শীত আসতে না আসতেই খুশকির ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে অনেককেই। কারো আবার সারা বছরই খুশকি থাকে। বাজারেও আছে খুশকি প্রতিরোধকারী বিভিন্ন শ্যাম্পু, চুলের প্যাক,তেল!আছে আর্য়ুবেদিক সমাধানও। আর পার্লার গুলোই বা পিছিয়ে থাকবে কেন! তাদেরও আছে বিভিন্ন হেয়ার ট্রিটমেন্ট। এর ভিতর থেকে অনেক কিছুই আপনি হয়ত ট্রাই করেছেন।
কিছুটা সমাধানও হয়েছে, কিন্তু আবার ফিরে এসেছে খুশকি। কেন? কারণ আমরা শুধু বাহ্যিক যত্ন নিয়েই ব্যস্ত,দেহকে ভিতর থেকে পুষ্টি না দিলে বাহিরের সব যত্নই যে বৃথা তা অনেক সময়ই মনে থাকে না।
খুশকি হলে আপনাকে অবশ্যই একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে । সেই সাথে তার কাছ থেকে জেনে নিবেন কোন ধরনের শ্যাম্পু ও চুলের প্রসাধনী আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। এরপর নজর দিতে হবে আপনার খাদ্যাভ্যাসের দিকে।
১.সুষম খাবার খেতে হবে। বাসায় তৈরী খাবার যা কম তেলে রান্না করতে হবে।
২.তাজা সবজি ও ফল রাখুন খাবার তালিকায়।
৩.দুধ নিয়মিত খেতে হবে।
৪.Vitamin B 12 চুলের গোড়ায় শক্তি যোগায়।
৫. Vitamin C Scalpএ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়
৬.Vitamin E অক্সিজেনের গ্রহন বাড়ায়।
৭.Vitamin B-3 B -5, B-6 চুলের স্বাস্হ্য ও বর্ধনে সাহায্য করে।
৮.Iron চুলের basic health ও strength রক্ষা করে
৯.zinc ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও চুলের বৃদ্ধিকে উৎদিপ্ত করে
১০.Folic Acid চুল পরা প্রতিরোধ করে।
১১.বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন-zinc, sulfur, biotin, ও selenium এর অভাবে খুশকি দেখা দেয়। সূর্যমুখীর বীচি, মটরশুটি,পালংশাক zincএর ভাল উৎস।
বাধাকপি,ফুলকপি,ব্রোকলি থেকে sulfur ও biotin পাওয়া যায়। বাদাম, মাংস থেকে selenium পাওয়া যাবে।
১২. প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
১৩.প্রতিদিন flaxseed oil ১ টেবিল চামচ খান। এতে omega-3 fatty acids আছে যা খুশকির হাত থেকে রক্ষা করবে।
খাবার তালিকা থেকে বাদ রাখুন:
১.সাদা আটা /ময়দা
২.অতিরিক্ত চিনি
৩.তেলে ভাজা খাবার
৪.চকোলেট
৫.এলকোহল
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন আর সেই সাথে আপনার ডায়েট চার্টের দিকেও নজর রাখুন। ফলাফল স্বরুপ পাবেন খুশকি মুক্ত সুন্দর চুল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।