কবিতার মাঝে আনন্দ খুঁজে বেড়াই। দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন আরও ৮টি গ্যাসের স্তর চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। এছাড়া আগে আবিষ্কৃত ১০টি স্তরে ৭২৬ বিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ কোম্পানি।
পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর সোমবার বিকেলে পেট্রোসেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
তিতাস এলাকার মাটির নিচের প্রথমবারের মতো প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মিটার নিচে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) ভূকম্পন জরিপ চালিয়ে নতুন ক্ষেত্রগুলোর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
হোসেন মনসুর জানান, এখন পর্যন্ত তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ২৩টি প্রধান স্তরে গ্যাস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১০টি স্তর থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে। ২০০৩ সালে হাইড্রোকার্বন ইউনিটের করা সার্ভেতে এই ১০ স্তরে মোট ৭ হাজার ৩২৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ধারণা পাওয়া যায়। বর্তমানে মজুদ বেড়ে ৮ হাজার ৫১ বিলিয়ন ঘনফুট হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে বাপেক্সের অনুসন্ধানী দল।
নতুন আবিষ্কৃত স্তরের মধ্যে দুটিতে স্বল্প গভীরতায় ৪৯৪ বিলিয়ন ঘনফুট এবং ছয়টি তুলনামূলক বেশি গভীর স্তরে ১ হাজার ৫৬৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস থাকার সম্ভবনা দেখা গেছে।
যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মজুদ রেখে দেয়া হচ্ছে জানিয়েছেন হোসেন মনসুর।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুর্তজা আহমেদ ফারুক বলেন, তিতাস বর্তমানে ৩ থেকে ৩ হাজার ১০০ মিটার গভীর থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। এর প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি গভীরতায় গ্যাস জোনগুলো চিহ্নিত হওয়ায় খনিটি দীর্ঘদিন উৎপাদনে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড সূত্র জানায়, ১৯৬২ সালে আবিষ্কৃত এই গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে দেশের প্রায় ২০ ভাগ গ্যাসের যোগান দেয়া হয়। এখন দেশে দৈনিক গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট।
তিতাস ক্ষেত্রটি এককভাবে যোগান দিচ্ছে ৪৫২ মিলিয়ন ঘনফুট।
এদিকে জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করে নতুন করে আরও ১১টি কূপ খননের প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হলো- ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ১৮এ, ২২এ ও একটি গভীর কূপ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।