আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯৭১ সালের দেশদ্রোহীর বিচার বনাম শেখ হাসিনার অনাচার।

গেদু চাচার খোলা চিঠি। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুধ্যে আমাদের দেশের অনেকেই বেঈমানী করেছিলো যাদের আজকে বিচারের কাঠগড়াতে দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা চলছে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সহ অনেক কুখ্যাত রাজাকারদের ধরে মহাজোট সরকার তথা প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম শর্ত পুরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের ভাষায় কখনও দেশে ভুমিকম্প হলেও সেটা যুধ্যপরাধীদের বিচার নস্যাত করার জন্যে বিরোধীদলের একটা অপচেষ্টা। শেখ হাসিনা আর কিছু নাই পারেন মুখে খই ফুটাতে তিনি সিধ্যহস্ত।

কিছুদিন আগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কে একচোট নিয়ে নিয়ে নিয়েছেন আর কয়দিন আগে পড়লাম তার অতিজ্ঞানী সিলেবাস এবং কোমলমতি বাচ্চাদের বই পুস্তকে বিষয়বস্তু প্রনয়ণকারীরা শের শাহ্ র আমলকেও প্রশ্নবিধ্য করতে পিছ পা হচ্ছেন না। এত কঠিন সব বিষয় নিয়ে কাজ করা শেখ হাসিনাকে আমরা নতুন কোন পদকের নাম দিয়ে ভুষিত করতে পারি। বেগম খালেদা জিয়া পরিচালিত বি এন পি, শেখ হাসিনা পরিচালিত আওয়ামিলীগ আর সাথে চোর বাটপারদের নিয়ে গড়া সব দল এক পায়ে খাড়া হয়ে পেছনে লেগে গেল ফখরুদ্দিন সরকারের...মুখে আজগুবি মুলমন্ত্র ‘গণতন্ত্র চাই’। বাংলাদেশীদের মত হুজুগে জাতী সারা বিশ্বে নাই তাই এদের যা বুঝানো যায় তাই বিশ্বাস করে। এখন হাসিনার আমলে ৭০-৮০ টাকা চাল খেলে সমস্যা নাই কিন্তু সমস্যা হয়ে গেল একজন শিক্ষিত লোকের শাসন আমলে।

এখন হরতালে জীবন অতিষ্ট হলে সমস্যা নাই কিন্তু সমস্যা হয়ে গেল প্রায় আড়াই বছর হরতাল ভুলে যাওয়া একটা সুন্দর সময় যখন ছিলো। ফখরুদ্দিন সরকারের ভুল ছিলো না তা বলব না কিন্তু সাথে এটাও ভেবে দেখা উচিৎ ছিলো জন্মের পরে শেখ হাসিনা আর বিয়ের পর থেকে রাজনীতি দেখে আসা দেশের দুই নেত্রী এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা বারবার ভূল করার ভান করে গেলেও আমরা তাদের পা চেটেছি প্রতি পাঁচ বছর পর পর কিন্তু সময় দিলাম না একজন শিক্ষিত আর সারাজিবন সরকারী অফিসে চাকরী করা একজন ভদ্র মানুষ কে। হায়রে বাঙ্গালী...!!! হাসিনা দশ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবেন এটা ছিলো প্রতিশ্রুতি : লিঙ্কঃ ১৯৭১ সালে নদীতে পাওয়া ইলিশ আর বিভিন্ন মাছের গায়ে চর্বিতে ভরে গিয়েছিল কারণ কিছুই না তখন পাকিস্থানীরা বাঙ্গালীদের হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিতো। এখন আর তখনকার নদীর মাঝে যদিও বিস্তর ফারাক তবুও এই বছরে শুকনো খটখটে নদীতে পাওয়া মাছে পেতে পারেন ১৯৭১ সালে প্রাপ্ত ইলিশ বা অন্য মাছের থেকেও বেশি চর্বি কারণ শীতলক্ষা সহ অন্যান্য নদীতে দিনে দিনে বাড়ছে গুম হয়ে যাওয়া মানুষের লাশের সংখ্যা। কি পার্থক্য তাহলে সেদিনের স্বৈরশাসক আর আজকের হাসিনার মাঝে? ১৯৭১ সালে মানুষকে রাস্তায় প্রকাশ্যে বলেন আর গোপণে বলেন পিটিয়ে বা গুলি করে হত্যা করা হতো।

আজকে আমরা স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে আরো এক কাঠি সরেস। এখন আমরা প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় পিটিয়ে মানুষ মারতেছি। এদেশে কেউ বি এন পি বা অন্য দল করতে পারবেন না কারণ আপনিও হতে পারেন সেই ভিকটিম। আমরা প্রকাশ্য দিবালোকে দেখলাম আওয়ামিলীগ ক্যাডাররা নাটোরের বড়াই গ্রাম উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ্ বাবুকে পিটিয়ে হত্যা করার দৃশ্য। শুধু কি তাই? তারা এখন জামিনের বদৌলতে বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশে।

কি পার্থক্য সেদিনের আর এদিনের মাঝে? আসলে যুধ্যপরাধীদের আগে কাদের বিচার হওয়া উচিৎ ? লিঙ্কঃ ১৯৭১ সালের পর প্রাণের দিদি ইন্দিরা গান্ধীর মন রাখতে যেয়ে বঙ্গবন্ধুর আমাদের ছাগল বানালেন। আমরা জানলাম ফারাক্কা নামক মরণ ফাঁদ হচ্ছে পরীক্ষামুলকভাবে। সেই ফারাক্কা আজ দেশের উত্তর অঞ্চল কে ধুধু মরুভুমি বানিয়ে ফেলেছে। ফারাক্কা আছে সেই ফারাক্কার জায়গায় তবে বাবার স্মৃতিকে আরো মানুষের মাঝে গেথে ফেলতে এগিয়ে আসলেন শেখ হাসিনা। তিনি এবারে আস্ত তিতাসের বুকে মাটি ফেলে যেতে দিলেন ভারতীয় কনভয়কে।

অবশ্য উনার ভাষ্য অনুযায়ী উনিই একমাত্র বাংলাদেশকে ভালবাসেন আর উনি না থাকলে দেশ টার যে কি হতো তা নিয়ে উনি ব্যাপক চিন্তিত। না শুনলেন সেখানকার মানুষের কথা না বুঝলেন দেশের ক্ষতি। পারলে দেশকেই দাদাদের হাতে দিয়ে দেন। ট্রাঞ্জিট যাবে কোন খরচ ছাড়া। জ্বালানীতে পাবে সরকারের ভর্তুকি।

কিন্তু কেন এই পিরিত? কি পার্থক্য সেদিনের আর এদিনের মাঝে? লিঙ্কঃ লিঙ্কঃ ১৯৭১ সালে ইন্ডিয়া আমাদের যতটুকু উপকার করেছেন তার চেয়ে নিয়ে গেছেন বেশি। নাহ্ আমরা জানতে পারিনি কারণ তখন আমাদের চেয়েও বেশি দেশ প্রেমিকেরা এগুলা আসতে দেননি সাধারণ মানুষের মাঝে। ইন্ডিয়া তাদের কনভয় ভরে নিয়ে গেছেন দেশের সম্পদ। আর যারা প্রতিবাদ করেছেন তাদের কে আপনারা চিনেন। কি জুটেছিলো তাদের কপালে? কি হলো যে মেজর জলিলের মত মানুষ এত ক্ষেপে গেলেন? আমরা জানতে পারিনি।

আজকে জানেনা দেশের তরূণরাও। তবে আজকে জানেন আরেকটা ঘটনা। মেজর জলিল মরে যেয়ে বেঁচে গেছেন কিন্তু বেঁচে যেয়ে তার সহযোগী আরেক সেক্টর কমান্ডার মেজর জয়নাল আবেদিন দিন কাটাচ্ছেন অন্ধকার কারাগারে। কি অপরাধে তার জেল হয়েছে জানিনা তবে তিনি পাননি ডিভিশন সুবিধা। কি হবে শেখ হাসিনার লোক দেখানো এই যুধ্যপরাধীদের বিচারের নাটক করে? যদি বিচার করতেই চান তবে আগে নিজের রাজাকার বেয়াইকে ঘর থেকে জেলে ভরে তারপর অন্যদের বিচার করেন।

তারও আগে মেজর জয়নাল আবেদিন কে কারাগার থেকে বের করে আমাদের লজ্জার হাত থকে বাঁচান। লিঙ্কঃ ১৯৭১ সালে বাকশালের অত্যচারে মানুষ কথা বলতে পারত না। কারো বুকের পাটা ছিলো না পত্রিকায় কিছু লেখে আর আজকে স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর এসে গেছেন অনেকেই যারা নারী সাংবাদিক বলেন বা পুরুষ সমানে পিটাচ্ছেন। মণিপুরি হাই স্কুলকে কেন্দ্র করে সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার দারূন ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। তিনি ছাত্র ভর্তির নামে ঢাকা শহরের বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।

এটা নিয়ে কোন কথা হবেনা। কথা বলতে যেয়ে তাই এক নারী সাংবাদিকের হাত মুচড়ে দিয়ে আবার অস্বীকার করেন। কি বিচিত্র ব্যাপার। আজকে আরেক বাকশাল চোখের সামনে। লিঙ্কঃ লিঙ্কঃ লিঙ্কঃ হত্যার বিচার না হওয়াটা আজকাল কোন ব্যাপারই না ।

কেন বি এন পি করবেন মুক্তিযোধ্যা, বি এন পি নেতা এবং আইনজীবি তাহের ইসলাম? তাই তাকে খুন করে টুকরা টুকরা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে আওয়ামিলীগ নেতা নুরূল ইসলামের তিন পুত্র বিপ্লব, লাবু ও টিপু। মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় বিপ্লবকে। আর এবারে হাসিনা এসেই তাকে ক্ষমা করে দিলেন। সাধারণ ক্ষমা কি অসাধারণ হতে পারে এটা না দেখলে বিশ্বাস করা যাবেনা। লিঙ্কঃ শামিম ওসমানের মত স্বীকৃত সন্ত্রাসীকে হাসিনা কিছুই বলতে পারেনা না।

সে এতটাই বেপরোয়া যে নিজ দলের মহিলা সাংসদ কে যা খুশি তাই বলেন। শুধু তাই নয় তিনি নিজেকে হাসিনার প্রিয় পাত্র হিসেবেও দেখান। হাসিনার চোখে এইটাও এড়ায় যায়। উনি সেলিনা হায়াত আইভিকে তাই প্রকাশ্যে বলতে পারেন না যে তুমিই আওয়ামিলীগ থেকে ভোটে দাঁড়াবা। কিন্তু কে এমন আচরন? লিঙ্কঃ দেখেন একজন শামিম ওস্মানের গুণগান গাইছেন।

লিঙ্কঃ শামিম জানাচ্ছেন তিনি কত্ত ভাল লোকঃ লিঙ্কঃ সত্যবাদি শামিম জানাচ্ছেন আপনারা দেখেনঃ লিঙ্কঃ লিঙ্কঃ এই কি সেই শামিম? ঃ লিঙ্কঃ আমি অনেক হিসাব করে দেখেছি যেইসব ব্যাক্তিরা অবিবাহিত, নিঃসন্তান বা বিয়ের পরপরই সংসার ছাড়া তাদের কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে নেই। যেমন দেখেন আমেরিকার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিজা রাইস ছিলেন অবিবাহিত আর তার সময়ে মুসলমানদের উপরে অত্যাচার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এবারে আসি সাহারা খাতুনের বেলায়। তিনি আসলে অবিবাহিত নাকি বিয়ের পরপরই স্বামী ছাড়া এটা আমি নিশ্চিত না। তবে তার আর কন্ডোলিজা রাইসের মাঝে আমি কোন পার্থক্য পাইনা।

বর্ডারের তারে ঝুলছে এক হতাভাগা বাঙ্গালী শিশু আর সাহারা খাতুন বললেন ফেলানি আমাদের দেশের না। দেশে সন্ত্রাস বেড়ে গেলে উনি বলেন এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। উনার কথা বলতে গেলে আমার আঙ্গুল ব্যাথা হয়ে যাবে লেখতে লেখতে। হাসিমুখের দিপু মণিকে দেয়া হলো পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। উনিও সেই দায়িত্ব এমনভাবেই পালন করছেন যে এখন মাঝেমাঝে মনে হয় আমার নাগরিকত্ব আসলে কোন দেশের? উনি যেকোন চুক্তির আগেই বুঝে যান এটা দেশের বিশাল উপকার বয়ে আনবে।

আজকে তাই ১৩৫ চাকার ভারতীয় কনভয় কোন রকম খরচাপাতি ছাড়াই দেশের বুকের উপর দিয়ে পার করছে তাদের মালপত্র। কয়েকবিঘা জমির পরিবর্তে রাতের আধারে দিয়ে দেয়া হয়েছে কয়েক হাজার একর খনিজ সম্পদের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ জায়গা। ফেলানিকে নির্মমভাবে হত্যাকরে বর্ডারের তারে ঝুলিয়ে রাখার প্রতিবাদ আমরা পেয়েছি দুই দিন পর। শেখ হাসিনা মুখে অনেক নারীবাদি কথা বলেন অথচ তিনি যেভাবে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে ইঙ্গিত করে কথা বলেন তা কোন শিক্ষিত মানুষের কথা নয়। দোষে গুণেই মানুষ কিন্তু সবার আগে এটাও ভাবতে হবে একজন প্রধাণমন্ত্রী হিসেবে হাসিনা কি কথা বলতে পারেন।

মিন্টো রোডের বাসা থেকে যেভাবে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে সেটার আইনগত ভিত্তির কথা নাহয় বাদই দিলাম কিন্তু আমার মতে সেটা আরো সুন্দর হতে পারত। হাসিনা এখন মাঝেমাঝেই যেসব বক্তব্য দেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া অথবা বেগম জিয়াকে নিয়ে তা আমাদের লজ্জিত করে। নোংরামির একটা সীমা থাকা দরকার সবকিছুরই। থেমে নেই তার চ্যালাচামুন্ডারাও। লিঙ্কঃ শেখ হাসিনা বলছেন খালেদা জিয়া সমন্ধ্যেঃ লিঙ্কঃ আজকে এখানেই শেষ করব।

তবে ভাববেন না এটাই শেষ। আসবে চকচকে টাকের আর আবুলিও হাসির আবুলের কাহিনি দিয়ে হাসিনা বাহিনীর ক্ষমতার দাপটের কথা। আজকে শেষ করলাম এই কারণেই যে লেখাটা অনেক বড় হয়ে যায় তাই। ভাল থাকবেন সবাই। চোখ রাখুন আগামি লেখায়।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।