আমি নতুন কিছু লিখবো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর বুকে মাটি ও বালির বস্তা দিয়ে রাস্তাটি কাটা শুরু হয়েছে। গত সোমবার রাস্তাটি কাটা শুরু হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রাংশবাহী ট্রেইলার চলাচলের জন্য ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এ রাস্তা তৈরি হয়। রাস্তাটি কাটা শেষ হলে প্রায় এক বছর পর তিতাস নদী ফিরে পাবে তার প্রাকৃতিক গতি। তবে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে খননের দাবি তিতাসের ওপর নির্ভর লোকজনের।
২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রাংশ বা ওভার ডাইমেনশনাল কার্গোজ পরিবহন বিষয়ক এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৯৬টি কন্টেইনার পশ্চিমবঙ্গ থেকে নৌপথে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ত্রিপুরায় পেঁৗছে। ভারতীয় কন্টেইনারগুলোর সর্বোচ্চ ওজন ৩২৫ টন। এ কারণে ব্রিজ ও কালভার্টের পরিবর্তে নদী এবং খালের ওপর বাঁধ দিয়ে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়।
গত বছরের ২৯ মার্চ বিকল্প এ রাস্তা ব্যবহার করে পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রাংশবাহী ট্রেইলার চলাচল শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস রেলব্রিজ ও সড়কপথের মাঝে বাঁধ দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয় ভারতের ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যান চলাচলের জন্য। এতে বোরো মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অনেক ফসল নষ্ট হয়। জেলেসহ মাঝি-মাল্লাদের অনেক ক্ষতিও হয়। এসব কারণে এ বাঁধটি আলোচনায় চলে আসে।
বাঁধ কাটা দেখতে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মান্নান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব মাল ত্রিপুরায় পেঁৗছে গেছে। তাই চুক্তিমতে তারা রাস্তাটি কেটে নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, এ বাঁধ তিতাসের কোনো ক্ষতি করেনি।
ভারতীয় পরিবহন সংস্থা এবিসির বাংলাদেশি এজেন্ট গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের প্রকৌশলী মোঃ ফারুক আহম্মেদ জানান, ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব পণ্যই পেঁৗছে গেছে।
আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত যে ১৭টি খাল ও নদীতে বিকল্প রাস্তা রয়েছে তা কেটে দেওয়ার কাজ চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মেয়াদের আগেই ওডিসির মালপত্র চলে যাওয়ায় বাঁধগুলো কাটা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ ছিল। আগামী সাত দিনের মধ্যেই নদী স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসবে।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।