যে রসবোধ থাকে তাতে আমি মুগ্ধ! ভাবলাম ওনার সাথে একটু কথা বলি। কিন্তু সেটা আর হল না।
ওনার দিকে পা বাড়াতেই দেখলাম উনি একটা কালো গ্লাসওয়ালা প্রাডোর দরজা খুলছে। কিন্তু গাড়ি থেকে যে বস্তুটা (!) নামল সেটা দেখে বিস্ময়ে হা হয়ে গেলাম। এ আমি কি দেখছি! আরে এই মেয়েকে তো সেদিনও একটা টিভি নাটকে গ্রামের সরল ললনা হতে দেখছি। আমার ড্রাইভার বলল, স্যার উনি এসব কি পরছে! ওনার কি লজ্জা লাগে না? আমি বললাম, কি জানি! কিন্তু ওনাকে দেখে আমার শীত অনেক কম লাগছে!
একটু পর আরও অবাক করা দৃশ্য দেখলাম। দেখলাম ওই দুটো জামাতে বিড়ি টানছে।
বাহ বেশ! যদিও মেয়েদের বিড়ি টানার দৃশ্য আমার কাছে মোটেই অপরিচিত কিছু নয়। তারপরও এই সব তথাকথিত সেলিব্রেটি মেয়েদের এটা করতে দেখলে ভাল লাগে না। মানুষ এত ভন্ড যে ক্যামনে হয়?
বেশ কিছুক্ষণ পর। লিফটে আমি, ওই পরিচালক ও সেই নায়িকা। আমি এক কোনে একদম চুপচাপ।
পরিচালক নায়িকাকে বলছে, তুই কি এখানে রেগুলার স্পা করাস?
হুম করাই। বলল নায়িকা।
- কেন?
- ভাল লাগে তাই। এখানকার স্প্রিং স্পাটা জোস!
- সব খুলিস? কে করে দেয় কোন ছেলে নাকি মেয়ে?
- উফ ইউ নটি বয়! তুমি জান না এটা শুধু মেয়েদের স্পা ...
আমি লিফটের তিনে নেমে গেলাম। আর ওরা আরও উপরে উঠে গেল।
খুব আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও ওদের বাকি কথা শোনা হল না। কিন্তু একটা ব্যাপার কিছুতেই আমার মাথায় ঘুরল না মেয়েদের স্পা সেন্টারে ব্যাটা পরিচালক কি করবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।