খুশকি একটি বিরক্তিকর জিনিস। এটি মাথার চুলের তো ক্ষতি করছেই, তার উপরে এর প্রভাবে মুখে ব্রণও সৃষ্টি হতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুশকি দূর করাই বাঞ্ছনীয়। খুশকি থেকে বাঁচার কতগুলো সহজ উপায় আছে। চলুন সেগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
বাসার আর কারও খুশকি থাক বা না থাক, নিজের চিরুনি সবসময়ই আলাদা করে রাখুন। এই চিরুনি অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না। নিজেও অন্য কারোটা মাথায় ছোঁয়াবেন না। একইভাবে নিজের জন্য আলাদা একটি মাথা মোছার তোয়ালে রাখুন। বালিশের কাভার এবং বিছানার চাদর কিছুদিন পরপর ডেটল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চুল বড় হোক কিংবা ছোট, খুশকি থেকে বাঁচতে চাইলে তা কখনোই ভেজা অবস্থায় অাঁচড়ানো যাবে না।
এদিকে যাদের চুলে ইতোমধ্যেই খুশকির সংক্রমণ হয়েছে তারাও ঢালাওভাবে চুলে অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকলে চলবে না। বরং খুশকির ধরন বুঝে নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা। খুশকি যদি আঠালো বা তেল তেল টাইপের হয় অথবা যদি মাথার ত্বকে সেরোরিক ডার্মাটাইটিসের মতো রোগের সংক্রমণ হয় তাহলে চুলে কোনো প্রকার তেল দেওয়া যাবে না। আর চটজলদি কোনো ভালো বিউটি পার্লার থেকে নিতে হবে হার্বাল ট্রিটমেন্ট।
তবে যাদের পক্ষে পার্লারে গিয়ে হার্বাল ট্রিটমেন্ট করানো সম্ভবপর নয় তারা বাসায় বসেও কিছু কৌশল অবলম্বন করে খুশকির সংক্রমণ কমাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নিচের যে কোনো একটি পদ্ধতি আপনার কাজে আসতে পারে।
জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই একসঙ্গে বেটে চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর আধা ঘণ্টা সময় এটি মাথায় রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
দুর্বাঘাস এবং নিমপাতা বাটার সঙ্গে ভিনেগার ও শসার রস মিশিয়ে পেস্ট করে মাথায় লাগান এবং আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
তুলসীপাতা বাটার সঙ্গে কর্পুর ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় আধা ঘণ্টা দিয়ে রেখে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন।
অন্যদিকে যাদের খুশকি আঠালো বা তেল তেলে ধরনের নয়, অর্থাৎ যারা শুষ্ক খুশকিতে আক্রান্ত তারা ঘরে বসে যা করতে পারেন তা হলো
কিছু কাঁচা আমলকি ছেঁচে তেলে দিয়ে রোদে দুই তিন দিন শুকিয়ে নিন। তারপর এ তেলটি সপ্তাহে দুই দিন মাথায় লাগান। চুলে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় গরম তোয়ালের ভাপ নিয়ে নিন।
মেথিবাটা, আমলকির রস, অল্প গি্লসারিন, একটি ডিম ও টক দই সামান্য গরম পানিতে পেস্ট করে মাথায় লাগান এবং আধা ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কেশুতি পাতা বাটা, আদার রস, আমলকি ও শিকাকাই গুঁড়া নারিকেলের দুধ দিয়ে পেস্ট করে মাথায় লাগান। আধা ঘণ্টা পর চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান অথবা ই-ক্যাপ নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলে লাগান। ক্যাস্টর অয়েল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। চুল পড়া কমে যাবে।
মনে রাখবেন প্রতিদিন ৪০-৫০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। সে জন্য চুল পড়তে দেখে অযথা চিন্তিত হবেন না। এর বেশি চুল পড়লে সেটা অস্বাভাবিক। যেসব চুলের গোড়া চটচটে ও উপরিভাগ রুক্ষ সেসব চুল সাধারণত মিশ্র প্রকৃতির চুল। এ রকম চুলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
শ্যাম্পুর আগে কুসুম গরম তেলে লেবুর রস মিশিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে নেবেন। চুল ভালো থাকবে।
রকমারি প্রতিবেদক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।